প্রচ্ছদ সারাদেশ রংপুর বিভাগ ভাজতে গিয়ে বুঝা গেল চালগুলো প্লাস্টিকের

ভাজতে গিয়ে বুঝা গেল চালগুলো প্লাস্টিকের

গাইবান্ধা শহরের বাসিন্দা রনি মিয়া গতকাল রোববার বিকেলে নতুন বাজারের রুবান দেওয়ানের দোকান থেকে ছয় কেজি চাল কিনে নিয়ে আসেন। ভাত রান্নার পর খেতে বিস্বাদ লাগলে তার সন্দেহ হয়। পরে সোমবার সকালে ভাজতে গেলে ওই চাল কুঁচকে যায়। এতে তার সন্দেহ আরও ঘনীভূত হয়। এরপর চালগুলো নিয়ে রনি মিয়া সদর থানায় উপস্থিত হন। চালগুলো প্লাস্টিকের বলে তিনি অভিযোগ করেন।অভিযোগ পাওয়ার পরেই সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উত্তম কুমার রায়কে জানান। এরপর একটি ভ্রাম্যমাণ টিম গঠন করা হয়।এই ভ্রাম্যমাণ টিম আজ সোমবার দুপুরে রুবান দেওয়ানের দোকানে অভিযান চালিয়ে প্লাস্টিকের কৃত্রিম চাল সন্দেহে দেড় বস্তা চাল জব্দ করে।আটক চালের মধ্যে ১৫ কেজি চাল পরীক্ষার জন্য ঢাকায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে।এসময় ভ্রাম্যমাণ টিম রুবান দেওয়ানের দোকান ছাড়াও আরও বেশ কয়েটি দোকানে অভিযান চালায়। এসময় জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মাছুম আলী উপস্থিত ছিলেন।সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) খান মো. শাহরিয়ার আরটিভি অনলাইনকে বলেন, চালের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ঢাকায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে রিপোর্ট পাওয়ার পর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।চাল ব্যবসায়ী রুবান দেওয়ান আরটিভি অনলাইনকে বলেন,  আমি একসিদ্ধ চাল পলাশবাড়ী উপজেলার ঢোলভাঙ্গা এলাকার মহাজনদের কাছ থেকে নিয়ে এসে বাজারে বিক্রি করছি। এ চাল অনেকেই খাচ্ছে। কোনও অভিযোগ পাইনি। রনি মিয়া থানায় অভিযোগ করেছেন। পুলিশ এসে চাল পরীক্ষার জন্য নিয়ে গেছে।