প্রচ্ছদ আর্ন্তজাতিক ১২ ক্লাস পাস ব্যক্তিকে ফের প্রধানমন্ত্রী করবেন না: কেজরিওয়াল

১২ ক্লাস পাস ব্যক্তিকে ফের প্রধানমন্ত্রী করবেন না: কেজরিওয়াল

২০১৪ সালে ভারতের মানুষ একবার দ্বাদশ শ্রেণি উত্তীর্ণ একজনকে দেশের প্রধানমন্ত্রী করেছেন, ২০১৯ সালে সেই একই ভুল আপনার আর করবেন না। দিল্লির যন্তরমন্তর থেকে দেশবাসীকে এই বার্তা দিয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী ও আম আদমি পার্টি (আপ) প্রধান অরবিন্দ কেজরিয়াল। গতকাল বুধবার দিল্লির ধরনা মঞ্চ থেকে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে কটাক্ষ করে এই মন্তব্য করেন তিনি।

রাফাল যুদ্ধ বিমান চুক্তি কেলেঙ্কারিতে মোদির জড়িত থাকার অভিযোগ তোলার পাশাপাশি তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে খোঁচা দিয়ে কেজরিওয়াল বলেন, ‘গতবার একজন ১২ ক্লাস উত্তীর্ণ একজন ব্যক্তিকে আপনারা দেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন করেছিলেন। এবার আর ওই একই ভুল করবেন না এবং এমন একজন ব্যক্তিকে খুঁজুন যিনি শিক্ষিত। কারণ একজন দ্বাদশ উত্তীর্ণ ব্যক্তির বোঝার ক্ষমতা নেই যে তিনি কোথায় স্বাক্ষর করছেন’।

কেজরিওয়ালের ডাকে দিল্লিতে ‘একনায়কতন্ত্র হটাও, গণতন্ত্র বাঁচাও’ সমাবেশে হাজির ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা ব্যনার্জি, তেলেগু দেশম পার্টি (টিডিপি) প্রধান চন্দ্রবাবু নাইডু, সিপিআইএম সবর্ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরিসহ একাধিক অ-বিজেপি দলের নেতারা। আর প্রত্যেকের গলাতেই ছিল ‘বিজেপি বিরোধীতার সুর।
কেজরির সুরে সুর মিলিয়ে চন্দ্রবাবু নাইডুও বলেছেন, দেশের একজন শিক্ষিত প্রধানমন্ত্রী দরকার। ট্যুইট করে তিনি জানান, ‘আমি ভারতের মানুষকে আবেদন জানাবো যে আসন্ন নির্বাচনে তাদের ভোট দেওয়ার আগে তারা যেন বিজ্ঞতার সাথে ভোট দেন। ভারতের প্রবৃদ্ধির জন্য যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে এবং এমন এক পরিস্থিতিতে দেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য শিক্ষিত প্রধানমন্ত্রী প্রয়োজন। এই দেশে একজন অত্যাচারির প্রয়োজন নেই-যে গণতন্ত্র ও সংবিধানকে ধ্বংস করবে।’

১৯৭৮ সালে নরেন্দ্র মোদির দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএ ডিগ্রি নিয়ে বিতর্ক দীর্ঘদিনের। বিরোধীদের অভিযোগ মোদির ওই ডিগ্রি ভুয়া। মোদির শিক্ষাগত যোগ্যতার সত্যতা জানতে তথ্য জানার অধিকার (আরটিআই)-আইনেও একাধিক মামলা করা হয়েছে। দেশটির মুখ্য তথ্য কমিশনারও দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়কে চিঠি দিয়ে এই সম্পর্কিত তথ্যের সত্যতা যাচাইয়ের নির্দেশ দিয়েছেন।