আরশাদের মা রমজানা কাউসার এই ঘটনায় দারাজের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ করেন। তাতে তিনি বলেন, উমর দারাজ নামের ওই নিরাপত্তা কর্মী এক বছর ধরে তার মেয়েকে বিয়ে করার চেষ্টা করছিল। এই এক বছরে সে বিভিন্ন সময় আরশাদকে উত্যক্ত করতো। সর্বশেষ সে আরশাদকে বিয়ের প্রস্তাব দিলে আরশাদ তা প্রত্যাখ্যান করে। আরশাদের সম্মতি না পাওয়ায় তাকে গুলি করে হত্যা করে দারাজ।
আরশাদ খুন হওয়ার রাতে তার ও দারাজের মধ্যে উত্তপ্ত বাকবিতণ্ডার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এতে দেখা যায়, একটি বাস-যাত্রার মধ্যে দারাজ জোরপূর্বকভাবে আরশাদের হাত চেপে ধরে তার ওপর হামলা চালানোর চেষ্টা করছে।
ভিডিওতে দেখা যায়, আরশাদকে হুমকি দিচ্ছে দারাজ। দারাজ হুমকি দিয়ে বলছে, বাস টার্মিনালে যাওয়ার পর তুমি দেখতে পাবে আমি কি করবো।
ভিডিওর সঙ্গে যোগ করা একটি সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, আরশাদ একটি পরিত্যক্ত বাস টার্মিনালের মতো দেখতে এক জায়গায় একটি ভবনের সিঁড়ি বেয়ে ওপরে ওঠছে। এসময় একজন পুরুষ তার হাত ধরে তাকে হ্যাচকা টান দেয়। আরশাদ নিজেকে ওই ব্যক্তির হাত থেকে ছাড়ানোর চেষ্টা করে। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই তাকে গুলি করা হয়। সিঁড়ি বেঁয়ে পড়তে থাকে তার রক্ত।
পুলিশের কাছে দায়ের করা অভিযোগ অনুসারে, দারাজ ঘটনার পরপরই সেখান থেকে পালায়। আরশাদকে পরবর্তীতে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে চিকিৎসাধীন অবস্থায়ই প্রাণ হারান তিনি।
ঘটনার দিন রাতেই দারাজকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সে তার অপরাধ স্বীকার করেছে।