প্রচ্ছদ সারাদেশ বরিশাল বিভাগ মোটরসাইকেল না থামানোয় দুই শিক্ষার্থীকে পেটালো সার্জেন্ট

মোটরসাইকেল না থামানোয় দুই শিক্ষার্থীকে পেটালো সার্জেন্ট

বরিশাল নগরীর নথুল্লাবাদ ব্রিজ এলাকায় ট্রাফিক সাজের্ন্টের থামার সংকেত উপেক্ষা করায় দুই কলেজ শিক্ষার্থীকে বেতের লাঠি দিয়ে বেদম মারধরের অভিযোগ উঠেছে। ট্রাফিক পুলিশের বেতের লাঠির আঘাতে কলেজ শিক্ষার্থী জিহাদের ডান হাত ভেঙে ও পা মচকে গেছে এবং তার সঙ্গে থাকা সহপাঠী কথার মুখমণ্ডল ফুলে উঠেছে।

আহতদের শেরে-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনার পর প্রত্যক্ষদর্শীরা ঝাড়ু, জুতা এবং লাঠি নিয়ে সার্জেন্ট তারেকসহ ওই স্থানে থাকা পুলিশ সদস্যদের ঘেরাও করে। এক পর্যায়ে সার্জেন্ট তারেককে মারধর করতে উদ্যত হয় তারা। এ সময় পালিয়ে রক্ষা পান সার্জেন্ট তারেক। খবর পেয়ে কোতোয়ালি থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।

শুক্রবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর সার্জেন্ট তারেককে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে জানান বরিশাল মেট্রো পুলিশের ট্রাফিক উপ-কমিশনার উত্তম কুমার পাল।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জিহাদ তার সহপাঠী কথাকে নিয়ে মোটরসাইকেলযোগে নথুল্লাবাদ ব্রিজ এলাকায় ট্রাফিক পুলিশের চেকপোস্ট অতিক্রমকালে সার্জেন্ট তারেক তাদের থামার জন্য সংকেত দেন। ওই সময় বিপরীত দিক থেকে একটি পিকাপ আসায় জিহাদ মোটরসাইকেলের গতি কমিয়ে সামনে অগ্রসর হওয়ার মুহূর্তে সার্জেন্ট তারেক বেতের লাঠি দিয়ে মোটরসাইকেলের পেছনে বসা কথাকে আঘাত করে। লাঠির আঘাত কথার কানের উপর লাগে। সঙ্গে সঙ্গে সার্জেন্ট তারেক আবার জিহাদকে লাঠি দিয়ে আঘাত করলে মোটরসাইকেলসহ ওই দুই আরোহী মহাসড়কের পাশের ডিভাইডারের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে গুরুতর আহত হয়।

শের-ই-বাংলা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন জিহাদ জানান, সার্জেন্ট তারেক যে সময় তাকে থামার জন্য সংকেত দেন, সেই সময় বিপরীতগামী একটি গাড়িকে সাইড দিতে গিয়ে তার সামনে অগ্রসর হওয়া ছাড়া কোনো উপায় ছিল না।

বরিশাল মেট্রোপলিটন ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক (টিআই) মো. শামসুল আলম জানান, জিহাদ বেপরোয়াভাবে মোটরসাইল চালাচ্ছিল। তাকে থামানোর সংকেত দিলেও গতি কমাননি। উল্টো গতি বাড়িয়ে চলে যাওয়ার চেষ্টা করে। এসময় সার্জেন্ট তারেকের গায়ে ধাক্কা লেগে মোটরসাইকেল থেকে পরে গিয়ে তারা আঘাতপ্রাপ্ত হন।

এ দিকে এ ঘটনার পর মেডিকেলে চিকিৎসাধীন জিহাদ ও কথাকে দেখতে যান বরিশাল মেট্রো পুলিশের ট্রাফিক উপ-কমিশনার উত্তম কুমার পাল। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, সার্জেন্ট তারেককে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।