প্রচ্ছদ আইন আদালত মানহানির ২ মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন প্রশ্নে আদেশ ৫ জুলাই

মানহানির ২ মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন প্রশ্নে আদেশ ৫ জুলাই

মিথ্যা তথ্য দিয়ে জন্মদিন পালন এবং যুদ্ধাপরাধীদের গাড়িতে পতাকা তুলে দিয়ে জাতির মানহানির অভিযোগের দুই মামলায় খালেদা জিয়ার পক্ষে জামিন শুনানি শেষ হয়েছে। তবে পৃথক দুই আদালতের বিচারক আজ জামিন-সংক্রান্ত আদেশ না দিয়ে আগামী ৫ জুলাই দিন নির্ধারণ করেছেন।

আজ বৃহস্পতিবার পুরান ঢাকার বকশীবাজারের অস্থায়ী আদালতে পৃথক দুই মহানগর হাকিমের আদালতে এ জামিন শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।

এর আগে গত ১৪ জুন খালেদা জিয়ার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া জামিনের আবেদন করেন ঢাকার মহানগর হাকিম খোরশেদ আলমের আদালতে মিথ্যা তথ্য দিয়ে জন্মদিন পালন ও ঢাকার মহানগর হাকিম আহসান হাবীব সবুজের আদালতে যুদ্ধাপরাধীদের গাড়িতে পতাকা তুলে দিয়ে জাতির মানহানির অভিযোগের মামলায়। পরে বিচারক আজ জামিন শুনানির জন্য দিন নির্ধারণ করা হয়।

খালেদা জিয়ার জামিন শুনানির সময় এ জে মোহাম্মদ আলী, সানাউল্লাহ মিয়া, জয়নুল আবেদিন, মাসুদ আহমেদ তালুকদার, হান্নান ভূইয়াসহ একাধিক আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন।

হান্নান ভূইয়া জানান, আজ জামিন শুনানি শেষে দুই বিচারক আগামী ৫ জুলাই জামিন হবে কি না, সে বিষয়ে আদেশ দেবেন বলে তারিখ নির্ধারণ করেছেন।

জাতীয় পতাকা অবমাননার মামলা

যুদ্ধাপরাধীদের গাড়িতে পতাকা তুলে দিয়ে সমগ্র জাতির মানহানির অভিযোগে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ২০১৬ সালের ৩ নভেম্বর ঢাকার মহানগর হাকিম আদালত-৭-এ মানহানির মামলা করেন বাংলাদেশ জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এ বি সিদ্দিকী।

এ মামলায় ২০১৭ সালের ১২ নভেম্বর খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ইস্যু করা হয়। এই মামলায় খালেদা জিয়া জামিন চাইলে গত ১৭ মে তৃতীয় দফায় শুনানি পিছিয়ে আগামী ৫ জুলাই আদেশের জন্য দিন ধার্য করেছেন। এ অবস্থায় তাঁর জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়।

মিথ্যা তথ্য দিয়ে জন্মদিন পালনের অভিযোগ

মিথ্যা তথ্য দিয়ে জন্মদিন পালনের অভিযোগে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গাজী জহিরুল ইসলাম ২০১৬ সালের ৩০ আগস্ট খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালত-২২-এ মামলাটি করেন।

এ মামলায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ২০১৬ সালের ১৭ নভেম্বর গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। এরপর গত ২৫ এপ্রিল এ মামলায় খালেদা জিয়া জামিন চেয়ে আবেদন করেন। কিন্তু জামিন না দিয়ে ১৭ মে শুনানির দিন নির্ধারণ করেন আদালত।

পরবর্তী সময়ে ওই তারিখে তাঁর গ্রেপ্তারি পরোয়ানা কার্যকরের আদেশ দিয়ে ৫ জুলাই জামিন বিষয়ে আদেশের দিন ধার্য করেন। এ অবস্থায় তাঁর জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়েছিল।

গত ৮ ফেব্রুয়ারি দুদকের দায়ের করা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসনকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫-এর বিচারক ড. আখতারুজ্জামান। এই মামলায় অন্য আসামি খালেদার বড় ছেলে তারেক রহমানকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পরে খালেদা জিয়া উচ্চ আদালতে জামিন পেলেও আরো মামলায় গ্রেপ্তার থাকায় কারাবন্দি রয়েছেন।