প্রচ্ছদ রাজনীতি ‘বিএনপির বুদ্ধিদাতারা বিদেশি মদ খেয়ে গ্লাসে টুং টাং শব্দ করে’

‘বিএনপির বুদ্ধিদাতারা বিদেশি মদ খেয়ে গ্লাসে টুং টাং শব্দ করে’

নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি শামীম ওসমান বলেছেন, দেশে এখন নতুন খেলা হচ্ছে। খেলাটি হলো, অন্যের ঘাড়ে বন্দুক রেখে আমাদের দিকে তাক করে আছেন। কিছু বুদ্ধিজীবী এখন বিএনপিকে বুদ্ধি দেয়। তারা বিদেশি মদ খেয়ে গ্লাসে টুং টাং শব্দ করে।

তারা বিদেশের টাকা খেয়ে বেঁচে আছে। তারাই গতবার বিএনপিকে বলেছিল নির্বাচনে না যেতে। এবারও তারা সেই পরিকল্পনা করছে অন্যভাবে। খালেদা জিয়ার ঘাড়ে বন্দুক রেখে বিদেশিদের খুশি করে ক্ষমতায় আসতে নীল নকশা তৈরি করছে। মঙ্গলবার বিকেলে স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের উদ্যোগে বন্দরের খানবাড়ি এলাকায় এক সমাবেশে শামীম ওসমান প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, সেপ্টেম্বরের পর থেকে খেলা শুরু হবে। আবার সব এক হবে। বাম ডান চোর বদমায়েশ সব। তাদের টার্গেট একজন। তিনি হলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তখন খেলা হবে, প্রথমে প্রথম রাউন্ড, পরে কোয়াটার ফাইনাল এরপর সেমি ফাইনাল। কিন্তু আমরা তখন খেলা দেখবো না। আমরাও তখন মোকাবেলা করবো। ইনশাল্লাহ নারায়ণগঞ্জেই সবচেয়ে বেশি খেলা হবে। আমরা যেদিন ক্ষমতা ছাড়বো সেদিন লাখ লাখ মানুষের সমাবেশ হবে। সেদিন আমরা আওয়াজ তুলবো আমরা শেখ হাসিনার কর্মীরা খেলবো। আর ছাড় দেব না।

শামীম ওসমান বলেন, আওয়ামী লীগেও কিছু নেতা আছে। যারা নারায়ণগঞ্জের ৫টি আসনে নৌকা দাবি করে। নারায়ণগঞ্জের ৫টি কেন দেশের ৩০০ আসনেই নৌকা চাই। নৌকার মালিক হলেন শেখ হাসিনা। তিনি যে সিদ্ধান্ত দেবেন সেটাই চূড়ান্ত। কোমরে নাই মুরোদ। শুধু এখানে বলে নৌকা দিতে হবে। মুরোদ থাকলে নেত্রীর সামনে গিয়ে নৌকা চান। এসব বলে এখন বিভক্তি কইরেন না। আর আমরা দুর্বল না। আমরা শেখ হাসিনার কর্মী। আমি আমার বড় ভাই সেলিম ওসমানের শক্তি বৃদ্ধি করতে এখানে আসিনি। নারায়ণগঞ্জের মানুষ আমাদের অনেক সম্মান দিয়েছে। আমাদের তিন পুরুষ এমপি হয়েছে। আমাদের চাওয়ার কিছু নেই। আমরা সাধারণ মানুষের খেদমত করতে চাই। আওয়ামী লীগের প্রতিটি নেতাকর্মী স্বাধীনতা স্বপক্ষের শক্তি।

তিনি বলেন, যারা জামায়াতের পত্রিকা পড়ে রাজনীতি করেন তারা ভুল পথে হাঁটছেন। অনেকের মধ্যে আমাদেরও কেউ কেউ আছে। এটা বলতে চাই আগামীতে আবারও আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসবে। নারায়ণগঞ্জে ২/১টা জামায়াতের পত্রিকা রয়েছে। রাজকারদের পত্রিকায় সংবাদ এসেছে বন্দরে আওয়ামী লীগ শেষ হয়ে গেছে। আমি ওই সকল পত্রিকার সংশ্লিষ্ট রিপোর্টারদের জানাতে চাই আজকের জনসভা আওয়ামী লীগের জনসভা নয়। এই সভা আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠন সেচ্ছাসেবক লীগের একটি সভা। প্রচণ্ডে বৃষ্টি উপেক্ষা করে হাজার হাজার নেতাকর্মী এই সভায় এসে প্রমাণ করেছে বন্দরের মাটি আওয়ামী লীগের ঘাঁটি।

মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি জুয়েল হোসেনের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি চন্দন শীল, সাংগঠনিক সম্পাদক জাকিরুল আলম হেলাল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ নিজাম প্রমুখ।