প্রচ্ছদ আর্ন্তজাতিক বিশ্বে এই প্রথম মৃত নারীর জরায়ু থেকে শিশুর জন্ম

বিশ্বে এই প্রথম মৃত নারীর জরায়ু থেকে শিশুর জন্ম

ব্রাজিলের সাও পাওলোর একটি হাসপাতালে মৃত নারীর জরায়ু অন্য এক নারীর শরীরে প্রতিস্থাপন করে সন্তানের জন্ম হলো। যা বিশ্বে এই প্রথম মৃতার জরায়ু থেকে সন্তানের জন্ম। ২০১৬ সালে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে মৃত নারীর জরায়ু অন্য এক নারীর শরীরে প্রতিস্থাপন করা হয়। ডিসেম্বরের শুরুতে কন্যা সন্তানের জন্ম দেন গ্রহীতা নারী।

এই ঘটনায় চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এভাবে বিশ্বের বহু নারীই মা হতে পারবেন। বন্ধ্যাত্ব প্রতিরোধে এটি হতে পারে যুগান্তকারী পদক্ষেপ। ৩৫ সপ্তাহ ৩ দিন গর্ভধারণের পর সিজারের মাধ্যমে ওই কন্যা সন্তানের জন্ম দেয়া হয়েছে। জন্মের সময় বাচ্চাটির ওজন ছিল ২ কিলোগ্রাম ৫৫০ গ্রাম।

৪৫ বছর বয়সী এক নারীর মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণের ফলে মৃত্যু হয়। পরে ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে প্রায় সাড়ে দশ ঘণ্টার অপারেশনের মধ্যে দিয়ে তার দেহ থেকে জরায়ু বের করা হয়েছিল। তার জরায়ুর ওজন ছিল ২২৫ গ্রাম। দাতা ওই নারী আগেই তিন সন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন।

যে ব্রাজিলীয় নারীর দেহে ওই জরায়ুটি প্রতিস্থাপন করা হয়েছিল তার বয়স ছিল ৩২ বছর। জন্ম থেকেই তার দেহে জরায়ু ছিল না। জরায়ু প্রতিস্থাপনের পর গ্রহীতা নারীর শরীরে কোনো সমস্যা দেখা যায়নি। মহিলার ডিম্বাশয় থাকায় সেখান থেকে ডিম্বানু সংগ্রহ করে আইভিএফ পদ্ধতিতে প্রতিস্থাপিত জরায়ুতে ভ্রণ রোপন করা হয়। এর পর এই ডিসেম্বরে জন্ম হয়েছে ফুটফুটে এক কন্যাসন্তানের।

এর আগে মৃত নারীর জরায়ু প্রতিস্থাপন করে সন্তান জন্ম দেয়ার চেষ্টা করেছে আমেরিকা, চেক প্রজাতন্ত্র ও তুরস্ক। কিন্তু সেখানকার গবেষকরা কাজে সাফল্য পাননি। অবশেষে ব্রাজিলের সাও পাওলোর চিকিৎসকদের হাত ধরে এল সাফল্য।