প্রচ্ছদ খেলাধুলা গুহার ঘটে যাওয়া ‘অলৌকিক’ মুহূর্তের বর্ণনা দিলো ক্ষুদে ফুটবলাররা

গুহার ঘটে যাওয়া ‘অলৌকিক’ মুহূর্তের বর্ণনা দিলো ক্ষুদে ফুটবলাররা

থাইল্যান্ডের একটি গুহা থেকে উদ্ধার হওয়ার পর বুধবার হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে জনসম্মুখে এসেছে ১২ ক্ষুদে ফুটবলার ও তাদের কোচ। ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি জানায়, উদ্ধারকৃত বালকেরা ডুবুরিদের দেখা পাওয়ার মুহূর্তটিকে ‘অলৌকিক’ বলে অভিহিত করেন। ওই বালকদের মধ্যে কেবল আদুল সাম-অন (১৪) ইংরেজি বলতে পারেন। সাংবাদিকদের তিনি জানান, ব্রিটিশ ডুবুরিরা তাদের খুঁজে পাওয়ার পর শুধু ‘হ্যালো’ বলবার শক্তি অবশিষ্ট ছিল তার দেহে।

এই ক্ষুদে ফুটবলাররা গত ২৩ জুন থাম লুয়াং গুহার ভেতর আটকে পড়ার নয় দিন পর তাদের খোঁজ পান ডুবুরিরা। আটকে পড়ার প্রায় দুই সপ্তাহ পর তাদের গুহার বাইরে আনা সম্ভব হয়। বুধবার তারা সবাই হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। ওয়াইল্ড বোর ফুটবল দলের ওই ১২ সদস্য চিয়াং রাই রাজ্যে তাদের ক্লাবের সরঞ্জামসহ একটি সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত হয়। ফুটবল মাঠের মতো করে করে সাজানো মঞ্চে ‘ওয়াইল্ড বোরদের বাড়ি প্রত্যাবর্তন’ লেখা ব্যানারে দিয়ে স্বাগত জানানো হয়।

একটি ছেলে জানায়, গুহার ভেতর তারা পাথরের চুঁইয়ে পড়া পানি খেয়ে বেঁচে ছিল। সে বলে, ‘পানি পরিষ্কার, কিন্তু কোনো খাবার ছিল না।’ কোচ একাপোল চান্টাওয়ং বলেন, ‘আমরা গুহা থেকে সুড়ঙ্গ খুড়ে বের হওয়ার কথা ভাবছিলাম। কর্তৃপক্ষ কখন এসে উদ্ধার করবে, তার আশায় বসে থাকা সম্ভব ছিল না।’ একই সঙ্গে তারা উদ্ধারকাজে অংশ নিতে গিয়ে প্রাণ হারানো ডুবুরি সামান কুনানের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানায়। বেঁচে ফেরা ছেলেদের কিছুদিনের জন্য বৌদ্ধ ভিক্ষুর জীবন যাপন করতে হবে। থাইল্যান্ডে দুর্ভাগ্যের শিকার ছেলেদের জন্য এই প্রথা চালু আছে।

চিয়াং রাই রাজ্যের গভর্নর প্রাচন প্রাতসুকান জানান, ক্ষুদে ফুটবলারদের জন্য এটাই একমাত্র আনুষ্ঠানিক সংবাদ স্মমেলন। এরপর তারা আর কোথাও সাংবাদিকদের সাথে দেখা করবে না। একজন মনস্তাত্ত্বিক সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা চাই এই বাচ্চাগুলো ঝঞ্ঝাটবিহীন স্বাভাবিক জীবন যাপন করুক।’