প্রচ্ছদ সারাদেশ খুলনা বিভাগ শৈলকুপায় বিএনপি আ’লীগ সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বাড়ি ভাংচুর

শৈলকুপায় বিএনপি আ’লীগ সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বাড়ি ভাংচুর

স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহঃ এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার ভাটই গ্রামে বিএনপি ও আওয়ামীলীগ সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ ও বাড়ি ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার রাত ৮ দিকে উপজেলার দুধসর ইউনিয়নের ভাটই গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় উভয় পক্ষের ১০টি বাড়ি, পানি উত্তোলনের মটর, মটরসাইকেল, বিদ্যুতের মিটার ভাংচুর ও গবাদি পশুর উপর হামলা করা হয়। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে নিয়ে আনে। গ্রামবাসি জানায়, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ভাটই গ্রামের বর্তমান ইউপি সদস্য ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ নেতা খবির উদ্দিন ও বিএনপি নেতা তোজাম মন্ডলের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। এ ঘটনার সূত্র ধরে শনিবার রাতে উভয় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। খবির উদ্দিন সমর্থক তৌফিক মন্ডল জানায়, শুক্রবার রাতে তোজাম সমর্থক কয়েক ব্যক্তি দেশীয় অস্ত্র নিয়ে পুলিশের কাছে আটক হয়। শনিবার জামিনে মুক্তি পেয়ে তারা খবির উদ্দিনের বাড়িতে হামলা করে। এ সময় একটি পশুর চামড়া কেটে যায়। ইউপি সদস্য খবির উদ্দিন জানান, বিএনপি সমর্থক তোজাম ও তার কর্মীরা তার বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে। পরে তাদের প্রতিহত করা হয়। বিএনপি নেতা তোজাম মন্ডল জানায়, তার সমর্থক বাটুল খবির সমর্থক জামিরুল ও কামরুলের কাছ থেকে ৫ কাঠা জমি বন্ধক রাখে। বাটুল বিএনপির সমর্থক হওয়ায় কয়েক দিন আগে বন্ধকীর টাকা ফেরত না দিয়ে জোরপুর্বক জমিটি দখল করে নেয় জামিরুল কামরুল। পরে পুলিশকে ঘটনাটি বললে তারা উভয় পক্ষকে তলব করে মিমাংসার জন্য। কিন্তু তারা তা অমান্য করে। শনিবার রাতে বাড়ি ফেরার সময় খবিরের লোকজন তার উপর হামলা করে। এরপর হামলাকারীরা তার সমর্থক সরোয়ার মন্ডল, ননী মন্ডল, লাল্টু মন্ডল, মতি মন্ডল, অহিদুল মন্ডলের বাড়িসহ ১০টি বাড়ি, ৪টি বিদ্যুতের মিটার, ১টি পানি উত্তোলনের মটর, মটরসাইকেলসহ আসবাবপত্র ভাংচুর করে। তোজামের দাবী সে বিএনপি সমর্থক হওয়ায় পরিকল্পিত ভাবে তার উপর হামলা চালায় প্রতিপক্ষরা। তার ভাতিজাসহ ৪ জন সমর্থক হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। প্রশাসন তাদের সহায়তা করছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন। শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী আয়ুবুর রহমান জানান, জমি বন্ধক নিয়ে এ হামলার ঘটনা ঘটতে পারে। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এলাকায় অতিরিক্তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।