প্রচ্ছদ আজকের সেরা সংবাদ মাদক বিরোধী অভিযানে গ্রেফতার ৮৩ হাজার: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

মাদক বিরোধী অভিযানে গ্রেফতার ৮৩ হাজার: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, সরকার মাদকমুক্ত সমাজ গঠনে মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করতে গিয়ে জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ৬২ হাজার ৪৪৭টি মামলায় ৮৩ হাজার ৩২৩জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে। এছাড়া দেশের যুব সমাজকে মাদকের আগ্রাসন থেকে রক্ষাকল্পে দেশজুড়ে বিভিন্ন পদক্ষেপ পরিচালনা করা অব্যাহত রয়েছে।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীন সভাপতিত্বে সংসদের ২২তম অধিবেশনে বুধবার টেবিলে উত্থাপিত মন্ত্রীদের প্রশ্নোত্তোর পর্বে জাতীয় পার্টির সদস্য মোহাম্মদ আবদুল মুনিম চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, দেশের বিভিন্ন এলাকায় সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে ২৭ হাজার ৫৯জন মাদকাসক্ত রোগীকে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রের শয্যা সংখ্যা ৫০ থেকে ১০০ শয্যায় উন্নীত করা হয়েছে। এ কেন্দ্রটি ২৫০ শয্যার উন্নীত করার পাশাপাশি ১৫৮ কোটি টাকার একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া ৭টি বিভাগীয় শহরে ২শ’ শয্যার নিরাময় কেন্দ্র স্থাপন করার পাশাপাশি ২৬২টি বেসরকারি নিরাময় কেন্দ্র করার লাইসেন্স প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া দেশব্যাপী মাদকবিরোধী গণসচেতনামূলক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে দেশের ২৮ হাজার ১৪২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মাদক বিরোধী কমিটি গঠন করা হয়েছে। পাঠ্যপুস্তকে ধূমপান ও মাদকাসক্তির ক্ষতিকর দিক ও প্রতিকারের বিভিন্ন দিক অন্তর্ভুক্তকরণ অব্যাহত রয়েছে। এছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমেও মাদকাসক্তির ক্ষতিকর দিক ও প্রতিকারের বিভিন্ন দিক প্রচার করা হচ্ছে।

বাংলাদেশি পাসপোর্টে রোহিঙ্গাদের বিদেশ যাওয়ার সুযোগ নেই:

সরকার দলীয় এমপি মমতাজ বেগমের (মানিকগঞ্জ-২) প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, মিয়ানমার থেকে আগত নাগরিকদের অনুকূলে কোন বাংলাদেশী পাসপোর্ট ইস্যু করা হয়নি। যেহেতু মিয়ানমার থেকে আগত নাগরিকদের অনুকূলে কোন বাংলাদেশী পাসপোর্ট ইস্যু হয়নি, সেহেতু তাদের বাংলাদেশী পাসপোর্ট ব্যবহার করে বিদেশে যাওয়ার সুযোগ নেই।

আনসার বাহিনীতে কর্মকর্তা-কর্মচারী ২০ হাজার ৩১৬ জন

এম. আবদুল লতিফের (চট্টগ্রাম-১১)এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তিনি বলেন, জঙ্গিবাদ দমন সহ আইন-শৃঙ্খলা পরিপন্থি কাজের সাথে জড়িতদের সম্পর্কে আগাম তথ্য সংগ্রহ ও তালিকা প্রস্তুত করে গ্রেফতারপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে জঙ্গিবাদ দমনে পুলিশ বাহিনীতে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট গঠন করে আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। জঙ্গিদের গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদের  মাধ্যমে তাদের সহযোগী মদদদাতাদের সনাক্তকরণ এবং জঙ্গি অর্থায়ন বন্ধের মাধ্যমে তাদের আইনশৃঙ্খলা পরিপন্থি কর্মকান্ড প্রতিরোধসহ জঙ্গি দমনের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে।