নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষাথীদের আন্দোলনের মধ্যেই হঠাৎ করেই বন্ধ হয়ে গেছে মোবাইল ইন্টারনেট সেবা।
শনিবার সন্ধ্যার পর থেকে কর্তৃপক্ষের এ সিদ্ধান্তের ফলে পরিবহন সংকটে থাকা রাজধানীবাসীর যারা উবার, পাঠাও প্রভৃতি অ্যাপভিত্তিক সেবা ব্যবহার করতেন, তারা সেবা থেকে বঞ্চিত হয়ে আরও সংকটে পড়েন। এ ছাড়া মোবাইলে নিয়মিত নিউজ আপডেটসহ বিভিন্ন জরুরি সেবা গ্রহণ করা সংবাদ কর্মীরাও বিপাকে পড়েন।
বিভিন্ন অ্যাপের মাধ্যমে পাওয়া আর্থিক লেনদেন সম্পর্কিত সেবাও বন্ধ হয়ে গেছে। যারা মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহার করে ডেস্কটপ বা ল্যাপটপে ইন্টারনেট সেবা নিতেন তারাও বিপাকে পড়েছেন।
রাতে এ ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, তিনি এ ব্যাপারে কিছুই জানেন না।
টেলিযোগাযোগ সংশ্নিস্ট সূত্র জানায়, বিকেল ৪টার দিকে বিটিআরসি থেকে মোবাইল ইন্টারনেটে থ্রিজি ও ফোরজি সেবার পরিবর্তে শুধু টুজি সেবা চালু করতে বলা হয়। এ জন্য সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত সময় বেধে দেওয়া হয় মোবাইল অপারেটরদের।
সূত্র জানায়, বর্তমানে অপারেটররা মোবাইল ইন্টারনেট সেবায় থ্রিজি ও ফোরজিকেই প্রাধান্য দিয়ে আসছে। আবার কারিগরি দিক থেকে ফোরজির সঙ্গে থ্রিজি ও টুজির বড় ধরনের পার্থক্য রয়েছে। এ অবস্থায় এত কম সময়ে টুজি বাদ দিয়ে শুধু ফোরজি ও থ্রিজি সেবা বন্ধ করা সম্ভব নয়। এ কারণে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত চেষ্টার পর মোবাইল ইন্টারনেট সেবাই বন্ধ করে দেওয়া হয়। তবে টুজি ইন্টারনেট চালুর জন্য সব অপারেটরই চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।
সংশ্নিষ্টরা রাত ৯টায় জানান, রাতের কোনো এক সময়ই টুজি ইন্টারনেট সেবা চালু হতে পারে।
এ ব্যাপারে একটি মোবাইল অপারেটরের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনের কারণে মোবাইল ইন্টারনেট সংক্রান্ত কিছু নির্দেশনা আছে। মোবাইল অপারেটররা তা অনুসরণ করছে। পরবর্তী নির্দেশনা পেলে সে অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
সমকাল