বাসায় ভয় পান। এজন্য নার্সসহ চিকিৎসা সুবিধা পেতে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) থাকছেন বলে জানিয়েছেন তার দলের নবনিযুক্ত মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গা।
রাঙ্গা বলেন, ‘স্যারের (এরশাদ) বাসায় নিকটাত্মীয় কিংবা স্বজন কেউই নেই। সেখানে তিনি একা একা থাকতে ভয় পাচ্ছেন। এজন্য একটু অসুবিধাবোধ করলে অ্যাম্বুলেন্স ডেকে সিএমএইচে চলে যাচ্ছেন। এটিকে ভিন্নভাবে নেয়ার কিছু নেই।’
নির্বাচন এলেই সাবেক রাষ্ট্রপতি এরশাদের সিএমএইচে যাতায়াত বেড়ে যায়। রাজনৈতিক মহলে এটিকে তার ‘নির্বাচনী রোগ’ বলেও টিপ্পনি করা হয়। এবারও ব্যতিক্রম নয়। কয়েক দফা অন্তরালে চলে গেছেন তিনি। দল থেকে পরে জানানো হয়, চেয়ারম্যান অসুস্থ, সিএমএইচে ভর্তি আছেন।
প্রসঙ্গটি তোলা হলে রাঙ্গা বলেন, ‘স্যারের (এরশাদ) শারীরিক অবস্থা একবার খারাপ, একবার ভালো। এখন থেকে একঘণ্টা আগেও আমি কথা বলে এসেছি। উনি রংপুরের কোল্ড স্টোরেজের বেতন তালিকায় স্বাক্ষর করেছেন।’
তিনি বলেন, ‘চেয়ারম্যান আমার সঙ্গে কথা বললেন। তার ছেলে স্বাদের সঙ্গে কথা বললেন। জিএম কাদেরের সঙ্গেও কথা বললেন। এ থেকেই বোঝা যায়, তিনি শতভাগ সুস্থ।’
জাপা মহাসচিব বলেন, ‘স্যার হেঁটে আমার কাছে এসেছেন, সব স্বাভাবিক। কাল (সোমবার) রাত ১টার দিকে তিনি সিএমএইচে গেছেন। তার আগে বাসাতেই ছিলেন।’
এরপরই তিনি বলেন, ‘যদিও তার এখন দেশের বাইরে যাওয়া জরুরি। তবে আমরা এও মনে করছি, এতটা জরুরি নয়।’
রাঙ্গা স্বীকার করে বলেন, ‘সবাই মনোনয়ন চান। একটা চাপতো থাকেই। তিনিও (এরশাদ) খুব বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছিলেন। শরীরেও ইনফেকশন আছে। সবকিছু বিবেচনা করে চাপ এড়াতেই তিনি সিএমএইচে গিয়েছিলেন, এখনও মাঝেমধ্যে সেখানে গিয়ে থাকছেন।’
তিনি জানান, ৯ ডিসেম্বরের মধ্যেই মহাজোটের প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করা হবে। এরপরই দেশের বাইরে যাবেন এরশাদ। সম্ভবত ১০ ডিসেম্বর।