প্রচ্ছদ খেলাধুলা বিশ্বকাপের বল নিয়ে দুশ্চিন্তায় গোলরক্ষক-স্ট্রাইকাররা

বিশ্বকাপের বল নিয়ে দুশ্চিন্তায় গোলরক্ষক-স্ট্রাইকাররা

বিশ্বকাপের বল নিযে সবসময় সবার আগ্রহ থাকে। বলের ওজন, রং, বল কতটা গতিতে ছুটবে কথা হয় এসব নিযে। ২০১৪ বিশ্বকাপের বল ব্রাজুকা নিয়ে যা একটু কথা কম হয়েছে। কিন্তু ২০১০ বিশ্বকাপের বল নিয়ে ছিল অনেক সমালোচনা। অনেকে তো অভিযোগ করে বসেন, যারা বল বানিয়েছে এবং অনুমোদন দিয়েছে বলটাকে তারা জীবনে বলে লাথি মেরেই দেখিনি।

রাশিয়া বিশ্বকাপের বল নিয়েও কথা শুরু হয়েছে। গোলরক্ষক বল ঠিকমতো গ্রিপ করতে পারবেন কি-না, দূরপাল্লার শট কতটা বিপজ্জনক হবে- এ নিয়ে চলছে আলাপ-সালাপ।। স্পেনের গোলরক্ষক ডেভিড ডি গিয়া রাশিয়া বিশ্বকাপের বল টেলস্টার ১৮ সম্পর্কে বলেন, ‘বলটা বেশ অদ্ভুত’। কেন ? কারণ ব্যাখ্যা করেছেন স্পেনের আরেক গোলরক্ষক পেপে রেইনা, ‘এই বল কিন্তু গোলরক্ষকদের ধরতে বেশ কষ্ট হবে।’

তবে বল নিয়ে গবেষণা করে গোলরক্ষকদের জন্য আশঙ্কার কিছু নেই বলে শোনাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। এরই মধ্যে বলটি নিয়ে গবেষণা করে ফেলেছেন আমেরিকার ভার্জিনিয়ার লিঞ্চবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী জন এরিক গফ। তার কথায়, ‘বল ধরার ব্যাপারে আগের বলগুলোর তুলনায় খুব আলাদা কিছু নয় এই টেলস্টার ১৮।’

তবে তার বিশ্লেষণ অনুযায়ী কিছু আশঙ্কা থাকছে স্ট্রাইকারদের জন্য। গফের মতে, ‘৯০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় শট মারলে তা গত বিশ্বকাপের ব্রাজুকার তুলনায় ৮-১০ শতাংশ কম দূরত্ব যাবে। যার মানে, দূর থেকে মারা শট গোলের কাছে যখন পৌঁছবে, তখন তার গতি ব্রাজুকার তুলনায় কম থাকবে। বলের গতি কম থাকলে গোলরক্ষকদের জন্য সেটা হবে ভালো খবর। তবে খারাপ খবর স্ট্রাইকারদের। কারণ গোল করতে হলে আরও জোরে বল মারতে হবে স্ট্রাইকারদের।

তবে বিজ্ঞানীরা আশ্বাস দিচ্ছেন, ফ্রিকিক কিংবা কর্নার মারার পর বলের গতি অনেক ধারাবাহিক থাকবে। মাঝারি দূরত্বের শটের ক্ষেত্রেও গতি কমার সম্ভাবনা নেই। গফের মন্তব্য, ‘বেশি কিছু পরিবর্তন হবে বলে মনে হয় না।’

বলটির স্থায়িত্ব নিয়ে অবশ্য সে রকম সংশয় নেই বিজ্ঞানীদের মধ্যে। সুইস ফেডারেল ল্যাবরেটরিস ফর মেটেরিয়ালস সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজিতে বলটি নিয়ে নানা পরীক্ষা করে দেখানো হয়েছে, অনেক বল প্রয়োগেও বলের গোলাকার নষ্ট হচ্ছে না। যেমন বলটিকে একটি স্টিলের দেয়ালে ৫০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা বেগে ২০০ বার হিট করানো হয়েছিল। তাতেও নষ্ট হয়নি গোলাকৃতি।