প্রচ্ছদ আজকের সেরা সংবাদ কলরেট আবারও ২৫ পয়সা বা তার কম করার দাবি

কলরেট আবারও ২৫ পয়সা বা তার কম করার দাবি

মোবাইল ফোনের সর্বনিম্ন ভয়েস কলরেট আবারও ২৫ পয়সা বা তার কম করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন। সংগঠনটি বলছে, এ জন্য গণশুনানির আয়োজন ও নতুন করে কস্ট মডেলিংয়ের ব্যবস্থা করার বন্দোবস্ত করতে হবে।বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ভয়েস কলরেট বৃদ্ধির প্রতিবাদে আয়োজিত এক মুক্ত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সভাপতি মহিউদ্দীন আহমেদ বলেন, আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়নের (আইইটিইউ) সহায়তায় সর্বপ্রথম ২০১০ সালে বিটিআরসি দেশে ভয়েস কলের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন রেট বেঁধে দেয়। সেই সময় নিয়ন্ত্রক সংস্থা একটি কস্ট মডেলিংও করেছিল। কিন্তু গত ১৪ আগস্ট হঠাৎ করে বিটিআরসি প্রজ্ঞাপন জারি করে গ্রাহকদের ম্যাসেজের মাধ্যমে জানায় এখন থেকে ভয়েস কলরেটে ‘অননেট’ ‘অফনেট’ থাকছে না। যেখানে সর্বনিম্ন ৪৫ পয়সা আর সর্বোচ্চ সিলিং রেট ২ টাকা থাকবে।আর যুক্তি হিসেবে বলা হয় অননেট অফনেট এক হওয়াতে মনোপলি ভাঙা যাবে। যে যুক্তি খুবই হাস্যকর। গ্রাহকদের এখন ২৫ পয়সার জায়গায় ৪৫ পয়সা দিতে হচ্ছে। আর সর্বোচ্চ নেয়া হচ্ছে ২ টাকা। তাহলে কার লাভ হচ্ছে এই নতুন কলরেটে? প্রশ্ন রাখেন তিনি।প্রজ্ঞাপনের ফাঁক ফোকর থাকায় গ্রাহকরা চরমভাবে অর্থনৈতিক ক্ষতির মুখে পড়েছে উল্লেখ করেন মহিউদ্দীন আহমেদ ।সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের পক্ষ থেকে ৯ দফা দাবির তুলে ধরা হয়। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে-অফ নেট, অন নেট প্রথা বাতিল করে, সরাসরি একক কল লাইন চালু করতে হবে।কলরেট ২৫ পয়সা বা তারও কম করা যায় কিনা তার জন্য গণশুনানি ও নতুন করে কস্ট মডেলিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে।টেলিযোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে গ্রাহক সুরক্ষা দেয়ার জন্য একটি আলাদা আইন ও কমিশন তৈরি করতে হবে।কলরেটের ক্ষতিপূরণ গ্রাহককে দ্রুত ফেরৎ দিতে হবে।নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা আগামী এক মাসের মধ্যে ঠিক করতে হবে।চলতি বাজেটে পাশ হওয়া ইন্টারনেটের উপর ১০ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহারের ঘোষণা কেন বাস্তবায়ন হয়নি তার ব্যাখ্যাসহ দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে।প্রমোশনাল ম্যাসেজ যত্রতত্র পাঠানো বন্ধের নির্দেশ অপারেটররা কেন বাস্তবায়ন করছে না তার ব্যাখ্যা ও এর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।এমএনপি চালুর আগে অপারেটর পরিবর্তনের ক্ষেত্রে ৩০ টাকা আদায়ের সঙ্গে সঙ্গে অতিরিক্ত ১০০ টাকা ভ্যাট কে দেবে এবং কীভাবে তা আদায় হবে তার পরিষ্কার ব্যাখ্যা দিতে হবে। এবং ফোরজি-চালুর ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ সংস্থার চুক্তি অনুযায়ী মোবাইল ইন্টারনেটের গতি ২০ এমবিপিএস আগামী ৬ মাসের মধ্যে বাস্তবায়ন করতে হবে।বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দীন আহমেদের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন দুর্নীতি প্রতিরোধ আন্দোলনের সভাপতি হারুনুর রশিদ, সামাজিক আন্দোলনের সদস্য হুমায়ন কবির হিরু, বাসদ নেতা রাজ্জেকুজ্জামান রতন, এনডিপি সভাপতি মাহমুদুর রহমান প্রমুখ।