প্রচ্ছদ খেলাধুলা বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের কষ্ট হচ্ছে

বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের কষ্ট হচ্ছে

নিজেদের কন্ডিশনে নিউজিল্যান্ড ফাস্ট বোলাররা কতটা ভয়ংকর হয়ে উঠতে পারেন, সেটি নিশ্চয়ই বাংলাদেশের অজানা নয়। এবার নিউজিল্যান্ড সফর যেয়েও বুঝছে। পরশু প্রথম ওয়ানডেতে দেখেছেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের বিপক্ষে কীভাবে তোপ দেগেছেন কিউই পেসাররা। লকি ফার্গুসন তো বেশ কবার ঘণ্টায় ১৫০ কিলোমিটারের বল করে গতির ঝড় তুললেন। নিউজিল্যান্ডের বোলারদের এই বোলিংয়ের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে ব্যাটসম্যানদের মধ্যে যা একটু লড়েছেন মোহাম্মদ মিঠুন, বিপর্যয় সামলে করেছেন ৬২ রান।

অন্য ব্যাটসম্যানরা যেখানে খাবি খেয়েছেন, মিঠুন সেখানে কীভাবে এগিয়েছেন? অন্যদের তুলনায় তিনি কীভাবে স্বচ্ছন্দ হলেন? মিঠুন বলছেন, মোটেও রান করা সহজ নয় নিউজিল্যান্ডের কন্ডিশনে। এখানে ভালো করতে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের কষ্টই হবে, ‘(প্রথম ম্যাচে) ব্যাটিং যতক্ষণ করেছি কখনই সহজ মনে হয়নি। এমন বোলিং আক্রমণের বিপক্ষে যদি বলি যে সহজে খেলেছি তাহলে মিথ্যে বলা হবে। এখানে রান করতে হলে অবশ্যই কষ্ট করতে হবে।’ মিঠুন স্বীকারই করে নিলেন, কিউই ফাস্ট বোলারদের খেলতে তাঁদের ভীষণ বেগ পেতে হচ্ছে, ‘আমরা তো এমন গতিতে খেলে অভ্যস্ত না। ওদের প্রায় সব বোলার ঘণ্টায় ১৪০ কিলোমিটারের বেশি গতিতে ধারাবাহিক বোলিং করে। আমরা বাংলাদেশের কন্ডিশনে নিয়মিত ১৩০ কিলোমিটারের গতির বল খেলে থাকি। ওখান থেকে ১৪০-১৫০ কিলোমিটার গতির বল খেলতে গেলে সমস্যায় পড়া স্বাভাবিক।’

প্রথম ম্যাচে মিঠুন সেই সমস্যার সমাধান কিছুটা হলেও করতে পেরেছেন। অন্যরা কেন পারেননি? প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ কেন ২৩২ রানে আটকে গেল, সেটির পেছনে দ্র্রুত উইকেট পড়াকে দায়ী করলেন মিঠুন, ‘সবাই জানে নিউজিল্যান্ডের বোলাররা নতুন বলে সুইং করে। সুইংয়ে আমরা অনেক বেশি উইকেট হারিয়ে ফেলি। ওখানেই আমরা পিছিয়ে পড়ি। ওখান থেকে ঘুরে দাঁড়ানো কঠিন ছিল। কিছুক্ষণ পর পরই উইকেট পড়ছিল। তারপরও ওখান থেকে যদি বড় জুটি হতো, আমরা বিশেষজ্ঞ ব্যাটসম্যানরা যদি একটু জুটি গড়তে পারতাম তাহলে ওটা সামলে ওঠা যেত। দ্রুত কিছু উইকেট পড়ে যাওয়ায় আমরা ভালোভাবে ঘুরে দাঁড়াতে পারিনি।’

সিরিজের প্রথম ম্যাচে হেরে ১-০ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়া বাংলাদেশকে পরশু ক্রাইস্টচার্চে নতুনভাবে শুরু করতে হবে। মিঠুন মনে করেন সিরিজে ভালো করতে হলে কন্ডিশনের সঙ্গে আগে মানিয়ে নিতে হবে তাঁদের, ‘যেখানেই খেলি, যে কন্ডিশনেই খেলে মানিয়ে নেওয়া হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ। কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে না পারলে ভালো ফল আসার সম্ভাবনা খুবই কম। যেখানেই খেলি সেখানে প্রথম চ্যালেঞ্জ হচ্ছে কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া এবং ভালো খেলা।’

প্রথম ম্যাচটা বাংলাদেশ খেলেছে একপ্রকার প্রস্তুতি ছাড়াই। ৮ উইকেটের হার তাই স্বাভাবিক হিসেবেই নেওয়া হচ্ছে। কন্ডিশনের সঙ্গে ধাতস্থ হওয়ার সময় পাওয়া যায়নি—ক্রাইস্টচার্চে ঘুরে দাঁড়ানোর ম্যাচে বাংলাদেশ নিশ্চয়ই এটি আর বলতে পারবে না!