আর ৪টা রান হলেই খেলা শেষ। কিন্তু তাতে দল জিতলেও রুটের অসাধারণ ইনিংসটা পূর্ণতা পাবে না! তার যে আরও ৬টা রান চাই সেঞ্চুরি পূর্ণ করতে। পান্ডিয়ার ওভারের প্রথম বলে ২ নিয়ে তখন খানিকটা এগোলেন রুট। পরের বলটা ডট। পরে বলে ওয়াইড করে রুটের কাজটা কঠিন করে তুললেন ভারতীয় পেসার! তবে অসম্ভব নয়। তাইতো তৃতীয় বলটি মিড উইকেটে ঠেলে চার হাঁকিয়েই ইংল্যান্ডকে জয় ও সিরিজ এনে দিলেন ইংলিশ ডানহাতি। সঙ্গে পূর্ণ করলেন নিজের শতকটাও। সিরিজে টানা দুই ম্যাচে।
সফরের শুরুতে টি-টুয়েন্টি সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জিতেছে ভারত। ঠিক একই ব্যবধানে ওয়ানডে সিরিজ জিতল স্বাগতিকরা।
জো রুট আগের ম্যাচেই অপরাজিত ১১৩ রানের ইনিংস খেলে সিরিজে সমতা এনেছেন। এবার ঠিক ১০০তে অপরাজিত থাকলেন। ১০ চারে ১২০ বলের ইনিংস। ক্যারিয়ারের ১৩তম ওয়ানডে শতক।
রুটের ১৮৬ রানের জুটি সঙ্গী ইয়ন মরগান অপরাজিত থাকেন ৮৮ রানে। অধিনায়কের ইনিংসটি ৯ চার ও এক ছয়ে ১০৮ বলে সাজানো।
ইনিংসের শুরুতে জেমস ভিন্স ২৭ ও জনি বেয়ারস্টো ৩০ রান করে যান। একটি উইকেট নেন শার্দূল ঠাকুর। অন্যটি রানআউট।
আগে রোহিতের (২) বিদায়ের পর ধাওয়ানের (৪৪) সঙ্গে জুটি জমিয়ে দারুণ শুরু এনে দেন কোহলি। দ্বিতীয় উইকেটে ৭১ রান যোগ করেন দুজনে। ধাওয়ান রানআউট হওয়ার পর কার্তিক ২১ রানে ফিরে যান।
কোহলি থামেন ইনিংস সর্বোচ্চ ৭১ রানে। ৮ চারে ৭২ বলের ইনিংস অধিনায়কের। রায়না (১) ব্যর্থ হলেও ধোনির লড়াকু ৪২ ভারতকে পথে রাখে। শেষদিকে ভুবনেশ্বর ২১, হার্দিক ২১ আর ঠাকুর ১৩ বলে অপরাজিত ২২ রান করলে লড়ার পুঁজি পায় সফরকারীরা।