প্রচ্ছদ খেলাধুলা মেসিকে ইচ্ছাকৃত অপমান!

মেসিকে ইচ্ছাকৃত অপমান!

চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাবের জার্সিতে সই না করায় এক নারীর অপমান হজম করতে হলো লিওনেল মেসিকে।

বার্সেলোনার ফুটবলার হয়ে লিওনেল মেসি নিশ্চয়ই রিয়াল মাদ্রিদের জার্সিতে অটোগ্রাফ দেবেন না? বেশির ভাগ ফুটবলারই এ রীতি মেনে চলেন। যে ক্লাবের নুন খাই, সেই ক্লাবের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের জার্সিতে আবার কিসের সই? তাও দু-একবার না হয় দেওয়া যায়, কিন্তু ক্যামেরা আর প্রচুর সমর্থকদের সামনে সেই কাজ না করা এমন দোষের কিছু না। তাতে বিতর্কের ধোঁয়া ওঠে। কিন্তু মেসি এই বিতর্ক এড়াতে গিয়েই অপমানিত হলেন!

সেটিও আবার এক ভক্তের কাছে। বেশির ভাগ মেসি-ভক্তেরই এ কথা জানা যে বার্সায় যোগ দেওয়ার আগে আর্জেন্টিনার ক্লাব নিউওয়েলস ওল্ড বয়েজে ছিলেন মেসি। সেটি তাঁর ক্যারিয়ারের প্রথম ক্লাব। বার্সা ছাড়ার পর জন্মভূমি রোজারিওর এই ক্লাবে ফিরে ক্যারিয়ার শেষের ইচ্ছাটা আগেই জানিয়ে রেখেছেন পাঁচবারের বর্ষসেরা এই তারকা। অর্থাৎ, মেসির হৃদয়ে বার্সার পাশাপাশি নিউওয়েলসের জন্যও আলাদা একটা জায়গা আছে। এই নিউওয়েলস ওল্ড বয়েজেরই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রোজারিও সেন্ট্রালের এক নারী সমর্থকের দ্বারা অপমানিত হয়েছেন মেসি।

ঘটনাটা লা লিগায় রিয়াল ভায়োদোলিদের বিপক্ষে বার্সার ১-০ গোলের জয়ের পর। বিমানবন্দরে ক্যামেরা ও ভক্তরা ছেঁকে ধরেছিলেন বার্সা ফরোয়ার্ডকে। ধৈর্য ধরেই অটোগ্রাফ আর ছবি তোলার আবদার মেটাচ্ছিলেন মেসি। এমন সময় রোজারিও সেন্ট্রালের জার্সি পরিহিত এক নারী এসে তাঁর কাছে অটোগ্রাফ চান। মেসি তাঁকে এড়িয়ে গেলেও সেই নারী তাঁকে ছাড়েননি। লাতিন ফুটবল সংবাদকর্মী হুয়ান আরানগো জানিয়েছেন, তখন সেই নারী মেসিকে তাঁর সামনেই ‘প্যাশনলেস’ বলেন এবং ক্যামেরাটা বারবার নিজের দিকে ধরছিলেন। বাংলায় শব্দটা অর্থটা—নিরাবেগ। ব্যাপারটা যেন এমন যে আর্জেন্টাইন তারকার কোনো আবেগ নেই!

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে এই ঘটনার ভিডিও এখন ভাইরাল। স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম মার্কা জানিয়েছে, স্বয়ং রোজারিও সেন্ট্রালেরই হাজারো সমর্থক টুইটারে সেই নারীর এমন আচরণের নিন্দা করেছে।