প্রচ্ছদ সারাদেশ ঢাকা বিভাগ মরদেহের চিরকুটে লেখা ‘আমি ধর্ষণ মামলার মূল হোতা’

মরদেহের চিরকুটে লেখা ‘আমি ধর্ষণ মামলার মূল হোতা’

সাভারের আশুলিয়ায় গণধর্ষণের শিকার হওয়ার পর এক পোশাক শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনার মামলার প্রধান আসামির ‘গুলিবিদ্ধ মরদেহ’ উদ্ধার করেছে পুলিশ।নিহতের নাম রিপন (৩৯)। তিনি ঝিনাইদহ জেলার কালিগঞ্জ থানা এলাকার আব্দুল লতিফের ছেলে। তিনি একই পোশাক কারখানার লাইন চিফ ছিলেন।বৃহস্পতিবার রাতে সাভারের খাগান এলাকার আমিন মডেল টাউনের ভেতরে একটি মাঠ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তার গলায় ঝোলানো একটি চিরকুটে লেখা ছিল- ‘আমি ধর্ষণ মামলার মূল হোতা’।সাভার মডেল থানার ওসি আবদুল আউয়াল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।তিনি জানান, সাভারের খাগান এলাকার আমিন মডেল টাউনের ভেতরে একটি মাঠ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তার গলায় ‘আমি ধর্ষণ মামলার মূল হোতা’ লেখা একটি কাগজ পাওয়া গেছে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকার শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।তবে কে বা কারা নিপনকে গুলি করে হত্যা করেছে, সে বিষয়ে কোনো ধারণা দিতে পারেননি এই পুলিশ কর্মকর্তা।গত ৫ জানুয়ারি গোরাট এলাকায় এক পোশাক কারখানার কর্মীকে দলবেঁধে ধর্ষণের পর তার মৃত্যুর ঘটনায় যে মামলা হয়েছিল, তার মূল আসামি ছিলেন রিপন। ধর্ষণের পর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।এ ঘটনায় তার বাবা ওই পোশাক কারখানার লাইন চিফ রিপন, কর্মী আবদুর রহিম ও ক্যান্টিন মালিক শিপনসহ চারজনের নামে মামলা করেন। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে রহিমকে গ্রেপ্তার করে।