প্রচ্ছদ জাতীয় ৩৭ জেলায় সম্প্রসারণ হচ্ছে সার্কিট হাউজ

৩৭ জেলায় সম্প্রসারণ হচ্ছে সার্কিট হাউজ

দেশের ৩৭টি জেলায় সার্কিট হাউজ সম্প্রসারণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এর আওতায় বিদ্যমান সার্কিট হাউজগুলোর ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ করা হবে।

মঙ্গলবার অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান একনেক শেষে অনুমোদন পাওয়া প্রকল্পগুলো নিয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এ কথা বলেন।

পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশের প্রতিটি জেলাতে ডিসি অফিসের আওতায ন্যূনতম একটি করে ২ থেকে ৩ তলা বিশিষ্ট সার্কিট হাউজ রয়েছে, যা বিভিন্ন সরকারি কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে।

মন্ত্রী, সংসদ সদস্য ও সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের রাষ্ট্রীয় সফরে রাত্রিযাপন ও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সভা এখানে আয়োজন করা হয়ে থাকে। বর্তমান সার্কিট হাউজগুলো অনেক আগের সময়ের প্রেক্ষিতে নির্মাণ করা হয়েছিল। কিন্তু সেই সময়ের তুলনায় বর্তমানে সংসদ আসন ও সরকারি কর্মকর্তাদের সংখ্যা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। তাছাড়া দিন দিন দেশে কাজের পরিধি বেড়ে যাওয়ায় বর্তমানে বেশিরভাগ সার্কিট হাউজগুলোতেই স্থান সংকুলান হচ্ছে না। অনেক মন্ত্রী, সংসদ সদস্য ও সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের রাষ্ট্রীয় সফরে এসে বিভিন্ন বেসরকারি হোটেলে নিরাপত্তাহীনতার সঙ্গে রাত্রিযাপন করতে হচ্ছে। এ অবস্থায় নতুন সার্কিট হাউজ ভবন নির্মাণ অথবা বিদ্যমান হাউজ ভবনগুলোকে ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ করা অত্যন্ত জরুরি। এটি বাস্তবায়িত হলে সরকারি চাকরিজীবীদের স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রার পরিবেশ সৃষ্টির মাধ্যমে সুশাসন ও দক্ষ সেবা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়নে খরচ ধরা হয়েছে ১৭০ কোটি ৫৬ লাখ টাকা।

পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী আরো জানান, দেশের কৃষি সেক্টরের উন্নয়নের উদ্দেশ্যে ১৯৬১ সনে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠত হয়, যা প্রতিষ্ঠার লগ্ন থেকেই কৃষিভিত্তিক দক্ষ জনবল সৃষ্টিতে বিশ্বস্ততার সাথে দায়-দায়িত্ব পালন করে আসছে। বর্তমানে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছয়টি অনুষদ ও ৪৩টি বিভাগে শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। অদ্যাবধি এ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৪৩৮০৯ জন গ্রাজুয়েট তৈরি হয়েছে যারা সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থায় দেশে ও বিদেশ কর্মরত আছে। ইতিমধ্যেই এ বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেকগুল গবেষণা প্রকল্প সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা হয়েছে। যার মাধ্যমে বিভিন্ন শস্যের উন্নত জাত, লাইভ-স্টক, ম্যানেজমেন্ট প্যাকেজ এবং প্রযুক্তি প্রয়োগের কলাকৌশল উদ্ভাবন করে কৃষক পর্যায়ে সম্প্রসারণ করা হয়েছে। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকতর উন্নয়ন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ লক্ষ্যেই ‘বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকতর উন্নয়ন’  প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়েছে। কৃষিভিত্তিক মৌলিক ও প্রায়োগিক শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য একাডেমিক এবং গবেষণাগারের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করা; একাডেমিক, প্রশাসনকি, আবাসিক এবং অন্যান্য সুবিধাদি সম্প্রসারণের মাধ্যমে শিক্ষার মান উন্নয়ন; ল্যাব যন্ত্রপাতিসহ শিক্ষা উপকরণ সরবরাহের মাধ্যম তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক শিক্ষার মান উন্নয়ন; এবং ক্রমবর্ধমান চাহিদার আলোকে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন শিক্ষা প্রদানের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তির সক্ষমতা বৃদ্ধি করাই এ প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য।

আজকের উপস্থাপিত ৬টি (নতুন ও সংশোধিত)  প্রকল্পের মোট ব্যয় ২ হাজার ৯২০ কোটি ৩৯ লক্ষ টাকা। এর মধ্যে জিওবি ২ হাজার ৭০ কোটি ১৪ লক্ষ টাকা, সংস্থার নিজস্ব তহবিল ২২৪ কোটি ৫৫ লক্ষ টাকা এবং প্রকল্প সাহায্য ৬২৫ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা।