প্রচ্ছদ আজকের সেরা সংবাদ সন্ত্রাস মোকাবিলায় জিরো টলারেন্স নীতি বাংলাদেশের : প্রধানমন্ত্রী

সন্ত্রাস মোকাবিলায় জিরো টলারেন্স নীতি বাংলাদেশের : প্রধানমন্ত্রী

বাংলাদেশ ও দক্ষিণ এশিয়ার উন্নয়নই আমাদের মূল লক্ষ্য।  সন্ত্রাসবাদ, দারিদ্র্য ও জলবায়ু পরিবর্তন এই অঞ্চলের প্রধান শত্রু। বাংলাদেশের ভুখণ্ড ব্যবহার করে কোনও ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাতে দেয়া হবে না। জিরো জিরো টলারেন্স নীতির মাধ্যমে বাংলাদেশ সফলভাবে সন্ত্রাস মোকাবিলা করতে পেরেছে। বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।কাঠমান্ডুতে অনুষ্ঠিতব্য চতুর্থ বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টিসেক্টোরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কো-অপারেশনের (বিমসটেক) সম্মেলনের উদ্বোধনী ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।শেখ হাসিনা বলেন, কাঠমান্ডুতে বিমসটেক সম্মেলনে আঞ্চলিক সম্পর্ক জোরদারে যুগোপযোগী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। আঞ্চলিক উন্নয়নে পারষ্পরিক সহযোগিতা বাড়াতে হবে।তিনি বলেন, শান্তি ও স্থিতিশীলতার ওপর উন্নয়ন নির্ভর করে। ক্ষুধা-দারিদ্র্য, নিরক্ষরতা দূরীকরণসহ বৈষম্যহীন সুষম উন্নয়ন নীতি নিয়ে কাজ করছে বাংলাদেশ।

তিনি আরও বলেন, বিদ্যুৎ সঞ্চালন গ্রিডের মাধ্যমে জোটভুক্ত সাত দেশকে যুক্ত করার উদ্যোগর নেয়া যেতে পারে। এ সহযোগিতা বৃদ্ধির মাধ্যমে সবাই লাভবান হতে পারে।বর্তমান রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে বিমসটেকের সম্ভাবনার ক্ষেত্রগুলো নতুন করে বিবেচনা করতে এবং জোটের কাঠামোগত পরিবর্তনের বিষয়ে সদস্য দেশগুলোর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন প্রধানমন্ত্রী।শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের সামনে বহু কাজ বাকি। এই যৌথ চেষ্টাকে অর্থবহ সম্পর্কের রূপ দিতে চাইলে, আমাদের মৌলিক আইনি কাঠামোগুলোকে আরও সংহত করার কথা আমাদের ভাবতে হবে।তিনি বলেন, বাণিজ্য, বিনিয়োগ, যোগাযোগ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, জ্বালানি, দারিদ্র বিমোচন এবং কৃষিখাত থেকে জনগণ সরাসরি অর্থনৈতিক ও সামাজিকভাবে লাভবান হতে পারে যদি এগুলোকে ‘টেকসই উন্নয়ন’ নামে একটি গুচ্ছে শ্রেনীভুক্ত করা যায়।
সিকিউরিটি, কাউন্টার – টেররিজম, ক্লাইমেট চেঞ্জ এন্ড ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট ‘নিরাপত্তা এবং স্থায়িত্ব’ নামে অপর একটি গুচ্ছের আওতায় আনা হলে সেটি আমাদের সুরক্ষা দেবে,সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে নেবে।
তিনি বলেন, ‘পিপল টু পিপল কনট্রাক’ নামে তৃতীয় ক্লাস্টারের আওতায় আমাদের সংস্কৃতি ও জনস্বাস্থ্য আনা হলে সেটি আমাদের অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি ত্বরান্বিত করবে।
শেখ হাসিনা বলেন ,একইভাবে নতুন রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক দৃশ্যপটে বিমসটেক কাঠামো এবং সুযোগ মূল্যায়নের বিষয়টি আমরা বিবেচনা করে দেখতে পারি।বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া ৮টার দিকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ভিভিআইপি ফ্লাইট বিজি-১৮৭১-এ নেপালের পথে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছাড়েন শেখ হাসিনা। নেপালের স্থানীয় সময় সকাল পৌনে ১০টায় বিমানটি নেপালের ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।এসময় কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান নেপালের উপপ্রধানমন্ত্রী ঈশ্বর পোখারেল এবং নেপালে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাশরাফি বিনতে শামস। বিমানবন্দরে বাংলাদেশের সরকার প্রধানকে দেয়া হয় লালগালিচা সংবর্ধনা। এসময় তাকে গার্ড অব অনারও দেয়া হয়।বিমানবন্দরে আনুষ্ঠানিকতা শেষে মোটর শোভাযাত্রা করে প্রধানমন্ত্রীকে নেয়া হয় তার সফরকালীন আবাসস্থল হোটেল সোয়ালটি ক্রাউনি প্লাজায়।