প্রচ্ছদ আর্ন্তজাতিক মিসরে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে ১৯ সন্দেহভাজন নিহত

মিসরে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে ১৯ সন্দেহভাজন নিহত

কপটিক খ্রিষ্টান তীর্থযাত্রীদের ওপর হামলায় সন্দেহভাজন ১৯ জন মিসরের নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্দে নিহত হয়েছে। দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মিনা প্রদেশের মরুভূমিতে অভিযানে যাওয়া নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়া হলে তাদের পাল্টা গুলিতে এসব সন্দেহভজান নিহত হয়।

শুক্রবার মিনা প্রদেশে কপটিক খ্রিষ্টান তীর্থযাত্রীদের ওপর হামলা চালিয়ে সাতজন হত্যার ঘটনা ঘটে। ইসলামিক স্টেট বা আইএসআই এই হত্যার দায় স্বীকার করে বিবৃতি দেয়। তবে হামলায় জড়িত থাকার কোনও প্রমাণ দেয়নি তারা। মিসরের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, ওই ঘটনায় সন্দেহভজান ছিলেন রবিবারের নিহতরা।

মিসরের সংখ্যালঘু সংখ্যালঘু কপটিক খ্রিষ্টানদের ওপর ধারাবাহিক হামলার সর্বশেষ নজির ছিলো শুক্রবারের হামলা। মিনা প্রদেশের সেইন্ট স্যামুয়েল এর সমাধিসৌধে যাওয়ার পথে একটি বাসে হামলা চালিয়ে শুক্রবার সাতজনকে হত্যা করা হয়। শনিবার প্রিন্স ট্যাডোর চার্চে তাদের শেষকৃত্যে যোগ দেয় শত শত মানুষ। রাজধানী কায়রো থেকে প্রায় ২৬০ কিলোমিটার দূরের ওই শহরটিতে নিহত একই পরিবারের ছয় সদস্যকে সমাহিত করা হয়। এদের মধ্যে ছিলো ১৫ বছরের এক ছেলে আর ১২ বছরের এক মেয়েও। অপর নিহত ব্যক্তি ছিলেন বাস চালক। শুক্রবারই তাকে সমাহিত করা হয়।

রবিবার এক বিবৃতিতে তীর্থযাত্রীদের হত্যার ঘটনায় শোক প্রকাশ করেন পোপ ফ্রান্সিস। তিনি বলেন, নিহতদের জন্য আমার প্রার্থনা। শুধুমাত্র খ্রিষ্টান হওয়ার কারণেই এসব তীর্থযাত্রীকে হত্যা করা হয়েছে।

মিসরের নয় কোটি মানুষের মধ্যে ১০ থেকে ১৫ শতাংশ মানুষ কপটিক খ্রিষ্টান। মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে বড় খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ও হয়েও তারা দীর্ঘদিন থেকে নিপীড়ন আর পর্যাপ্ত সুরক্ষার অভাবের অভিযোগ করে আসছে। ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে কায়রোর একটি চার্চে বন্দুকধারীর হামলায় ১১ জন নিহত হয়। আর ২০১১ সাল থেকে ধারাবাহিক হামলায় একশোরও বেশি কপটিক খ্রিষ্টান নিহত হয়েছে।