প্রচ্ছদ আজকের সেরা সংবাদ সেই আলোচিত রাজাবাবুর দাম উঠেছে কত লাখ টাকা?

সেই আলোচিত রাজাবাবুর দাম উঠেছে কত লাখ টাকা?

মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার দেলুয়া গ্রামের রাজাবাবু। যার উচ্চতা ৬ ফুট ৭ ইঞ্চি, বুকের মাপ ১০ ফুট, লম্বায় ৮ ফুট, ওজন ৫২ মণ। এবারের কুরবানি ঈদে দেশের সবচেয়ে বড় গরু দাবি করা হচ্ছে এই রাজাবাবুকে। উন্নত হলস্টেইন ফ্রিজিয়ান জাতের এই গরুর দাম উঠেছে ১৮ লাখ টাকা।

মানিকগঞ্জের স্থানীয় হাট ও ব্যাপারীদের কাছ থেকে রাজাবাবুর উপযুক্ত দাম না উঠায় হতাশ হয়ে পড়েন খান্নু মিয়া। বাধ্য হয়ে এই বিশাল আকারের গরুটিকে নিয়ে ঢাকার গাবতলির গরুর হাটে আনেন তিনি। এখানে রাজাবাবুর দাম উঠেছে ১৮ থেকে ১৯ লাখ টাকা পর্যন্ত।

রাজাবাবুর মালকিন পরিষ্কার বেগম বলেন, গত বছর তো রাজাবাবুর এই দাম বাড়িতে-ই বলেছিল লোকজন। এ বছর রাজাবাবুর কোন দাম-ই বলেনি। যাও বলেছে তা গত বছরের চেয়ে অনেক কম। গ্রাম থেকে চড়া সুদে টাকা এনে রাজাবাবুকে লালন পালন করেছি। তাই কম দামে কেমনে দেই।

মানিকগঞ্জের স্থানীয় গরু হাটের ব্যাপারী শুকুর মিয়া বলেন, এমনিতেই বড় গরুর চাহিদা কম, তার মধ্যে ৫২ মণের গরু সারা বাংলাদেশে দুয়েকটা থাকতে পারে কিনা সন্দেহ। এ সমস্ত গরু সৌখিন মানুষেরা বেশি কিনে। তবে খান্না মিয়া গরু ২২ লাখ টাকা বিক্রি করতে না পারলে সে বড় ধরনের লোকসানের মধ্যে পড়বে। এ গরুর পিছনে তার অনেক টাকা খরচ হয়েছে।

খামারি রাজাবাবুর মালিক খান্নু মিয়া বলেন, এ বছর বাড়িতে রাজাবাবুর কোন দামই উঠেনি। তাই বাধ্য হয়ে গাবতলির হাটে নিয়ে এসেছি। এখানে তো ছোট গরুর চাহিদা দেখছি বেশি, বড় গরুর তেমন চাহিদা নাই। ভোরে গরু নিয়ে আসার সাথে সাথে কয়েকজন ব্যাপারী ১৮ থেকে ১৯ লাখ টাকা দাম বলেছে।

এ দামে গরু বিক্রি করলে আমার অনেক লোকসান হয়ে যাবে। ২২ লাখ টাকা বিক্রি করতে পারলে কিছু টাকা লাভ হবে বলে দাবি করলেন রাজাবাবুর মালিক খান্নু।

উল্লেখ্য, খান্নু মিয়া সাভারের বারাহিরচর এলাকার কৃষক কুদ্দুস মুন্সীর কাছ থেকে ১৮ মণ ওজনের এই গরুটি কিনেন ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকায়।এক বছর লালন-পালনের পর গত কোরবানির ঈদে এর ওজন বেড়ে হয় ৩৯ মণ। ক্রেতারা দাম করেছিলেন ১৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা। আর একটু বেশি দামের আশায় অপেক্ষা করতে করতে শেষ পর্যন্ত গতবার গরুটি বিক্রি করতে পারেননি। বর্তমানে রাজাবাবুর ওজন ৫২ মণ।