প্রচ্ছদ অন্যরকম সর্বনাশা গেমস পাবজ : পার্টনারকে বিয়ে করতে স্বামীকে ডিভোর্স তরুণীর!

সর্বনাশা গেমস পাবজ : পার্টনারকে বিয়ে করতে স্বামীকে ডিভোর্স তরুণীর!

অনলাইন গেমস প্লেয়ার আননোনস ব্যাটলগ্রাউন্ডস তথা পাবজের (PUBG) নেশা সর্বনাশা। দিনের পর দিন যে সমস্ত ঘটনা সামনে আসছে, তাতে একথাই বলতে বাধ্য হচ্ছেন অনেকে। সম্প্রতি বিবাহ আসরে কনেকে ফেলে বরের পাবজ খেলার ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। এবার পাবজর দাম্পত্য কলহ গড়াল ডিভোর্স পর্যন্ত! হ্যাঁ, ভারতের গুজরাটের আহমদাবাদে এমন ঘটনাই ঘটেছে। কারণ স্ত্রী পাবজ পার্টনারের প্রেমে পড়েছেন।

১৯ বছরের যুবতী। অনলাইনে লাগাতার পাবজ খেলতে ভালোবাসেন। আর সেই খেলার সূত্রে এক খেলোয়াড়ের প্রেমে পড়ে যান তিনি। পাবজ পার্টনারকে জীবনসঙ্গী বানাতে যেকোনো সীমা লঙ্ঘন করতেও নাকি তৈরি তিনি। এমনকী স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘটিয়ে নতুন জীবনে পা রাখতেও প্রস্তুত তিনি। জানলে আরো অবাক হবেন যে, এই যুবতী শুধুই স্ত্রী নন, সন্তানের মা-ও বটে। সেই যুবতী অভয়াম-১৮১ হেল্পলাইনে ফোন করে পার্টনারের বিস্তারিত তথ্য জানতে চান তিনি। এমন ফোন পেয়ে রীতিমতো হতবাক হেল্পলাইনের কর্মীরা। তাদের তরফে এরপর ওই যুবতীর বাড়িতে কাউন্সেলিংয়ের একটি দলকে পাঠানো হয়। সেখানেই পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন মনোবিদরা। জানা যায়, পাবজ-তে তিনি এতটাই বুঁদ যে পরিবারের সদস্যদের একেবারেই সময় দেন না। আর তাতেই স্বামীর সঙ্গে তৈরি হয়েছে দূরত্ব। এমনকী সন্তানকেও ঠিকমতো দেখভাল করেন না মা।

কাউন্সেলার দলের প্রধান সোনাল সাগাথিয়া মহিলার সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলেন। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে যুবতীকে আরো একবার ভাবার পরামর্শ দেন তিনি। প্রথমে তিনি সংশোধনাগারে থাকতে রাজি হলেও পরে বেঁকে বসেন। কারণ সেখানে থাকলে তিনি মোবাইলে পাবজ খেলা থেকে বঞ্চিত হবেন। শেষমেশ যুবতী বলেন, বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে আরও একটু ভেবে দেখবেন তিনি। আর তার মধ্যে কোনো সাহায্যের প্রয়োজন হলে ফের হেল্পলাইনে ফোন করবেন।

হেল্পলাইনের কর্মীরা বলছেন, প্রতিদিনই প্রায় সাড়ে পাঁচ শ’ ফোন পান তাঁরা। যার মধ্যে প্রায় ৯০টি ঠিকানাতেই কাউন্সেলিংয়ের দল পাঠাতে হয়। সাধারণত মায়েরাই বেশি ফোন করে থাকেন। জানান, সন্তানরা পাবজের নেশায় নাওয়া-খাওয়া, লেখাপড়া সব ভুলেছে। কিন্তু যুবতী যে আবেদন করেছেন, তা ওই কর্মীদের কাছে একেবারেই বিরল। তারা জানিয়েছেন, এমন ফোন এর আগে কখনো পাননি।