প্রচ্ছদ আইন আদালত সাত খুন মামলার রায়ে বিচারপতিদের স্বাক্ষর

সাত খুন মামলার রায়ে বিচারপতিদের স্বাক্ষর

নারায়ণগঞ্জে আলোচিত সাত খুন মামলায় কাউন্সিলর নূর হোসেন, র‌্যাব-১১ এর  প্রাক্তন অধিনায়ক তারেক সাঈদ, প্রাক্তন র‌্যাব কর্মকর্তা আরিফ হোসেন, মাসুদ রানাসহ ১৫ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে দেওয়া হাইকোর্টের রায়ে বিচারপতিরা স্বাক্ষর করেছেন।

রায় প্রদানকারী বিচারপতি ভবানী প্রসাদ সিংহ ও বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম বৃহস্পতিবার বিকেলে ৮ শতাধিক পৃষ্ঠার এ রায়ের কপিতে স্বাক্ষর করেন।

সংশ্লিষ্ট কোর্টের আইন কর্মকর্তা জাহিদ সরোয়ার কাজল রাইজিংবিডিকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। দ্রুত এ রায় সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে বলে জানান তিনি।

গত বছরের ২২ আগস্ট সাত খুন মামলায় নূর হোসেন, তারেক সাঈদ, আরিফ হোসেন, মাসুদ রানাসহ ১৫ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে নিম্ন আদালতে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত অন্য ১১ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়া, নিম্ন আদালতে বিভিন্ন মেয়াদে সাজাপ্রাপ্ত ৯ জনের দণ্ড বহাল রাখেন আদালত।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অন্য আসামিরা হলেন- হাবিলদার এমদাদুল হক, আরওজি-১ আরিফ হোসেন, ল্যান্স নায়েক হীরা মিয়া, ল্যান্স নায়েক বেলাল হোসেন, সিপাহি আবু তৈয়ব, কনস্টেবল মো. শিহাব উদ্দিন, এসআই পুর্নেন্দু বালা, সৈনিক আব্দুল আলীম, সৈনিক মহিউদ্দিন মুন্সী, সৈনিক তাজুল ইসলাম ও সৈনিক আল আমিন।

মৃত্যুদণ্ডের সাজা কমিয়ে যাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে তারা হলেন- সৈনিক আসাদুজ্জামান নুর, সার্জেন্ট এনামুল কবীর, নুর হোসেনের সহযোগী মুর্তুজা জামান চার্চিল, আলী মোহাম্মদ, মিজানুর রহমান দিপু অরফে মিজান, মো. রহম আলী, মো. আবুল বাসার, সেলিম, মো. সানাউল্লাহ অরফে সানা, ম্যানেজার শাহজাহান ও জামাল উদ্দিন।

গত বছরের ৩০ ও ৩১ জানুয়ারি মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত নূর হোসেন, তারেক সাঈদসহ আসামিরা খালাস চেয়ে হাইকোর্টে আপিল দায়ের করেন।

গত বছরের ১৬ জানুয়ারি সাত খুনের মামলায় নূর হোসেন, তারেক সাঈদসহ ২৬ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত। বাকি নয় আসামির সবাইকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল বেলা দেড়টার দিকে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড থেকে অপহৃত হন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম, আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাতজন। তিন দিন পর ৩০ এপ্রিল শীতলক্ষ্যা নদীতে একে একে ভেসে ওঠে ছয়টি লাশ। পরের দিন মেলে আরেকটি লাশ। নিহত অন্যরা হলেন- নজরুলের বন্ধু মনিরুজ্জামান স্বপন, তাজুল ইসলাম, লিটন, গাড়িচালক জাহাঙ্গীর আলম ও চন্দন সরকারের গাড়িচালক মো. ইব্রাহীম।

ঘটনার এক দিন পর কাউন্সিলর নজরুলের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বাদী হয়ে আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা (পরে বহিষ্কৃত) নূর হোসেনসহ ছয়জনের নাম উল্লেখ করে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা করেন।