প্রচ্ছদ আর্ন্তজাতিক মোদির ‘জনবিরোধী নীতি’র প্রতিবাদে ভারতজুড়ে ধর্মঘট

মোদির ‘জনবিরোধী নীতি’র প্রতিবাদে ভারতজুড়ে ধর্মঘট

ভারতে ডান ও বামপন্থী শ্রমিক ও কর্মচারী সংগঠনগুলির ডাকা হরতালে মিশ্র সাড়া পড়েছে। কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকারের শ্রমিক বিরোধী, জনবিরোধী ও রাষ্ট্র বিরোধী নীতির প্রতিবাদে দেশ জুড়ে ৮ ও ৯ জানুয়ারি এই সাধারণ ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে।

ভারতের বাণিজ্যনগরী মুম্বাইয়ের লাইফলাইন রেল-এ প্রভাব পড়েছে। বৃহনমুম্বাই ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই এন্ড ট্রান্সপোর্ট (বেস্ট) এর কর্মীরা ধর্মঘট পালন করায় বিপর্যস্ত বাস চলাচল। ওড়িষ্যায় স্কুল, কলেজ সহ সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে। রাস্তায় যানবাহনের সংখ্যাও অন্যদিনের তুলনায় কম। আসামের গুয়াহাটিতেও একাধিক জায়গায় রেল ও সড়ক অবরোধে সামিল হয়েছে হরতালপন্থী সংগঠন।
বামপন্থীদের ডাকা এই হরতালে প্রভাব পড়েছে বাম অধ্যুষিত পশ্চিমবঙ্গ ও কেরালায়। পশ্চিমবঙ্গের বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ ও সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। কলকাতাসহ একাধিক জেলায় সকাল থেকেই হরতালের সমর্থনে মিছিল করতে দেখা যায় বামপন্থী বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠনগুলিকে। রাজ্যের একাধিক রেল স্টেশনে তারের ওপর কলাপাতা ফেলে রেল অবরোধ করা হয়।

সড়ক অবরোধেও সামিল হয়েছে ধর্মঘটকারীরা। এর ফলে যান ও রেল চলাচল সাময়িক ব্যহত হয়। কোথাও কোথাও জোর করে অবরোধ করতে গেলে পুলিশের সাথে ধস্তাধস্তি হওয়ার মতো ঘটনাও ঘটেছে। কিছু কিছু জায়গায় বাস ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটেছে। বারাসাতে সরকারি বাস ভাঙচুরের পাশাপাশি বাস চালককে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। বারাসাতেই ধর্মঘটকারীদের হটাতে পুলিশকে লাঠিপেটা করতে হয়। হুগলিতেও সকাল থেকে সংঘর্ষ ছড়ায়। যাদবপুরে হরতালের সমর্থনে মিছিল করতে গিয়ে আটক হয়েছেন সুজন চক্রবর্তীসহ অনেক বাম নেতা। কলকাতার সেন্ট্রাল এভিনিউতে নরেন্দ্র মোদির কুশপুত্তলিকা পোড়ানো হয়। রাজ্য জুড়ে এখনও পর্যন্ত প্রায় শতাধিক হরতালকারীকে আটক করা হয়েছে।

অন্যদিনের মতো এদিনও বেসরকারি ক্ষেত্র, স্কুল, কলেজসহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিতে যাওয়ার জন্য প্রচুর সংখ্যায় মানুষ ও শিক্ষার্থীরা রাস্তায় বেরিয়েছেন। কলকাতার সরকারি মেট্রো রেলও স্বাভাবিক রয়েছে। কলকাতার নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরেও বিমান চলাচল স্বাভাবিক বলেই জানা গেছে।

হরতালের বিরোধিতা করেছে রাজ্যটির ক্ষমতাসীন দল তৃণমূল কংগ্রেস সরকার। হরতালেও রাজ্যকে সচল রাখতে কোনরকম খামতি রাখছে না তারা। গুরুত্বপূর্ণ স্থান ও ক্রসিংগুলিতে প্রচুর পরিমাণে পুলিশি মোতায়েন করা হয়েছে, পরিবহন সচল রাখতে প্রায় দুই হাজারের বেশি বাস চালু রাখার কথা বলেছে, ট্রাম ও ভেসেলের সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে।