সদ্য শেষ হওয়া অর্থবছরে প্রায় ১৫ বিলিয়ন (এক হাজার ৫০০ কোটি) ডলারের রেমিটেন্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা, যা আগের বছরের চেয়ে ১৭ শতাংশ বেশি।
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বৃদ্ধি, স্থানীয় বাজারে ডলারের তেজিভাব এবং হুন্ডি ঠেকাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নানা পদক্ষেপের কারণে রেমিটেন্স বেড়েছে।
প্রবাসীদের পাঠানো অর্থ বা রেমিটেন্স গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে আসছে বাংলাদেশে অর্থনীতিতে। বাংলাদেশের জিডিপিতে ১২ শতাংশ অবদান রাখে প্রবাসীদের পাঠানো এই বিদেশি মুদ্রা।
বাংলাদেশ ব্যাংক সোমবার রেমিটেন্সের হালনাগাদ যে তথ্য প্রকাশ করেছে, তাতে দেখা যায়, ৩০ জুন শেষ হওয়া ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থানকারী এক কোটি প্রবাসী এক হাজার ৪৯৮ কোটি (১৪.৯৮ বিলিয়ন) ডলার দেশে পাঠিয়েছেন।
এই অঙ্ক গত অর্থবছরের চেয়ে ১৭ দশমিক ৩ শতাংশ বেশি। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে এক হাজার ২৭৭ কোটি (১২.৭৭ বিলিয়ন) ডলার রেমিটেন্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা।
২০১৪-১৫ অর্থবছরে রেকর্ড গড়ার পর তিন বছর ধারাবাহিকভাবে রেমিটেন্স কমছিল।
তবে গত বছর জনশক্তি রপ্তানি বেড়ে যাওয়ায় রেমিটেন্সেও তার প্রভাব পড়ার আশা প্রকাশ করেছিলেন অর্থমন্ত্রী মুহিত। তিনি বলেছিলেন, রেমিটেন্স ১৫ বিলিয়ন ডলার হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবিরও একই প্রত্যাশা করেছিলেন।