প্রচ্ছদ রাজনীতি ফখরুল ঘোষণা দিলেও ড. কামালকে মূল নেতা মানবে না বিএনপির অন্যান্য শীর্ষ...

ফখরুল ঘোষণা দিলেও ড. কামালকে মূল নেতা মানবে না বিএনপির অন্যান্য শীর্ষ নেতারা

নবগঠিত জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ায় ড. কামাল হোসেনকে মূল নেতা হিসেবে মির্জা ফখরুল ঘোষণা দিলেও মানতে নারাজ বিএনপির অন্যান্য শীর্ষ নেতা। কারো একক নেতৃত্বে নয়, যার যার অবস্থান থেকে যুগপৎ আন্দোলনের কথাই বলছেন তারা। এদিকে, বেগম জিয়া কারাবন্দী হওয়ার পরও বিএনপি’র নেতৃত্বে জোরদার আন্দোলন গড়ে না ওঠায় হতাশা প্রকাশ করেছেন দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কেউ কেউ।

সব জল্পনা-কল্পনা শেষে শনিবার আনুষ্ঠানিক আত্মপ্রকাশ করলো সরকার বিরোধী আন্দোলনের মঞ্চ জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া। সারাদেশে এই সংগঠনের কমিটি গঠন করে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি বাস্তবায়নে শিগগিরই বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলার ঘোষণা দেয়া হয় ঐক্যের সমাবেশ থেকে।

এতে প্রধান বক্তা হিসেবে দেশের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দল বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, এই ঐক্য প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ড. কামাল হোসেন দিশেহারা জাতিকে পথ দেখাচ্ছেন বলে মন্তব্য করেন।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘যখন জাতি একটি মুক্তির পথ খুঁজছে তখন তিনি পথ দেখিয়ে সামনে নিয়ে আসছেন। আমরা আশা করবো তার নেতৃত্বে দ্রুত ঐক্যের মাধ্যমে লক্ষে পৌঁছবো।’

মির্জা ফখরুলের এই বক্তব্যে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে আন্দোলনে যাওয়ার বিষয়টি অনেকটা স্পষ্ট হয়ে উঠলেও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলছেন আলাদা কথা। কারো একক নেতৃত্বে কিছু করার সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানালেন তিনি।

আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘এখন কারোর একক নেতৃত্বে কিছু হবে এমনটা এখনো হয়নি। যার যার অবস্থান থেকে সবাই সামনে এগিয়ে যাচ্ছে। এখানে একতা থাকলেই যথেষ্ট।’

ঐক্যের নেতৃত্ব নিয়ে ধুম্রজালের মাঝেই দলের শীর্ষনেতাদের কেউ কেউ হতাশ খোদ বিএনপি’র আন্দোলন তৎপরতায়। দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলছেন, বেগম জিয়ার মুক্তির দাবিতে যে ধরনের আন্দোলন হওয়ার কথা ছিল তা হয়নি। এতে কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘প্রতিবাদের ভাষা, প্রতিরোধের ভাষা যেভাবে উপস্থিত করতে হয় সেভাবে আমরা উপস্থিত নই। মানুষ হতাশ হচ্ছে এবং দলীয় নেতাকর্মীরাও হতাশ হচ্ছে। আমাদের সব কিছু আছে, তবুও কেন পারছি না। আমাদের আন্তরিকতার অভাব না উদ্যোগের অভাব।’

তবে এ নিয়ে হতাশ নন দলের ভাইস চেয়ারম্যান মেজর হাফিজউদ্দিন আহমেদ। সাংগঠনিক দুর্বলতা কাটিয়ে বিএনপি এখন বেশ সুসংহত বলে মন্তব্য করলেন তিনি।

মেজর হাফিজউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘দলের কিছু সাংগঠনিক দুর্বলতা ছিল। গত তিন মাসে সেসব দুর্বলতা কাটিয়ে ওঠা গেছে। অধিকাংশ জায়গায় কমিটি গঠন করা হয়েছে। যার ফলে অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে বিএনপি সুসংগঠিত রাজনৈতিক দল।’

বিএনপির জনপ্রিয়তা ও সাংগঠনিক শক্তি জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার কর্মকাণ্ডকে গতিশীল করবে বলে মনে করেন দলের এই শীর্ষ নেতা।

সময় নিউজ