প্রচ্ছদ জাতীয় সংসদ চত্বর থেকে জিয়ার কবর অপসারণের দাবি

সংসদ চত্বর থেকে জিয়ার কবর অপসারণের দাবি

সংসদের মূল নকশার বাইরে জিয়াউর রহমানসহ অন্যান্যদের কবর অপসারণের দাবি জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। শনিবার সকালে জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত ২০১৯-২০ অর্থ বছরের বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে মন্ত্রী এ দাবি জানান।

মন্ত্রী জানান, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে আত্মস্বীকৃতি খুনিদের পদায়ন করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের পথ রুদ্ধ করে দিয়েছিল।

তিনি জানান, প্রস্তাবিত বাজেটে আমাদের প্রত্যাশা ছিল মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা ১৫ হাজার করা, সেটা বারো হাজার করা হয়েছে। আগামী অর্থ বছরে হয়তো হবে। এরই মধ্যে উৎসব ভাতা বৃদ্ধি পেয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাদের ফ্রি চিকিৎসার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাদের মৃত্যুর পর দাফনের টাকাও দ্বিগুণ বৃদ্ধি করা হয়েছে। মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে দাফনের পূর্বে টাকা পরিশোধের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

মন্ত্রী আরো বলেন, সকল মুক্তিযোদ্ধাদের একই ডিজাইনে কবর দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। যেন মানুষ কবর দেখলেই বুঝতে পারেন এটা মুক্তিযোদ্ধার কবর। অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ২ হাজার ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেক পরিবারকে ১৫ লাখ টাকা করে দেওয়া হবে। যার নামে বাড়ি বরাদ্দ হবে তিনিই হবেন প্রকৃত মালিক। এ ছাড়া জীবিত মুক্তিযোদ্ধাদের ১০ মিনিটের বক্তব্য রেকর্ড সংরক্ষণের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, যে সকল জায়গায় সম্মুখযুদ্ধ হয়েছে সেগুলো একই নকশায় সংরক্ষণ করা হবে।