বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের আলোচনার বিষয়ে যা বলেছেন তা ভালো। তবে ওবায়দুল কাদেরের সুবিধা আছে উনি যখন সুবিধা তখন খুশি মতো কথা বলতে পারেন। উনি বলেছেন যে, বিএনপির আলোচনায় ইচ্ছা পোষণ করলে আলোচনা। আমরা সব সময় সংলাপ আলোচনার কথা বলে এসেছি, এখন আবারও বলছি বিএনপি সব সময় সংলাপ আলোচনায় আগ্রহী ও প্রস্তুত। তারা কোথায় বসবেন, কিভাবে বসবেন?
আনুষ্ঠানিক আলোচনা নয়, আলোচনা হবে ফোনে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের এমন বক্তব্যে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ভালো তো, আমরা ম্যাসেজ পেলাম। দেখা যাক। আমরাও ফোনে কথা বলব। উই উইল কলব্যাক এগেইন।’
সিলেট সিটি নির্বাচনে জোট শরিক জামায়াতের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আপনারা নিশ্চিয়ই জেনে থাকবেন যে, ১৯৯১ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একাই জয়ী হয়েছে। কাজেই বিএনপিকে জেতা না জেতার জন্য কারও ওপর নির্ভর করতে হয় না। তাছাড়া আমরা ঐক্য করেছি বৃহত্তর স্বার্থে। দানবীয় শক্তির হাত থেকে গণতন্ত্র ও মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠায়। নির্বাচন দ্বিতীয় এবং তৃতীয় বিষয়। তাই স্থানীয় পর্যায়ের নির্বাচনেরে সঙ্গে এর সম্পৃক্ততা নেই।’
সিলেটে জামায়াত ইসলামীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে তারা আশা করে বিএনপি তাদের সমর্থন দেবে, এমন প্রশ্নের জবাবে বিএনপির মহাসচিব বলেন, আশা তো করতেই পারে। আমরা তো কারও আশায় বাধা দিচ্ছি না।
এতো কিছুর পর বিএনপি স্থানীয় পর্যায়ে কেন বর্তমান কমিশনের অধীনে নির্বাচনে যাচ্ছে সে বিষয়ে সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, বিএনপি একটি লিবারেল ডেমোক্রেটিক রাজনৈতিক দল। আমরা জনগণের সঙ্গে রাজনৈতিক দল হিসেবে থাকতে চাই। কারণ স্থানীয় নির্বাচন ক্ষমতার পরিবর্তন করে না।
তিনি বলেন, আজকাল কথা বলার আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছি। সিটি নির্বাচন নিয়ে সরকার বায়োস্কোপ দেখাচ্ছে। নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা শুধু বলে যাচ্ছেন, ‘আমরা দেখছি।’ আমাদের প্রশ্ন হচ্ছে দেখছি নয়, নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ নিরপেক্ষ করা আপনাদের দায়িত্ব। তাই শুধু দেখছি না বলে সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করুন। অন্যথায় দয়া করে পদত্যাগ করুন, জাতিকে রক্ষা করুন।
ফখরুল বলেন, ‘যে নির্বাচন কমিশনের কথা পুলিশ প্রশাসন শুনে না, তাদের অধীনে জাতীয় নির্বাচন কখনও অবাধ সুষ্ঠু হতে পারে না, সম্ভাবনাও নেই। কারণ উনাদের (ইসি) সেই যোগ্যতাও নেই।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমেদ, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার, গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আব্দুল আউয়াল খান প্রমুখ।