চেয়ার, টেবিলের ওপর দিয়ে লাফিয়ে একজন আরেকজনের গায়ের ওপর গিয়ে পড়ে। ওই সময়ের অনেক ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক মিডিয়ায়। তাতে দেখা যায় মানুষ তখন বেসামাল। দৌড়াচ্ছে যে যেদিকে পারে। রাস্তায় দেখা যায় অনেক মানুষ সন্ত্রাসী হামলার ভয়ে একে অন্যকে জড়িয়ে ধরে কাঁদছেন। তবে কয়েক মিনিটের মধ্যে জরুরি বিভাগের লোকজন গিয়ে উপস্থিত হয়। এর কিছুক্ষণ পরেই পরিস্থিতি শান্ত হয়। নিশ্চিত করা হয়, কোনো সন্ত্রাসী হামলা হয় নি। বার-এর কাছে আতশবাজি ফোটানো হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছেন, কমপক্ষে ৬ টি এম্বুলেন্স সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে গিয়ে উপস্থিত হয়। অল্প আহতদের সেখানেই চিকিৎসা দেয়া হয়। এ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী স্টেফানি। তিনি স্থানীয় পত্রিকা নাইচ-মাটিন’কে বলেছেন, আমি কোর্টহাউজ স্কয়ারের এক পাশে বসে ছিলাম। যখনই রেফারি শেষ বাঁশি বাজাবেন ঠিক তখনই দেখি মানুষ শুধু দৌড়াচ্ছে। দেখে মনে হচ্ছে তারা কোরস সালেয়া এলাকা থেকে দৌড়ে আসছে। তারা আর্তনাদ করছে। তাদেরকে ভয়ার্ত দেখাচ্ছে। কিছু মানুষ এ সময় বিভিন্ন ভবনে আশ্রয়। আমিও তাদের মতো এক ছাদের নিচে নিজেকে আবিষ্কার করি।
ফুটবল উন্মাদনায় ফ্রান্সে পদদলিত হয়ে আহত কমপক্ষে ৩০
এ সময় পায়ের নিচে চাপা পড়ে আহত হয় ওইসব মানুষ। ঘটনাটি ঘটে খেলা শেষ হওয়ার সামান্য আগে। তখন এমনিতেই ফ্রান্স আনন্দে ভাসতে শুরু করেছে। তারা তখন দিশাহারা। খুশিতে কি করবেন আর কি করবেন না, কেউ বুঝে উঠতে পারছিলেন না। ঠিক এমন সময়ে ওই আতশবাজির শব্দে প্যানিক বা ভীতি সৃষ্টি হয়। শব্দটা বেশ বিকটই ছিল। সঙ্গে সঙ্গে এ নিয়ে ভিড়ের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। লোকজন নাইচ শহরের কোরস সালেয়া এলাক থেকে যে যেভাবে পারে পালাতে চেষ্টা করে।