প্রচ্ছদ বিনোদন ভেঙেই গেল নুসরাত-মিমির বন্ধুত্ব, কিন্তু এভাবে?

ভেঙেই গেল নুসরাত-মিমির বন্ধুত্ব, কিন্তু এভাবে?

দু’জন প্রায় একসঙ্গে চলচ্চিত্রে প্রবেশ করেছেন। ২০১০ সালে কলকাতা চলচ্চিত্রে ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন মিমি চক্রবর্তী। তাঁর ঠিক এক বছর পর ২০১১ সালে পর্দায় আবির্ভাব ঘটে নুসরাত জাহানের। সেই হিসেবে তাঁদেরকে সমসাময়িক অভিনেত্রীই বলা চলে।

চলচ্চিত্রে পা ফেলার পর থেকে মিমি ও নুসরাতের মধ্যে ভালো বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। অনেকে তাঁদেরকে দুই দেহে এক আত্মা বলেও সম্বোধন করেন। কিন্তু সম্প্রতিক নানান জটিলতায় তাঁদের বন্ধুত্বে অনেকটা ভাটা পড়েছে। এমনটিই উঠে এসেছে ভারতীয় গণমাধ্যমে।

জানা যায়, মিম-নুসরাতের বন্ধুত্বের বৈরিতা শুরু রাজ-শুভশ্রীর বিয়েকে কেন্দ্র করে। তাঁদের বিয়েতে মিমি না গেলেও নুসরাত ঠিকই গিয়েছেন। বিষয়টিকে মোটেও ভালোভাবে নেয়নি মিমি। কারণ রাজের সঙ্গে মিমির প্রেম এক সময় কলকাতা চলচ্চিত্রের আলোচিত বিষয় ছিল। এ নিয়ে ত্রিমুখি দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েছিলেন রাজ, শুভশ্রী ও মিমি। পুরনো ক্ষত ভুলে যেতে বিয়েতে নিমন্ত্রণ পেয়েও এড়িয়ে চলেন মিমি। কিন্তু বন্ধু নুসরাতকে ফেরাতে পারেননি। রাজ-শুভশ্রীর বিয়েতে নুসরাতের উপস্থিতি ভীষণ আহত করে মিমিকে। এরপর থেকে নাকি নুসরাতকে এড়িয়ে চলেন তিনি।

সম্প্রতি নুসরাত তারকাবহুল এক ইফতার পার্টির আয়োজন করেন। পার্টিতে বন্ধু মিমিকেও নিমন্ত্রণ করেন। কিন্তু সেখানে কলকাতার অনেক জনপ্রিয় তারকা উপস্থিত থাকলেও দেখা যায়নি মিমিকে। সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের দু’জনকে নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়। টলিউডের অনেকে বলছেন, রাজ-শুভশ্রীর সঙ্গে নুসরাতের সখ্যতা মিমিমে বিষয়ে তুলেছে। তাই ইফতার পার্টিতে না এসে মধুর প্রতিশোধ নিয়েছেন মিমি।

এদিকে সদ্য ‘ক্রিসক্রস’ নামক একটি ছবিতে অভিনয় করেছেন নুসরাত ও মিমি। শুটিং শেষে নুসরাত ইন্দোনেশিয়াতে বেড়াতে গেছেন। অপরদিকে মিমি গেছেন মুম্বাইতে। অথচ আগে ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন চিত্র। অবসরে তাঁরা দুজন একসঙ্গে ঘুরে বেড়াতেন।

ইফতারে মিমির অনুপুস্থিতি নুসরাতকেও আহত করেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিনি একটি ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, ‘জীবনে সত্যিকারের বন্ধুর বড় অভাব।’