প্রচ্ছদ সারাদেশ হাসপাতালে কিশোরীকে ধর্ষণ, ইন্টার্ন চিকিৎসক গ্রেপ্তার

হাসপাতালে কিশোরীকে ধর্ষণ, ইন্টার্ন চিকিৎসক গ্রেপ্তার

সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীর স্বজন এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে ইন্টার্ন চিকিৎসককে গ্রেপ্তার  করেছে পুলিশ।

ইন্টার্ন চিকিৎসক কাজী মাহতাব মাহবুব মাহিনকে সোমবার দুপুরে গ্রেপ্তার করা হয়।

হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. দেবপদ রায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, একটি মেয়ের অভিযোগের প্রেক্ষিতে সোমবার দুপুর ২টার দিকে ইন্টার্ন চিকিৎসক ডা. মাহিনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মাহিন ওসমানী মেডিকেল কলেজের ৫১তম ব্যাচের ছাত্র ছিলেন বলে জানান তিনি।

মাহিনের গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছা উপজেলায়। তিনি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নাক, কান ও গলা বিভাগের ইন্টার্ন চিকিৎসক। নির্যাতনের শিকার মেয়েটি (১৬) সিলেট নগরের বনকলাপাড়ায় পরিবারের সঙ্গে বসবাস করে। নানীর সঙ্গে অ্যাটেনডেন্ট হিসেবে হাসপাতালে অবস্থান করছিল সে। ভোরে তাকে ওসিসিতে ভর্তি করা হয়।

মেয়েটির পক্ষ থেকে মহানগর পুলিশের কোতোয়ালি থানায় দাখিল করা অভিযোগে বলা হয়, ‘‘ওই মেয়েটির নানী গত তিন দিন পূর্বে ওসমানী এম এ জি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মহিলা ওয়ার্ডে ভর্তি হন। নানীর সঙ্গে হাসপাতালে অ্যাটেনডেন্ট ছিল ওই মেয়ে। নানীর প্রেসক্রিপশন নিয়ে রোববার রাত ৩টার দিকে মেয়েটি ৮নং ওয়ার্ডে গিয়ে কোনো চিকিৎসককে পায়নি। এরপর ৭নং ওয়ার্ডে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. মাহিন তার ওপর পাশবিক নির্যাতন চালান।’’

মহানগর পুলিশের কোতোয়ালি মডেল থানার এসি গোলাম সাদেক কাউসার দস্তগীর জানান, এ ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের হয়েছে। মেয়েটি বর্তমানে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি আছে।