প্রচ্ছদ খেলাধুলা বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স

বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স

তারুণ্য নির্ভার ফ্রান্সের কাছে হেরে শিরোপার স্বপ্নভঙ্গ হল ক্রোয়েশিয়ার। আর এতে করে দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বকাপের শিরোপা ঘরে তুললো লস ব্লুজরা। কোচ ও খেলোয়াড় হিসেবে শিরোপা ছুঁয়ে তৃতীয় ব্যক্তি হিসেবে রেকর্ড গড়লেন দিদিয়ের দেশম।চমক দিয়েই শুরু হয়েছিল বিশ্বকাপ। ফাইনালেও সেই চমকই চলছে। ইতোমধ্যে দ্বিতীয়বারের মতো শিরোপা ঘরে তোলার স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে ফ্রান্স। এরই মধ্যে ফাইনাল দেখে ফেলেছে ৬টি গোল।

মস্কোর লুঝনিকি স্টেডিয়ামে শিরোপার লড়াইয়ে বাংলাদেশ সময় রাত নয়টায় মাঠে নামে ফ্রান্স ও ক্রোয়েশিয়া। খেলা শুরুর ১৮তম মিনিটে ডি-বক্সের বাইরে গ্রিজম্যানকে ফাউল করলে রেফারি ফ্রি কিকের নির্দেশ দেন।  গ্রিজম্যানের ফ্রি-কিক ক্লিয়ার করতে গিয়ে নিজের জালে বল ঢুকিয়ে দেন আগের ম্যাচের নায়ক মারিও মানজুকিচ। আর এর মাধ্যমে বিশ্বকাপের ফাইনালে প্রথম আত্মঘাতী গোলদাতা হিসেবে নাম লেখালেন তিনি।ঠিক এর দশ মিনিট পর ২৮তম মিনিটে পেরেসিচের গোলে স্বস্তি ফেরে ক্রোয়েট শিবিরে। ডি-বক্সের বাহির থেকে পেরিসিচের শট লরিসকে নড়ার সুযোগ না দিয়ে জালে অবস্থান করে। কিন্তু এ গোলের রেশ কাটতে না কাটতেই আবারো এগিয়ে যায় ফ্রান্স। ক্রোয়েশিয়াকে এগিয়ে দেয়া গোলদাতা পেরেসিচ এবার ভিলেনের ভূমিকায়। ক্রোয়েশিয়ার বক্সের ভেতর উড়ে আসা ক্রসে ফ্রান্সের মাতুইদি হেড করতে ব্যর্থ হন। বল লাগে তার পেছনেই থাকা পেরিসিচের হাতে। রেফারি যদিও প্রথমে পেনাল্টি দেননি। অনেক সময় নিয়ে ভিডিও রিপ্লে দেখে পেনাল্টির বাঁশি বাজান আর্জেন্টাইন রেফারি। পেনাল্টি থেকে ঠাণ্ডা মাথায় গোল করেন গ্রিজমান।  এটিই বিশ্বকাপের কোনও আসরের ফাইনালে প্রথম পেনাল্টি। স্পট কিক থেকে টুর্নামেন্টে এটি নিজের ৪র্থ গোল।বিরতি থেকে ফিরে গোলের জন্য মরিয়া ক্রোয়েশিয়া আক্রমণে যায়। কিন্তু লরিসের কল্যাণে তারা গোল বঞ্চিত হয়। ম্যাচের ৫৯তম মিনিটে গোলটি করলেন পল পগবা। ডি-বক্সের প্রান্ত থেকে বাঁ-পায়ে জোরালো শট নেন পগবা। গোলরক্ষক সুবাসিচকে ফাঁকি দিয়ে বল চলে যায় জালে। এর ছয় মিনিট পর অর্থাৎ ৬৫ মিনিটে কিলিয়ান এমবাপের দারুণ এক শটে গোল করলে ৪-১ গোলে এগিয়ে যায় ফরাসিরা। এর চার মিনিট পর অর্থাৎ ৬৯ মিনিটে লরিস ভুলে গোল খেয়ে বসে দুর্দান্ত খেলা ফ্রান্স। ডি-বক্সের ভিতর মানজুকিচের সঙ্গে বল কাটাতে গিয়ে গোল খেয়ে বসেন লরিস। যদিও প্রথমার্ধের বল পজিশনে এগিয়ে ছিল ক্রোয়েশিয়া। ক্রোয়েশিয়া তাদের পায়ে বল রাখে ৬০ শতাংশ। অন্যদিকে ফ্রান্সের পায়ে ছিল ৪০ শতাংশ। ক্রোয়েশিয়ার ৭টি শটের বিপরীতে ফ্রান্স নিতে পেরেছে মাত্র ১টি শট। প্রথমার্ধের ৪৫ মিনিটে ক্রোয়েটরা ২০৭টি পাস কমপ্লিট করেছে। অন্যদিকে ফ্রান্স করেছে মাত্র ৯০টি।