প্রচ্ছদ প্রচ্ছদ

সিরাজদিখানে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে জেলা প্রশাসকের হেলথ কার্ড ও কৃষকের মাঝে পাটের বীজ বিতরণ

শোভন সারোয়ার, সিরাজদিখান (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি:মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে হেলথ কার্ড ও কৃষকের মাঝে পাটের বীজ বিতরণসহ বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কাজ এবং দপ্তর পরিদর্শন করেছে মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো: আবুজাফর রিপন। বৃহস্পতিবার বেলা বেলা ১১টায় উপজেলা পরিষদ মুক্তি যোদ্ধা মঞ্চ থেকে এই হেলথ কার্ড ও বীজ বিতরণ করা হয়।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাব্বির আহমেদের সভাপতি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো: আবুজাফর রিপন বিপিএএ।

উপজেলা শিক্ষা অফিসার বেলায়েত হোসেনের সঞ্চালনায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা পরিষদ অস্থায়ী চেয়ারম্যান মইনুল হাসান নাহিদ, উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি উম্মে হাবিবা ফারজানা, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবু সাইদ শুভ্র, সিরাজদিখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুজাহিদুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মতিন হাওলাদারসহ বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, শিক্ষক ও বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা বৃন্দ।

পায়ুপথ দিয়ে মাছ ঢুকে যাওয়া ব্যক্তির অবস্থার উন্নতি

বিডি রিপোর্ট টোয়েন্টিফোর ডটকম :

পায়ুপথ দিয়ে পেটে মাছ ডুকে যাওয়া সম্রা মুন্ডার অস্ত্রোপচার করার পর শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে। লাগছে না অক্সিজেন সাপোর্ট। বুধবার (২৭ মার্চ) সকালে হাসপাতালের একদল চিকিৎসক তার শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করেন। এসময় তাদের সাথে কথা বলতে দেখা যায় সম্রা মুন্ডাকে।

এ বিষয়ে সিলেট এম.এ.জি. ওসমানী মেডিকেল কলেজের সহযোগী অধ্যাপক ডা. কাজী জানে আলম বলেন, তার শারীরিক অবস্থা অনেকটা স্বাভাবিকের পথে। তবে আরো কিছুদিন পর্যবেক্ষণে রেখে হাসপাতাল থেকে ছুটি দেয়া হবে। তবে দুই মাস পর তার আরও একটি অস্ত্রোপচার লাগবে বলেও জানান তিনি।

এর আগে, গত শনিবার (২৩ মার্চ) বিকেলে বিলে মাছ ধরতে গিয়ে কাদায় পড়ে যান সম্রা মুন্ডা। এসময় তার পায়ুপথ দিয়ে কুঁচিয়া মাছ পেটে ডুকে যায়। পরে অস্ত্রোপচার করে জীবিত অবস্থায় সেই মাছ বের করে আনা হয়।

স্যাটেলাইট ট্যাগ নিয়ে সুন্দরবনের কুমির ঘুরছে বরিশালের নদীতে

বিডি রিপোর্ট টোয়েন্টিফোর ডটকম :
সুন্দরবনের লোনা পানির চারটি কুমিরের শরীরে স্যাটেলাইট ট্যাগ লাগানোর পরে দেখা যাচ্ছে, এর তিনটি সুন্দরবনে ফিরে গেলেও একটি বহু পথ ঘুরে এখন বরিশাল বিভাগের জেলা পিরোজপুরে ঘোরাফেরা করছে।
কুমিরের আচরণ ও গতিবিধি জানতে সম্প্রতি চারটি কুমিরের গায়ে স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার বসিয়ে সুন্দরবনে ছেড়ে দেয়া হয়েছিল। এর মধ্যে তিনটি সুন্দরবনের বিশাল এলাকায় চলে যায়। তবে একটি কুমির বন ছেড়ে মংলা, বাগেরহাট, মোড়েলগঞ্জ হয়ে এখন পিরোজপুরে ঢুকে পড়েছে।
মাত্র ১১ দিনে প্রায় ১০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়েছে কুমিরটি। গায়ে বসানো স্যাটেলাইটের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, কুমিরটি বুধবার সকালে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার তুষখালির একটি নদীতে রয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের আশা, নির্দিষ্ট সময় পর হয়তো আবারো সুন্দরবনে ফিরে আসতে পারে কুমিরটি। তবে আপাতত সে তার নিজের জন্য নিরাপদ পরিবেশ খুঁজছে।
গত ১৬ মার্চ স্যাটেলাইট ট্যাগ বসিয়ে কুমিরটি অবমুক্ত করা হয়েছিল সুন্দরবনের হারবাড়িয়া পয়েন্টে। এরপর এটি মংলা, রামপাল, বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জ হয়ে পিরোজপুরে ঢুকেছে।
বন বিভাগ বলছে, এই গবেষণার মাধ্যমে সুন্দরবনের কুমিরের চলাচল ও গতিপথ সম্পর্কে তারা জানতে চায়।
বন সংরক্ষক ও বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞ ইমরান আহমেদ বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, ‘আমরা মূলত এই গবেষণার মাধ্যমে তাদের আচরণ ও বসবাসের পরিবেশ বুঝার চেষ্টা করেছি। যে কুমিরটি বনের বাইরে গেছে সে হয়তো তার বসবাসের জন্য সুবিধাজনক জায়গা খুঁজছে’।
কুমিরের গায়ে স্যাটেলাইট ট্যাগ বসিয়ে নদীতে অবমুক্ত করার কাজটি যৌথভাবে করছে বন বিভাগ ও ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনসারভেশন অব নেচার (আইইউসিএন)। তাদের সহযোগিতা করছে, জার্মান ফেডারেল মিনিস্ট্রি ফর ইকনোমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (জিআইজেড)।
আইইউসিএন -এর প্রোগ্রাম ম্যানেজার সারোয়ার আলম দীপু বিবিসি বাংলাকে বলেন, ‘সুন্দরবনের কুমির কোথায়, কিভাবে বিচরণ করে তা নিয়ে বিস্তারিত কোনো গবেষণা হয়নি। সে কারণেই স্যাটেলাইট ট্যাগ বসিয়ে এই গবেষণাটি করা হচ্ছে’।
বিশ্বে পাখি, কচ্ছপ, নেকড়েসহ বিভিন্ন প্রাণীর শরীরে স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার বসিয়ে তাদের আচরণ নিয়ে গবেষণার নজীর রয়েছে। তবে বাংলাদেশের কুমির নিয়ে এভাবে গবেষণা এই প্রথম করা হচ্ছে।
যেভাবে শুরু হলো গবেষণাটি
গত ১৩ থেকে ১৬ মার্চের মধ্যে মোট চারটি লোনা পানির কুমিরে এই স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার বসানো হয়। এই চারটি কুমিরের মধ্যে দুটি পুরুষ এবং দুটি স্ত্রী কুমির।
এদের মধ্যে পুরুষ কুমির জুলিয়েট সুন্দরবনের করমজলে অবস্থিত দেশের একমাত্র সরকারি কুমির প্রজনন কেন্দ্রের পুকুরে ছিল। আর স্ত্রী কুমির মধুকে সম্প্রতি যশোরের কেশবপুর উপজেলার সাগরদাঁড়ির মাইকেল মধুসূদন দত্তের বাড়ির এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়।
এছাড়া বাকি দুটি কুমির ফাঁদ পেতে ধরা হয় সুন্দরবনের খাল থেকে। এই মোট চারটি কুমিরে স্যাটেলাইট ট্যাগ স্থাপন করে ছেড়ে দেয়া হয় সুন্দরবনের খালে।
এই কাজের জন্য আইইউসিএন বাংলাদেশ নিয়ে আসে কুমির গবেষক ড. সামারাভিরা ও পল বেরিকে। তারা দু’জন অস্ট্রেলিয়া থেকে এসেছিলেন।
আইইউসিএন এর প্রোগ্রাম ম্যানেজার সারোয়ার আলম দীপু বিবিসি বাংলাকে বলেন, ‘এই গবেষক টিমের পরিকল্পনা ছিল মোট পাঁচটি কুমিরের গায়ে স্যাটেলাইট ট্যাগ বসানো। সেই অনুযায়ী কাজ শুরু করি আমরা’।
তবে শেষ পর্যন্ত একটি বাদে মোট চারটি কুমিরের গায়ে বসানো হয় স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার।
কুমিরে কিভাবে বসানো হলো স্যাটেলাইট ট্যাগ?
গত ১৩ মার্চ সুন্দরবনের করমজলের কুমির প্রজনন কেন্দ্র থেকে বাছাই করা হয় জুলিয়েটকে নামের একটি কুমিরকে। সকালেই সেটির শরীরে ট্যাগ বসানোর কাজ শুরু হয়। ট্যাগ বসানো শেষে ওই কুমিরটিকে ছেড়ে দেয়া হয় সুন্দরবনের করমজলের খালে।
যশোরের চিড়িয়াখানা থেকে আনা ‘মধু’ নামের আরেকটি কুমির আনা হয়েছিল আগে থেকেই। একই দিন সেটিতেও স্যাটেলাইট ট্যাগ বসানো হয়। পরে সেটিকেও ছাড়া হয় একই খালে।
ওই গবেষক দল জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াইল্ড লাইফ কম্পিউটার নামে একটি প্রতিষ্ঠান তৈরি করেছে এই স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার কিটটি। এটি এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যাতে এটি পানির নিচে গেলেও যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।
কুমিরের গায়ে বসানো এই ট্রান্সমিটার কিটটির মেয়াদ এক বছর। ব্যাটারিচালিত এই যন্ত্রে থাকে একটি ক্ষুদ্র অ্যান্টেনা। যেটি সরাসরি যুক্ত থাকে স্যাটেলাইটের সাথে। ট্যাগ লাগানোর পরই চালু হয়ে যায় এর লোকেশন অপশন। সেটি প্রতি ঘণ্টার আপডেট তথ্য ম্যাপের মাধ্যমে শেয়ার করে।
গবেষক দলের সদস্য দীপু বিবিসি বাংলাকে বলেন, ‘এই কিটটির মেয়াদ এক বছর হলেও এটি চাইলে আরো বাড়ানো যাবে’।
এর পরের দুই দিন রাতের অন্ধকারে সুন্দরবনের খাল থেকে ফাঁদ পেতে ধরা হয় আরো দু’টি কুমির। সেই দুটির গায়েও একইভাবে বসানো হয় এই স্যাটেলাইট ট্যাগ।
কুমিরের মাথার ওপরের অংশে আঁশের মতো যে স্কেল থাকে। ওই স্যাটেলাইট ট্যাগটি বসানোর জন্য সেখানে ছোট একটা ছিদ্র করতে হয়। ওই ছিদ্রের মধ্যেই বসানো হয় এই স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটারটি।
বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞ ইমরান আহমেদ বিবিসি বাংলাকে বলেন, ‘এই ট্রান্সমিটার চিপটি খুব হালকা। যার ওজন দুই গ্রামেরও কম। যেটি একটি কুমিরের শরীরের ওজনের চেয়েও কয়েকগুণ কম। এই ধরনের চিপ বসানো হলে তাতে কুমিরের কোনো ক্ষতি হয় না’।
ট্যাগ বসানো কুমিরগুলো এখন কোথায়?
কুমির প্রজনন কেন্দ্রের জুলিয়েট, যশোরের চিড়িয়াখানা থেকে আনা মধু এবং সুন্দরবনের খাল থেকে ফাঁদ পেতে ধরা আরও দুটি কুমিরের গতিপথ পর্যালোচনা করা হচ্ছে ওই দিন থেকেই।
এই গতিপথ বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, এর মধ্যে তিনটি কুমিরই আছে সুন্দরবনের মধ্যে। কিন্তু একটি কুমির অন্য পথে চলতে শুরু করেছে।
১৬ মার্চ যে কুমিরটিকে সুন্দরবনের জংলা খাল থেকে ধরে গায়ে স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার বসানো হয়, এর পরদিন থেকেই ওই কুমিরটি সুন্দরবন ছেড়ে ছুটছে লোকালয়ের দিকে।
গত দশ দিনে কুমিরটির গতিপথ বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, এই কুমিরটি সুন্দরবনের হারবাড়িয়া পয়েন্ট থেকে মংলা, রামপাল, বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জ হয়ে বরিশাল বিভাগের পিরোজপুর জেলায় পৌঁছেছে।
স্যাটেলাইট তথ্য বলছে, বর্তমানে বাকি তিনটি কুমিরই এখন অবস্থান করছে সুন্দরবনের মধ্যে নদী ও খালে।
এর মধ্যে জুলিয়েট ও মধু ট্যাগধারী কুমির দুটি হারবাড়িয়া পয়েন্টের কাছাকাছি নদীতে রয়েছে গত কয়েকদিন ধরে। আর অন্য যে কুমিরটিকে করমজল থেকে ধরে ট্যাগ বসিয়ে সেখানকার খালে ছাড়া হয়েছিলো। সেটি এখন আশপাশের খালেই ঘুরে বেড়াচ্ছে।
তিনটি কুমির সুন্দরবনের মধ্যে থাকলেও একটি কেন এত পথ পাড়ি দিয়ে লোকালয়ের নদীগুলোতে ঢুকে পড়েছে সেটি নিয়ে কিছুটা প্রশ্ন আছে গবেষক দলেরও।
গবেষক সারোয়ার আলম দীপু বলছেন, ‘লোনা পানির কুমিরগুলো আসলে কোন কোন দিকে মুভ করে সেটা আমরা জানতে চেয়েছিলাম। স্যাটেলাইট থেকে পাওয়া তথ্য আমাদের এক গবেষণার ধারণাকে স্পষ্ট করছে’।
বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, নিচের দিকে সমুদ্রের কাছে নদীতেও অনেক স্যালাইন থাকে। আবার কোনো কুমির যদি কম লবণাক্ততা পছন্দ করে, সে নিজেকে খাপ খাইয়ে নিতে আশপাশের নদী খালগুলোতে যায়।
বিশেষজ্ঞ আহমেদ বলেন, ‘ওই এলাকার পানিতে লবণাক্ততা কম বলে হয়তো সে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছে। কিংবা সে যা খায় সেগুলো হয়তো সে বেশি পাচ্ছে সে কারণে কুমিরটি ওদিকে অগ্রসর হচ্ছে’।
কুমির নিয়ে এ ধরনের গবেষণা কেন?
বর্তমানে বাংলাদেশে কেবল সুন্দরবন এলাকাতেই প্রাকৃতিক পরিবেশে লোনা পানির কুমির দেখা যায়। তারপরও এই পরিবেশে লোনা পানির কুমিরের এই প্রজাতির প্রজনন খুব একটা হচ্ছে না।
আইইউসিএন’র গবেষক দলটি বলছে, কুমির নিয়ে এর আগে কিছু গবেষণা হলেও বিশদ কোনো কাজ হয়নি। এ কারণেই কুমিরের অভ্যাস আচরণ জানার জন্য এই গবেষণাটি করা হচ্ছে।
আইইউসিএন’র গবেষক দীপু বিবিসি বাংলাকে বলেন, ‘কুমির কোন অঞ্চলে ডিম পাড়ে, কোন অঞ্চলে স্ত্রী-পুরুষের সংখ্যা কেমন সেটা জানার জন্য এমন গবেষণার পরিকল্পনা অনেক দিন আগে থেকেই ছিলও। এবার প্রথমবারের মতো যেটি শুরু হলো।
বিশেষজ্ঞ ও বন কর্মকর্তারা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তন কিংবা লবণাক্ততা বাড়া-কমার কারণেও জীবন জীবিকায় এক ধরনের প্রভাব পড়ছে। হুমকির মুখে পড়ছে এই বন্যপ্রাণীটি। কুমিরগুলোকে বাঁচাতে তাই এই ধরনের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।
জিআইজেড -এর ‘ইন্টিগ্রেটেড ম্যানেজমেন্ট অব সুন্দরবন ম্যানগ্রোভস অ্যান্ড দ্যা মেরিন প্রোটেকটেড এরিয়া সোয়াস অব নো গ্রাউন্ড বাংলাদেশ’ প্রকল্পের আওতায় এই গবেষণাটি চলছে।
বন সংরক্ষক ইমরান আহমেদ বিবিসি বাংলাকে বলেন, ‘এখন যেভাবে লোনা পানির কুমির নিয়ে গবেষণা হচ্ছে। এই গবেষণা ফলপ্রসূ হলে মিঠা পানির কুমির নিয়েও এভাবে গবেষণা করা দরকার বলে মনে করি আমরা’।
কেন হুমকির মুখে কুমির?
বাংলাদেশে লোনা পানির কুমির সুন্দরবনের বাইরে দেখা যায় না। প্রকৃতি সংরক্ষণ বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা আইইউসিএন ২০১৫ সালে বাংলাদেশে বিপন্ন প্রাণীর একটি তালিকা তৈরি করে। যা আইউসিএন রেড লিস্ট নামে পরিচিত। ওই তালিকায় লোনা পানির কুমিরকে বাংলাদেশে বিপন্ন প্রজাতি হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।
এই মুহূর্তে বাংলাদেশে কেবল সুন্দরবনের প্রাকৃতিক পরিবেশেই লোনা পানির কুমির দেখা যায়। এর বাইরে অন্য যেসব কুমির রয়েছে তার অধিকাংশই চিড়িয়াখানাগুলোতে রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, লোনা পানির কুমিরের এই প্রজাতির প্রজনন তেমন বৃদ্ধি পাচ্ছে না।
তাই কুমিরের প্রজনন বৃদ্ধি ও লালন-পালনের জন্য ২০০০ সালে সুন্দরবনের করমজলে বন বিভাগের উদ্যোগে কুমির প্রজনন কেন্দ্র স্থাপন করা হয়।
কুমির প্রজনন কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক আজাদ কবীর বিবিসি বাংলাকে বলেন, ‘এ পর্যন্ত কয়েক দফায় এই প্রজনন কেন্দ্রে জন্ম নেয়া লোনা পানির ২০০-র বেশি কুমির ছাড়া হয় সুন্দরবনের খালগুলোতে। এর মধ্যে লোনা পানির কুমির আছে ১০৭টি আর মিষ্টি পানির কুমির আছে মাত্র তিনটি।
গবেষক ও বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তন, পানিতে লবণাক্ততা হ্রাস-বৃদ্ধি, নদীতে জাল দিয়ে মাছ ধরা, নৌযান চলাচল বৃদ্ধিসহ বেশ কিছু কারণে বর্তমানে সুন্দরবন থেকে কুমিরের সংখ্যা দিন দিন কমছে।
বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞ আহমেদ বিবিসি বাংলাকে বলেন, ‘আমাদের নদীগুলোর মধ্যে এমন কোনো জায়গা নেই যেখানে জাল ফেলে মাছ ধরা হয় না। মিঠা পানির কুমিরগুলো জালে ধরা পড়ে। অনেক কুমির এ কারণে হারিয়ে গেছে। এ কারণে হুমকিতে আছে লোনা পানির কুমিরও’।
বর্তমানে সুন্দরবনে কতগুলো কুমির আছে তা নিয়ে নানা ধরনের তথ্য পাওয়া গেলেও এ নিয়ে সঠিক কোনো জরিপ বা তথ্য নেই বন বিভাগ কিংবা গবেষকদের কাছে। কেন না বিভিন্ন সময় যে গবেষণা হয়েছে সে সব তথ্যে বেশ গড়মিল রয়েছে।
গবেষক সারোয়ার আলম দীপু বিবিসি বাংলাকে বলছেন, ‘একটি গবেষণা তথ্য বলছে- সুন্দরবনে কুমির আছে দেড় শ’ থেকে দুই শ’টি। আরেকটি গবেষণার তথ্য বলছে আড়াই থেকে তিন শ’ লোনা পানির কুমির আছে সুন্দরবনে। সঠিক কোনো তথ্য কারো কাছে নেই’।
এই গবেষক একটি ধারণা দিয়ে বলছেন, সুন্দরবনে কুমির বসবাসের পরিবেশ ও ধারণ ক্ষমতা অনুযায়ী কুমির অনেক কম রয়েছে। তবে প্রাথমিক তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করে তিনি বলছেন, দুই শ’র বেশি কুমির এখন নেই সুন্দরবনের নদী ও খালে।
কারণ হিসেবে তারা বলছেন, পর্যটক বৃদ্ধি, মাছ ধরাসহ নানা কারণে আস্তে আস্তে কুমির যে বন থেকে সরে যাচ্ছে তার একটি উদাহরণ হতে পারে এই গবেষণা। যেমনটি দেখা গেছে স্যাটেলাইটের তথ্যেও।
সূত্র : বিবিসি

মহাকাশে ডিনার করতে গুণতে হবে যত টাকা

বিডি রিপোর্ট টোয়েন্টিফোর ডটকম :
মহাকাশে রেস্তোরাঁ খুলতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের ‘স্পেসভিআইপি’ নামে একটি মহাকাশ পর্যটন সংস্থা। পৃথিবী থেকে রেস্তোরাঁটিতে গিয়ে ডিনার করতে চাইলে গুণতে হবে প্রায় ৫ কোটি ডলার।
স্পেসভিআইপি জানায়, রেস্তোরাঁটি যেই মহাকাশযানে থাকবে, সেটি পৃথিবী থেকে ৯৮ হাজার ফুট উপর দিয়ে ভ্রমণ করবে। আপাতত রেস্তোরাঁটিতে ছয়জন অতিথির বসার টেবিল থাকছে। তারা ৬ ঘণ্টা মহাকাশ ভ্রমণ করবেন। আকাশে ভাসতে ভাসতে তারা রাতের খাবার খেতে পারবেন। এর জন্য মাথাপিছু খরচ হবে প্রায় ৫ কোটি ডলার।
মহাকাশযানটি ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে ২০২৫ সালে যাত্রা শুরু করবে। ইতোমধ্যে রেস্তোরাঁর জন্য বিশ্বের অন্যতম খ্যাতনামা এক ড্যানিশ শেফকে নিয়োগ দিয়েছে সংস্থাটি।
সবচেয়ে দারুণ ব্যাপার হলো মহাকাশযানে চড়ে ডিনার করতে যেতে যাত্রীদের বিশেষ কোনো প্রশিক্ষণ নিতে হবে না। এরইমধ্যে মহাকাশে ডিনার করার জন্য ব্যাপক চাহিদা দেখা যাচ্ছে বলে জানিয়েছে স্পেসভিআইপি।

মোবাইলে ই-লাইসেন্স দেখিয়ে চালানো যাবে গাড়ি

বিডি রিপোর্ট টোয়েন্টিফোর ডটকম :
ড্রাইভিং লাইসেন্স সঙ্গে না রেখেও এখন থেকে স্মার্টফোনে সংগৃহীত ই-লাইসেন্স দেখিয়ে গাড়ি চালাতে পারবেন চালকরা। ইতোমধ্যে এর অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ)। ফলে গ্রাহকদের আর ড্রাইভিং লাইসেন্স এর কার্ড সঙ্গে রাখার ঝামেলা পোহাতে হবে না।
রবিবার (২৪ মার্চ) বিআরটিএ সংস্থাপন শাখার উপসচিব মো. মনিরুল আলম স্বাক্ষরিত এক সংশোধিত প্রজ্ঞাপনে এ আদেশ জারি করা হয়।
প্রজ্ঞাপন থেকে জানা গেছে, ই-ড্রাইভিং লাইসেন্স ব্যবহার করে ভিসা প্রসেসিং, বিদেশে ব্যবহার, চাকরিতে নিয়োগ ইত্যাদি প্রয়োজনে মোটরযান চালকদের ড্রাইভিং লাইসেন্স কার্ড ও ই-ড্রাইভিং লাইসেন্স উভয়ই সমানভাবে গ্রহণযোগ্য হবে। এতে থাকা কিউআর কোড দ্বারা সরাসরি ডাটাবেইজ থেকে ড্রাইভিং লাইসেন্স সম্পর্কি তথ্য যাচাই করা যাবে।
এ বিষয়ে বিআরটিএ চট্টগ্রাম মেট্রো-২ সার্কেলের উপ-পরিচালক সৈয়দ আইনুল হুদা চৌধুরী বলেন, দেশে ড্রাইভিং লাইসেন্স স্মার্ট কার্ড ব্যবহার করে মোটরযান চালানো যায়। তবে এখন থেকে ই-লাইসেন্স যুক্ত করা হয়েছে। ড্রাইভিং লাইসেন্স সঙ্গে না রেখেও স্মার্টফোনে সংরক্ষণ করা ই-ড্রাইভিং লাইসেন্স দেখিয়েও চালকরা গাড়ি চালাতে পারবেন। পাশাপাশি সরকারি বেসরকারি অন্যান্য কাজেও স্মার্টফোনের ই-ড্রাইভিং লাইসেন্স ব্যবহার করতে পারবেন।

জিম্মি নাবিকদের মুক্তি মিলবে কবে ?

বিডি রিপোর্ট টোয়েন্টিফোর ডটকম :

সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে পড়া বাংলাদেশি জাহাজ ও জিম্মি ২৩ নাবিককে এখনও উদ্ধার করা সম্ভাব হয়নি। গত ১২ মার্চ জাহাজটি ছিনতাইয়ের পর বিভিন্নভাবে চেষ্টা ও দস্যুদের সঙ্গে যোগাযোগ করেও নাবিকদের মুক্তির বিষয়ে সমাধান আসেনি। যদিও জাহাজের মালিকপক্ষ বলছে, ঈদের আগেই নাবিকদের মুক্তির বিষয়ে তারা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

এমভি আবদুল্লাহর মালিক প্রতিষ্ঠান এসআর শিপিংয়ের মুখপাত্র মো. মিজানুল ইসলাম বলেন, দস্যুদের সঙ্গে তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে আলোচনা শুরু হয়েছে। ঈদের আগেই নাবিকদের মুক্তির বিষয়ে বিভিন্নভাবে জোর চেষ্টা চলছে।

এদিকে, জিম্মি শামসুদ্দিনের ভগ্নিপতি বদরুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, নাবিকরা সবাই সুস্থ আছে বলে আমার শ্যালক জানিয়েছেন। তবে গত কিছুদিন ধরে জাহাজে এক ইংরেজি জানা লোক যুক্ত হয়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে, তার মাধ্যমে দস্যুরা জাহাজ মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন।

এর আগে, গত ৪ মার্চ আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিকের মাপুটো বন্দর থেকে যাত্রা শুরু করে এমভি আবদুল্লাহ। জাহাজটি কয়লা নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ১২ মার্চ দুপুরে ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে পড়ে জাহাজটি।

উল্লেখ্য, ২০১০ সালের ৫ ডিসেম্বর আরবসাগরে একই প্রতিষ্ঠানের জাহাজ ‘এমভি জাহান মণি’ জলদস্যুদের কবলে পড়েছিল। পরে ওই জাহাজের ২৫ নাবিক ও প্রধান প্রকৌশলীর স্ত্রীকে জিম্মি করে দস্যুরা। পরে নানাভাবে দেনদরবার ও দরকষাকষি শেষে দস্যুদের সঙ্গে সমঝোতা করে ২০১১ সালের ১৪ মার্চ তাদের বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনা হয়।

সিএনজির ভেতরে পু/ড়ে ছাই সেই চালকের সঙ্গে কী ঘটেছিল ?

বিডি রিপোর্ট টোয়েন্টিফোর ডটকম :
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চন্দনাইশ উপজেলায় একটি চলন্ত সিএনজি অটোরিকশায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের পর আগুনে দগ্ধ হয়ে চালক মারা গেছেন। জানা যায়, পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে ট্রাকের সঙ্গে ধাক্কায় বিস্ফোরণের পর আগুন লাগলে ওই দুর্ঘটনা ঘটে। এতে ওই গাড়িতে থাকা তিন যাত্রী বের হতে পারলেও ভেতরেই পুড়ে অঙ্গার হয় চালক।
সোমবার (২৫ মার্চ) বিকেল ৩টার দিকে উপজেলার গাছবাড়িয়া কলঘর এলাকায় এ ঘটনার পর বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী রাস্তাটি অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। এতে সড়কে দীর্ঘ যানজট তৈরি হয়।
নিহত মো. আবদুস সবুরের বাড়ি সাতকানিয়া উপজেলার পশ্চিম ঢেমশার ইছামতী আলীনগর এলাকায়। তার মৃত্যুর খবর শুনে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন শিশুসন্তানসহ পরিবারের সদস্যরা। এ সময় তারা কান্নায় ভেঙে পড়েন। তাদের আহাজারিতে পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। সবুরের স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, যাত্রী নিয়ে পটিয়া থেকে সাতকানিয়ার দিকে যাচ্ছিলেন আবদুস সবুর। চন্দনাইশের গাছবাড়িয়া বরগুনি ব্রিজ পার হয়ে রাস্তায় ট্রাফিক পুলিশ দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেন। তারা আটক করলে টাকা দিতে হবে- এই ভয়ে দ্রুত তিনি গাড়ি ঘুরিয়ে নেয়ার সময় পেছন থেকে বালুবাহী একটি ডাম্প ট্রাক ধাক্কা দেয়। এতে পেছনে থাকা সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়ে আগুন ধরে যায়। অটোরিকশায় আগুন ধরে যেতে দেখে পুলিশের গাড়িটি পালিয়ে যায়। এ সময় বিক্ষুব্ধ লোকজন জড়ো হয়ে মহাসড়ক অবরোধ করেন। গাছের গুঁড়ি ফেলে ব্যারিকেড দিয়ে জড়িতদের শাস্তি দাবি করা হয়। পুলিশের একটি গাড়ি অতিক্রম করার চেষ্টা করলে আন্দোলনকারীরা তা ভাঙচুরের চেষ্টা করেন। পরে চন্দনাইশ থানা পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। লাশ উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়।
বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, মহাসড়কে সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলাচল নিষিদ্ধ। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে অটোরিকশা আটক করে চালকদের কাছ থেকে নিয়মিত টাকা হাতিয়ে নেয় জেলা ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা। তাদের টাকা দিলে ঠিকই মহাসড়কে তিন চাকার যান চালানো যায়।
ঘটনাস্থলে সাইফুল নামে এক ব্যক্তি বলেন, সড়কে দাঁড়িয়ে সিএনজিচালিত অটোরিকশাসহ বিভিন্ন গাড়ি ধরছিল পুলিশ। দূর থেকে তা দেখে অটোরিকশাটি ঘুরিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে দুর্ঘটনার শিকার হন সবুর। আরেক ব্যক্তি বলেন, ‘বিক্ষুব্ধ লোকজন জড়ো হতে দেখে পুলিশ পালিয়ে যায়।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে আরেকজন বলেন, ‘সার্জেন্ট গোলাম হোসেন সবুজ মাঝেমধ্যেই দু’জন ট্রাফিক পুলিশ নিয়ে প্রাইভেটকার ও মোটরসাইকেলযোগে সেখানে যান। অটোরিকশা ধরে ধরে চন্দনাইশ থানায় পাঠিয়ে দেন। একেকটা অটোরিকশা থেকে ৭ থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত হাতিয়ে নেন তিনি। টাকা না দিলে মামলা দিয়ে দেন।’
হাইওয়ে পুলিশের দোহাজারী থানার ওসি খান মোহাম্মদ এরফান বলেন, ‘হাইওয়ে পুলিশের কোনো টিম ঘটনাস্থলে ছিল না। একটি দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে শুনেছি।’ তবে চট্টগ্রাম জেলা ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট গোলাম হোসেন সবুজের নেতৃত্বে দুপুর দেড়টা থেকে গাছবাড়িয়ার বরগুনি ব্রিজ এলাকায় চেকপোস্ট বসানো হয়েছিল বলে জানিয়েছেন হাইওয়ে পুলিশের এক কর্মকর্তা।
অভিযোগের বিষয়ে সার্জেন্ট সবুজ বলেন, ‘আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম না। রমজানে সড়কে আমাদের চেকপোস্ট বসানো বন্ধ। লোকজন কেন অভিযোগ করছে জানি না। মহাসড়কে তিন চাকার গাড়ি চলাচল নিষিদ্ধ। তাই কোনো গাড়ি আটক করলে মামলা দিয়ে চন্দনাইশ থানায় পাঠিয়ে দিই। আজ (গতকাল) কোনো গাড়ি আটক করিনি।’
জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) এ এন এম ওয়াসিম ফিরোজ বলেন, ‘এখন চেকপোস্ট বন্ধ রাখার নির্দেশনা রয়েছে। আর জেলা ট্রাফিক পুলিশের বক্স আছে দোহাজারীতে। ঘটনাস্থল আরও এক কিলোমিটার দূরে। সবুজের নেতৃত্বে চেকপোস্ট বসানোর অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযোগের প্রমাণ পেলে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

স্বাধীনতা দিবসেও থেমে নেই সিরাজদিখানের ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী শেখ মনির হোসেন মিলন

স্বাধীনতা দিবসেও থেমে নেই সিরাজদিখানের ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী শেখ মনির হোসেন মিলন

নিজস্ব প্রতিবেদক : স্বাধীনতা দিবসেও থেমে নেই সিরাজদিখানের ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী শেখ মনির হোসেন মিলন। মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) ভোরে মহান স্বাধীনতার স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর থেকে শুরু হয়েছে গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ।
এসময় তিনি মুন্সিগঞ্জ ১ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মহিউদ্দিন আহমেদ থেকে শুরু করে বীর মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গর সাথে গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ করেন।

সিরাজদিখানে পিকাপ ও রিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ নিহত ১ আহত ২

শোভন সারোয়ার, সিরাজদিখান (মুন্সিগঞ্জ) প্রতিনিধি:

ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কে পিকাপ ভ্যান ও রিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে শাওন মন্ডল নামে ৮বছর বয়সী শিশু নিহত হয় এতে আহত হয় আরো ২জন। সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে সিরাজদিখান উপজেলার কুচিয়ামোড়া এলাকায় ঘটে এই ঘটনা। নিহত শাওন মন্ডল উপজেলার চন্ডিবরদী গ্রামের শইলেন মন্ডল ছেলে এতে আহতরা হলেন শইলেন মন্ডল(৪০) ও তার স্ত্রী মনিকা মন্ডল।

হাসাড়া হাইওয়ে থানার ওসি কাঞ্চন কুমার সিংহ জানান, নিমতলা থেকে একটি রিকশা কুচিয়ামোড়ার দিকে যাচ্ছিল অপর দিক থেকে আশা মাওয়াগামী একটি পিকআপ ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলে একটি শিশু নিহত হয়। এ ঘটনা তার বাবা ও মা গুরুতর আহত হয়। ঘাতক পিকআপ চালক পিকআপটিকে আটক করা হয়েছে আইনত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

ভুটানের সঙ্গে জলবিদ্যুৎ আমদানি চুক্তি শিগগিরই : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

বিডি রিপোর্ট টোয়েন্টিফোর ডটকম :
আমদানির জন্য নেপালের পর এবার ভুটানের সঙ্গেও চুক্তি করতে চাইছে সরকার। আর কাঙ্ক্ষিত সেই চুক্তি শিগগিরই হবে বলে প্রত্যাশা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের।
সোমবার (২৫ মার্চ) দুপুরে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুকের সঙ্গে বৈঠকের পরে এ প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ভুটান থেকে আমরা জলবিদ্যুৎ আমদানি করতে চাইছি। আমরা ইতোমধ্যে নেপাল থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানির জন্য চুক্তি সই করেছি এবং ভারত এ ব্যাপারে আমাদের সহায়তা করেছে। ভুটান থেকে আমদানির সময়ও ভারত আমাদের সহায়তা করবে।’
তবে, ভুটান রাজার এবারের সফরেই এই চুক্তি হচ্ছে না জানিয়ে তিনি বলেন, ‘জলবিদ্যুৎ আমদানিতে ভুটানের সঙ্গে এবার চুক্তি সই হচ্ছে না। আরও কিছু কাজ বাকি আছে। তবে আমরা আশা করছি, এটি খুব শিগগিরই হবে।’
এবারের বৈঠকে আঞ্চলিক যোগাযোগ বৃদ্ধির বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে জানিয়ে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, যোগাযোগ বাড়ানোর জন্য বাংলাদেশ-ভুটান-ইন্ডিয়া-নেপাল (বিবিআইএন) আবার যুক্ত হোক, এ জন্য অনুরোধ জানিয়েছি। মানুষে-মানুষে যোগাযোগ বাড়ানোর জন্য আমি তাদের বিবিআইএন-এ আবার যোগ দেওয়ার বিষয়টি আলোচনায় এনেছি। ভুটানের রাজাও বিষয়টি গুরুত্বসহকারে শুনেছেন।
তিনি বলেন, ভুটানে বিমান ফ্লাইট সপ্তাহে মাত্র দুটি, এটি বাড়ানোর বিষয় নিয়েও কথা হয়েছে। তবে, ভুটানে বাংলাদেশিদের ট্রাভেল ট্যাক্স কমানোর বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি।
সরকার ভুটানকে কুড়িগ্রামে একটি অর্থনৈতিক জোন স্থাপনের জন্য জায়গা দিতে যাচ্ছে বলেও এ সময় জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
এর আগে সোমবার সকালে চার দিনের সফরে ঢাকা এসে পৌঁছান ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুক। বিমানবন্দরে তাকে অভ্যর্থনা জানান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

সর্বশেষ আপডেট...