প্রচ্ছদ আজকের সেরা সংবাদ মনোনয়নপত্র বাতিলের আপিল নিষ্পত্তি বৃহস্পতিবার, আবেদন ৫৪৩টি

মনোনয়নপত্র বাতিলের আপিল নিষ্পত্তি বৃহস্পতিবার, আবেদন ৫৪৩টি

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া প্রার্থীদের আপিলের শুনানি ও নিষ্পত্তি আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) থেকে শুরু হবে। নির্বাচনে নিবন্ধিত দলগুলো যাকে প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন কমিশনকে জানাবে তিনিই হবেন দলীয় বৈধ প্রার্থী। জানালেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।আজ (বুধবার) নির্বাচন কমিশনের মিডিয়া রুমে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন তথ্য জানান তিনি।হেলালুদ্দীন জানান, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়ার বিরুদ্ধে বৈধতা চেয়ে এবং বৈধ প্রার্থীর বিরুদ্ধে বিপরীত পক্ষের প্রার্থী মনোনয়নপত্র বাতিল চেয়ে ইসির কাছে মোট ৫৪৩টি আপিল আবেদন জমা পড়েছে। আবেদনগুলো ৬ ডিসেম্বর থেকে ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত শুনানি করে নিষ্পত্তি করবে নির্বাচন কমিশনে (ইসি)।৬ ডিসেম্বর প্রথম দিন ১ থেকে ১৬০ নম্বর আপিল আবেদনের শুনানি হবে। ৭ ডিসেম্বর দ্বিতীয় দিনে ১৬১ থেকে ৩১০ নম্বর আবেদনের শুনানি হবে। আর শেষ দিন ৮ ডিসেম্বর ৩১১ থেকে ৫৪৩ নম্বর আবেদনের শুনানি হবে।তিনি জানান, নির্বাচন কমিশন আবেদনগুলো তিনভাগে ভাগ করে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে শুনানি করবে। ইতিমধ্যে একটি এজলাস কক্ষ প্রস্তুত করা হয়েছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদারসহ অন্য নির্বাচন কমিশনাররা শুনানি করবেন। শুনানি শেষে তাৎক্ষণিকভাবে রায় জানিয়ে দেয়া হবে। কারও আবেদন নাকচ হলে রায়ে নকল কপি আমরা দিয়ে দেবো।ইসি সচিব বলেন, রাজনৈতিক দল বিবেচনায় নয়, ক্রমিক নম্বর অনুযায়ী আপিল আবেদনের শুনানি করা হবে। কোন দলের কতটি আবেদন পড়েছে, তা বাছাই করা হয়নি। আমার এই তিনদিন কেবল গ্রহণ করেছি। আগামী কাল বলতে পারবো- কয়টা বাতিল, কয়টা গ্রহণের বিরুদ্ধে আপিল করা হয়েছে।তিনি বলেন, সবাই জানে ২৮ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ছিল। সে সময় মোট ৩ হাজার ৬৫টি মনোনয়নপত্র দাখিল হয়েছিল। ২ ডিসেম্বর বাছাইয়ে ৭৮৬টি বাতিল হয়। এরপর ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট ৫৪৩টি আপিল আবেদন জমা হয়েছে। এর মধ্যে প্রথমদিন ৮৪টি, দ্বিতীয় দিন ২৩৭টি এবং শেষ দিন বুধবার (৫ ডিসেম্বর) ২২২টি আপিল আবেদন জমা পড়ে।দুইদিনের মধ্যে আপিল আবেদন নিষ্পত্তি করা নিয়ে বিএনপির দাবি প্রসঙ্গে হেলালুদ্দীন বলেন, তাদের বুঝিয়ে বলেছি- তারা মেনে নিয়েছে, যে দুই দিনে সম্ভব নয়। কেননা, শুনানি করে সিদ্ধান্ত নিয়ে তাৎক্ষণিক রায় দেয়া, দুই দিনে সম্ভব নয়। তাই তিনদিনেই করতে হবে। যতক্ষণ শুনানি শেষ না হবে, ততক্ষণ চলবে। সকাল ১০টা থেকে মধ্যাহ্ন বিরতি দিয়ে যতক্ষণ লাগে, শেষ করতেই হবে।