এতে মহত্মের কিছু নেই। আমার নিজের পুরোনো গাড়িটিই ব্যবহার করতে সাচ্ছন্দ্য বোধ করছি, তাই বিনয়ের সাথে আমি প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া গাড়িটি ফিরিয়ে দিয়েছি।” বিএমডব্লিউ গাড়ি না নেওয়ার বিষয়ে এভাবেই বললেন কৃষিমন্ত্রী, এক সময়ের অগ্নিকন্যা খ্যাত, বেগম মতিয়া চৌধুরী।
এই ফেরত দেওয়াতে মহত্মের কিছু নেই বলেই প্রতিক্রিয়ায় জানান তিনি। শনিবার রাতে টেলিফোনে তিনি আরও বলেন, এটি বেশ দামি গাড়ি, আমি অপেক্ষাকৃত কম দামের গাড়িতে চড়ে অভ্যস্ত এবং তাতেই ভালো আছি। তিনি এও বলেন, এত দামি গাড়ি পরিচালনা করার অর্থ তার কাছে নেই।
মতিয়া চৌধুরী আরও বলেন, আজ আমি মন্ত্রী আছি, কাল মন্ত্রী নাও থাকতে পারি, তখন এই দামি গাড়ি চালানো অসম্ভব হয়ে পড়বে।
তিনি বলেন, বিষয়টিকে গ্লোরিফাই করার কিছু নেই, প্রধানমন্ত্রী তার বদান্যতা দেখিয়ে আমাকে এই গাড়িটি দিয়েছিলেন, আমি প্রয়োজন নেই বলেই ফিরিয়ে দিয়েছি। আমি মনে করেছি অন্য কোনও মন্ত্রীকে তিনি এটি দিতে পারবেন।
গাড়ি পরিচালনার খরচ মন্ত্রণালয় থেকেই বহন করা হবে, তাহলে আপত্তি কেন? এমন প্রশ্নে মতিয়া চৌধুরী বলেন, কয়েক দিনের জন্য সুখ বাড়িয়ে কোনও উপকার নেই। সুখ এক ধরনের আসক্তি।
মন্ত্রণালয় থেকেই তার কাছে গাড়িটি পাওয়ার অফার আসে বলে জানান মতিয়া চৌধুরী।
তিনি আরও বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেও সাদাসিধে জীবন-যাপন করেন, আমিও সাদাসিধে জীবনেই অভ্যস্ত। আমার বেশি কিছু পাওয়ার নেই।
স্বামী প্রয়াত বজলুর রহমানের কথা উল্লেখ করে মতিয়া চৌধুরী বলেন, তার রেখে যাওয়া গাড়িতেই আমি চলছি, কোনও সমস্যা হচ্ছে না।
কারাগারে দুটি কম্বল পেয়েও জীবনের অনেক দিন কাটাতে হয়েছে, স্মরণ করেন মতিয়া চৌধুরী।
উল্লেখ্য, ওআইসি সম্মেলনের সময়ে গাড়িগুলো আনা হয়েছিলো যা অব্যবহৃত পড়ে ছিলো। সিনিয়র মন্ত্রী ও নেতাদের কাজে খুশি হয়েই এগুলো তাদের উপহার হিসেবে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।