প্রচ্ছদ আইন আদালত সরকারি হাসপাতালে ৩৪০ ও বেসরকারি হাসপাতালে ৫৭৩ আইসিইউ ইউনিট রয়েছে

সরকারি হাসপাতালে ৩৪০ ও বেসরকারি হাসপাতালে ৫৭৩ আইসিইউ ইউনিট রয়েছে

সারা দেশের সরকারি হাসপাতালে ৩৪০ ও বেসরকারি হাসপাতালে ৫৭৩টি আইসিইউ ইউনিট রয়েছে। এ ছাড়া বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে ৩৪৪টি সিসিইউ ইউনিট রয়েছে।
মঙ্গলবার বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এ প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।

প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, জেলা সদরে প্রতিটি আইসিইউ বেড স্থাপনের জন্য গড়ে ৫৩ লাখ টাকা খরচ হবে এবং প্রতিটি সিসিইউ বেড স্থাপনের জন্য গড়ে প্রায় ২৩ লাখ টাকা প্রয়োজন হতে পারে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু আদালতে এ প্রতিবেদন দাখিল করেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশের সকল স্থান থেকে পূর্নাঙ্গ তথ্য সংগ্রহের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। সম্পূর্ণ তথ্য সংগ্রহ শেষ হলে পরে হালনাগাদ পূর্ণাঙ্গ তথ্য প্রদান সম্ভব হবে।

প্রতিবেদনে প্রতিটি আইসিইউ ও সিসিইউ বেড স্থাপনের জন্য কত জনবল প্রয়োজন তার একটি পূর্ণাঙ্গ বিবরণ দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে রিটকারী আইনজীবী ড. বশির আহমেদ বলেন, ‘প্রতিবেদেন সিসিইউ এর পূর্ণাঙ্গ তালিকা দাখিল করা হয়নি। আদালত পূর্ণাঙ্গ তালিকা দাখিল করতে বলেছেন। অবকাশকালীন ছুটির পর এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানি হবে।

এর আগে গত ৭ মার্চ সারা দেশের সরকারি-বেসরকারি হাপাতালগুলোতে কতগুলো আইসিইউ, সিসিইউ ইউনিট রয়েছে তার সংখ্যা নিরুপণ করে তালিকা দাখিলের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে একটি আইসিইউ-সিসিইউ ইউনিট স্থাপন করতে কী পরিমাণ টাকা, কত জনবল ও কতজন বিশেষজ্ঞ প্রয়োজন হয় সে বিষয়ে প্রতিবেদন উল্লেখ করতে বলা হয়।

এ সংক্রান্ত রিটের পরিপ্রেক্ষিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দাখিল করা প্রতিবেদনের উপর শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ড. বশির আহমেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু।

গত ১৯ ফেব্রুয়ারি দেশের সকল বেসরকারি ক্লিনিক, হাসপাতাল, ল্যাবেরেটরি ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে স্বাস্থ্য পরীক্ষার মূল্য তালিকা নির্ধারণ ও আইন অনুসারে তালিকা প্রদর্শনের নির্দেশ বাস্তবায়নের বিষয়ে অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়েরর যুগ্ম সচিবের নেতৃত্বাধীন এ সংক্রান্ত কমিটিকে ওই প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়।

২০১৮ সালের ২৪ জুলাই দেশের সকল বেসরকারি ক্লিনিক, হাসপাতাল, ল্যাবেরেটরি ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে স্বাস্থ্য পরিক্ষার মূল্য তালিকা আইন অনুসারে প্রদর্শনের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। ১৫ দিনের মধ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলকে ওই আদেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়।

পাশাপাশি দ্য মেডিকেল প্র্যাকটিস অ্যান্ড প্রাইভেট ক্লিনিকস অ্যান্ড ল্যাবরেটরিস (রেগুলেশন) অর্ডিন্যান্স, ১৯৮২ অনুসারে নীতিমালা তৈরি এবং বাস্তবায়নের জন্য ৬০ দিনের মধ্যে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করতে নির্দেশ দেন আদালত। এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট এসব আদেশ দেন।