প্রচ্ছদ জাতীয় বীমা কর্পোরেশন বিল সংসদে উত্থাপিত

বীমা কর্পোরেশন বিল সংসদে উত্থাপিত

বীমা কর্পোরেশনকে বিনা জামানতে ঋণ নেওয়ার বিধানসহ জীবন বীমার জন্য মূলধন তিনশ’ কোটি ও সাধারণ বিমার জন্য মূলধন পাঁচশ’ কোটি টাকা নির্ধারণ করে ‘বীমা কর্পোরেশন বিল, ২০১৯ সংসদে উত্থাপিত হয়েছে।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে আজ সংসদের বৈঠকে বিলটি উত্থাপিত হয়। বিলটি উত্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এরআগে বিলটি উত্থাপনের বিষয়ে আপত্তি তোলনে বিরোধী দলীয় সদস্য ফখরুল ইমাম। তবে কন্ঠভোটে সেই আপত্তি নাকচ হয়ে যায়।

বিলে বলা হয়েছে, জীবন বীমার জন্য অনুমোদিত মূলধন হবে তিনশ’ কোটি টাকা এবং পরিশোধিত মূলধন হবে ত্রিশ কোটি টাকা। একইভাবে সাধারণ বিমার জন্য অনুমোদিত মূলধন হবে পাঁচশ’ কোটি টাকা এবং পরিশোধিত মূলধন হবে ১২৫ কোটি টাকা। তবে সরকার গেজেট প্রজ্ঞাপন দ্বারা মূলধনের পরিমাণ পরিবর্তন করতে পারবে।

বিলে কর্পোরেশনের দায়সমূহের মূল্যমান নির্ধারণের পর উদ্ধৃত্ত অর্থের ৯৫ শতাংশ বোর্ডের অনুমোদন সাপেক্ষে পলিসি গ্রহাহকদের মধ্যে বন্টন করা যাবে। এছাড়া সরকারের পূর্বানোমদন ব্যতীত শতকরা ৯৫% শতাংশের অধিক অর্থ বীমা পলিসি গ্রাহকদের মধ্যে বন্টন করা যাবে না।

বিলে সরকারি সম্পত্তি বীমাকরণ সম্পর্কে বলা হয়েছে, সরকারি সম্পত্তি বা সংশ্লিষ্ট ঝুকি বা দায় সম্পর্কিত সব নন লাইফ বীমা ব্যবসা একশ ভাগ সাধারণ বীমা কর্পোরেশনের নামে আন্ডার রাইট হবে। তবে সাধারণ বীমা নিজের জন্য পঞ্চাশ ভাগ অংশ রেখে বাকি ৫০ ভাগ বেসরকারি নন-লাইফ বীমা কোম্পানির মধ্যে সমহারে বন্টন করে দেওয়ার বিধান রাখা হয়েছে।

এছাড়া বিলে বিনা জামানতে বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ার বিধান রাখা হয়েছে। বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্বলিত বিবৃতিতে বলা হয়, ১৯৭৩ সালের আইন জীবন বীমা কর্পোরেশন ও সাধারণ বীমা কোর্পারেশন- উভয় কর্পোরেশনের অনুমোদিত মূলধন ছিল মাত্র বিশ কোটি টাকা। যা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই অপ্রতুল। এজন্য অনুমোদিত ও পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে। এছাড়া উক্ত আইনে সরকারি সম্পত্তি সম্পর্কিত ৫০ ভাগ-এর বীমা বাধ্যতামূলকভাবে সাধারণ বীমা কর্পোরেশনের কাছে এবং অবশিষ্ট ৫০ ভাগ সাধারণ বীমা বা অন্য বেসরকারি কোম্পানির কাছে হস্তান্তরের বিধান ছিল। নতুন আইনে তা শতভাগ সাধারণ বীমার নামে অবলিখন করে পরে পঞ্চাশ ভাগ বেসরকারি খাতে সমহারে বন্টন করার প্রস্তাব করা হয়েছে। একইসঙ্গে বিলে উভয় কর্পোরেশনের পরিচালনা পরিষদের সদস্য সাত থেকে দশজনে উন্নীত করার বিধান করা হয়েছে।