মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের সম্পর্ক সর্বোচ্চ পর্যায়ে আছে। তাই ব্রেক্সিট বাস্তবায়নের পর প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে যা করবেন তা নিয়ে আমাদের কোনও সমস্যা নেই। এদিকে ট্রাম্পের সফর উপলক্ষে গতকাল লন্ডনে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়। খবর বিবিসি, সিএনএন, রয়টার্সের।
এদিকে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের কয়েক ঘণ্টা আগে একটি পত্রিকায় ট্রাম্পের সাক্ষাৎকার প্রকাশিত হয়। সেখানে ট্রাম্প বলেন, থেরেসো মের ব্রেক্সিট কৌশল উভয় দেশের মধ্যে একটি বাণিজ্য চুক্তির সম্ভাবনা থেকে ‘হত্যা’করবে।
তবে চেকার্সে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর আনুষ্ঠানিক বাসভবনে দাঁড়িয়ে ট্রাম্প বলেন, ব্রিটিশ নেতা ‘খুব ভালো’কাজ করছেন। এসময় তার পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন থেরেসা মে। ট্রাম্প বলেন, আমাদের সম্পর্ক এতোটা বিশেষ আর কখনও ছিল না। আর সমালোচনার যেকোনো খবর ‘ভুয়া’।
এর আগে সদ্য পদত্যাগী ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসনের প্রশংসা করে ট্রাম্প বলেন, তিনি খুবই মেধাবী। বরিস জনসন একজন মহান প্রধানমন্ত্রী হবেন বলে তিনি মনে করেন।
ট্রাম্পের এই ব্রিটেন সফর নিয়ে দেশটি ব্যাপক বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এরমধ্যে ব্রিটেন গিয়ে নতুন নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন ট্রাম্প। রাণীকে ১০ মিনিট দাঁড় করিয়ে রাখা এবং প্যারেডে রাণীকে পেছনে ফেলে এগিয়ে যাওয়ার ঘটনায় দেশে-বিদেশে সমালোচনা শুরু হয়েছে।
ট্রাম্প ও ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া এখন স্কটল্যান্ডে রয়েছেন। সেখানে তিনি বিক্ষোভের মুখে পড়েছেন।