প্রচ্ছদ সারাদেশ রাজশাহী বিভাগ ১৪ বিজিবি’র ৫২তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী অনুষ্ঠিত

১৪ বিজিবি’র ৫২তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী অনুষ্ঠিত

ব্রেলভীর চৌধুরী, নওগাঁ জেলা প্রতিনিধিঃ ১৪ বর্ডার গার্ড ব্যাটেলিয়ন (বিজিবি)র ৫২তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে বৃহষ্পতিবার পতœীতলায় ১৪ বর্ডার গার্ড ব্যাটেলিয়ন (বিজিবি)র ক্যাম্প চত্বরে প্রিতি ভোজ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে দিনটি পালিত হয়েছে।

এর গত ০৮ জানুয়ারি ২০১৯ মঙ্গলবার ফজর নামাজের পর ইউনিট মসজিদে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের মাধ্যমে পতœীতলা ব্যাটালিয়নের ৫২তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন কার্যক্রম শুরু হয়। এরপর কোয়ার্টার গার্ডে রেজিমেন্টাল পতাকা উত্তোলন এবং অধিনায়কের বিশেষ দরবার অনুষ্ঠিত হয়। অবশিষ্ট কর্মসূচী হিসেবে ১০ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার কেক কাটা শেষে দুপুরে প্রীতিভোজ অনুষ্ঠিত হয়। প্রীতিভোজে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রংপুর রিজিয়ন কমান্ডার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবু তাহের মোহাম্মদ ইব্রাহিম, এনডিসি।

এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী সেক্টর কমান্ডার, কর্ণেল মুশফিকুর রহমান মাসুম, পতœীতলা ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক, লেঃ কর্ণেল মোঃ জাহিদ হাসান, পিবিজিএম, জি+, উপ অধিনায়ক মেজর এএসএম রবিউল হাসান, রাজশাহী সেক্টরের অধীনস্থ ইউনিট সমূহের ব্যাটালিয়ন অধিনায়কগণ, নওগাঁ জেলা প্রশাসক মিজানুর রহমান সহ সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক এর প্রতিনিধি হিসেবে এডিএম, নওগাঁ পুলিশ সুপার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পতœীতলা সার্কেল, স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী অফিসারগণ, বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া প্রতিনিধি, গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও পতœীতলা ব্যাটালিয়নের সকল স্তরের সৈনিকবৃন্দ প্রমূখ। অত্যন্ত উৎসবমূখর ও আনন্দঘন পরিবেশে প্রীতিভোজ শেষে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী’র সমাপনী কর্মসূচী হিসেবে সন্ধ্যায় “পৌষের হিমেল সন্ধ্যায় উষ্ণতার একটু ছোঁয়া” নামে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

১৯৬৭ সালের ০৮ জানুয়ারি চট্টগ্রামের ডবলমুরিং এর তৎকালীন ইপিআর এর ১৪তম উইং হিসেবে বর্তমান পতœীতলা ব্যাটালিয়ন (১৪ বিজিবি) প্রতিষ্ঠা লাভ করে। দীর্ঘ ১৯৬৭ সাল হতে অদ্যাবধি এই ব্যাটালিয়ন সরকার কর্তৃক অর্পিত সকল দায়িত্ব এবং দেশমাতৃকার সীমান্ত রক্ষার মত পবিত্র দায়িত্ব অত্যন্ত দক্ষতা, নিষ্ঠা ও সুনামের সাথে পালন করে আসছে। উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে এই ব্যাটালিয়নের ৩৫ জন বিভিন্ন পদবীর সৈনিক শহীদ হন এবং ১৯৮৪ সালে পার্বত্য চট্টগ্রামের মারিশ্যায় দায়িত্ব পালনকালে তথাকথিত শান্তিবাহিনীর সাথে সম্মুখ যুদ্ধে ২জন সৈনিক শাহাদাৎ বরণ করেন।