প্রচ্ছদ রাজনীতি বাংলাদেশের মানুষ এত উন্নয়ন আগে কখনো দেখেনি: লিটন

বাংলাদেশের মানুষ এত উন্নয়ন আগে কখনো দেখেনি: লিটন

আসন্ন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনিত প্রার্থী এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন, আমরা আজ নিজ হাতে পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন করছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে সেতুর কাজ এগিয়ে চলেছে। এখানে বিশ্ব ব্যাংকের একটি টাকাও প্রয়োজন পড়েনি। আমরা মহাকাশে স্যাটেলাইট পাঠিয়েছে, চার, ছয়, আট লেনের সড়ক তৈরি করছি। বাংলাদেশের মানুষ এত উন্নয়ন এর আগে কখনো দেখেনি।

আজ বুধবার (১৮ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৪টায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে আওয়ামী লীগ মনোনিত প্রার্থীর নির্বাচনী মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজ, শিক্ষার্থী ও শিক্ষার্থীবৃন্দের আয়োজনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, গত পাঁচ বছর রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের দিকে তাকিয়ে রাজশাহীর মানুষ আশাহত হয়েছে, বেদনাহত হয়েছে, সর্বোপরি তারা বঞ্চিত হয়েছে। এ বঞ্চনায় মানুষ ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে। তারা এবার নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছেন। এবার তারা উন্নয়নকামী সরকারকে চাই। সেই সরকারের মনোনীত প্রার্থীকে ভোট দিতে চাই।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুস সোবহান বলেন, দেশের সরকার যদি উন্নয়নকামী হয়, কল্যাণকামী সরকার হয়, শিক্ষাবান্ধব হয়, সাহায্যবান্ধব হয়, কৃষিবান্ধব হয়, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বান্ধব হয় এবং সে সরকার যদি দেশকে এগিয়ে নিয়ে যায় তবে সে সরকারকে ভোট দিব না কেন?

তিনি আরও বলেন, রাজশাহী সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে, নারীদের মধ্যে আওয়ামীপক্ষের যে জোয়ার চলছে এতকিছু দেখেও আওয়ামী লীগ কেন বিএনপির নির্বাচনী মিছিলে ককটেল হামলা করবে? মানুষ এখন এগুলো বোঝে যে, নির্বাচনটাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে, নির্বাচন বানচাল করার জন্য নিজেরাই নিজেদের মিছিলে ককটেল মেরে দোষ চাপাচ্ছে আওয়ামী লীগের ওপর। এসব কথায় মানুষ আর বিভ্রান্ত হবে না।

বক্তব্যের এক পর্যায়ে উপাচার্য বলে, আওয়ামী লীগ ছাড়া বাংলাদেশের বড় কোনো অর্জন কেউ দেখাতে পারলে উপাচার্যের পদ ছেড়ে দেবেন তিনি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. এম এ বারীর সঞ্চালনায় নির্বাচনী সভায় আরও বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহা ও খুলনা সিটি কর্পোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক।

এছাড়া সভায় উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের আহ্বায়ক অধ্যাপক জুলফিকার আলী, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান আল-আরিফ, মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাফিয়া খাতুন।