প্রচ্ছদ খেলাধুলা ফুটবলের সর্বোচ্চ মঞ্চে সেরাটা দেব : সালাহ

ফুটবলের সর্বোচ্চ মঞ্চে সেরাটা দেব : সালাহ

অসাধারণ নৈপুণ্যে স্বপ্নের মতোই বছরটি কাটিয়েছেন। তার পা যেখানেই পড়েছে, সাফল্য ধরা দিয়েছে। অখ্যাত এক ফুটবলার থেকে বনে গেছেন তারকা। তিনি আর কেউ নন তারকা ফুটবলার মোহাম্মদ সালাহ।

বিশ্বকাপের ঠিক আগে ক্লাবের হয়ে খেলতে গিয়ে কাঁধের লিগামেন্টে পেয়েছেন চোট। দুরন্ত ছন্দ থেকে হঠাৎই লাইনচ্যুত!‌ পারবেন খেলতে বিশ্বকাপে?‌ ১৯৯০-এর পর বিশ্বকাপে যোগ্যতা অর্জন করা মিশরকে সমীহের সীমায় পৌঁছে দিতে?‌ সব প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন মোহাম্মদ সালাহ।

প্রথম বিশ্বকাপ!‌ কতটা রোমাঞ্চিত?‌

সালাহ:‌ বিশ্বকাপে খেলব আর শিহরিত হব না?‌ রোমাঞ্চ অনুভব করছি প্রতি মুহূর্তে। ১৯৯০ এর পর আমাদের দেশ বিশ্বকাপ খেলবে!‌ সবাই ভেতরে ভেতরে ফুটছে। স্বপ্ন মনে হচ্ছে। দলকে নকআউট পর্বে পৌঁছে দিতে পারলে আরও বেশি তৃপ্তি পাব।

চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে অপ্রত্যাশিত চোট। কিভাবে বিশ্বকাপে খেলবেন?‌ 

সালাহ:‌ চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে যা ঘটেছে দুর্ভাগ্যজনক। তবে সবচেয়ে আশার কথা, আমি এখন রাশিয়ায়। আর রাশিয়ায় এসেছি, বিশ্বকাপ খেলব বলেই। আমার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সেটাই। মিশর বিশ্বকাপে যোগ্যতা অর্জন করেছে আর আমি খেলতে পারছি না-এটা হলে খুব খারাপ হত। ভাগ্যিস বিশ্বকাপে খেলতে পারছি। আর স্বপ্নে বাস করতে পারছি।

আয়োজক দেশ রাশিয়া, সৌদি আরব আর উরুগুয়ে রয়েছে আপনাদের গ্রুপে। নকআউটে যাওয়া সম্ভব?‌

সালাহ:‌ নকআউটে যাব কি না, ভাবছি না। ফুটবলের সর্বোচ্চ মঞ্চে সেরাটা দেব, যাবতীয় ফোকাস এখন সেদিকে। আমাদের প্রস্তুতি ঠিকঠাক হয়েছে। গ্রুপের প্রথম তিন ম্যাচে তার প্রতিফলন ঘটাতে হবে। তারপর?‌ বাকিটা বুঝে নেওয়া যাবে। তবে পাশাপাশি বিশ্বকাপের আবহটাও উপভোগ করতে হবে।

প্রথম ম্যাচ উরুগুয়ের বিপক্ষে। কী ভাবছেন?‌

সালাহ:‌ ওরা দু’বার চ্যাম্পিয়ন, ২০১০ এর বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে উঠেছিল। সুয়ারেজ, কাভানির মতো প্লেয়ার আছে দলে। ওরা আঁটোসাঁটো ফুটবল খেলতে ভালোবাসে। বিপক্ষকে খালি জায়গা দেয় না। কঠিন ম্যাচ। তৈরি থাকতেই হবে। তবে একবার যদি গোল করে এগিয়ে যাই, তাহলে আমাদের রক্ষণভেদ করা কিন্তু খুব কঠিন।

মেসি, রোনালদো, নেইমারের মতোই এবারের বিশ্বকাপে আপনাকে নক্ষত্র ধরা হচ্ছে। কেমন লাগে এসব জেনে?‌

সালাহ:‌ মেসি, রোনালদো, নেইমার, ইনিয়েস্তা সবাই ইতিমধ্যে কিংবদন্তী। আমি এখনও ওদের পর্যায়ে পৌঁছায়নি। সবে তো ফুটবল ক্যারিয়ার শুরু করেছি। ইউরোপে পেশাদার ফুটবল খেলছি। আরও কয়েক বছর এভাবেই এগোতে চাই। মেসি, রোনালদো, নেইমার- তিনজনেই চেষ্টা করবে বিশ্বকাপ জেতার জন্য। ইনিয়েস্তা তো চাইবে ২০১০’র পুনরাবৃত্তি ঘটুক। আমার তো প্রথম বিশ্বকাপ। তাই ওদের পাশে আমার নামটা এখনই উচ্চারণ করা যায় না।

বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বে শেষ ম্যাচটা খেলেছিলেন ঘানার বিপক্ষে। ওই পর্ব কতটা কঠিন ছিল?‌

সালাহ:‌ ঘরের মাঠে ওদের হারিয়েছিলাম। আর অ্যাওয়ে ম্যাচে ড্র করেছিলাম। গ্রুপের এক নম্বর হয়েই আমরা যোগ্যতা অর্জন করেছি। তবে গ্রুপটা সত্যিই কঠিন ছিল। উগান্ডা আর কঙ্গোও ছিল একই গ্রুপে। শুধু উগান্ডার কাছেই আমরা হেরেছিলাম।

বিশ্বকাপে ফেবারিট কোন দল?‌

সালাহ:‌ আমরা নিজেদের প্রস্তুতি নিয়ে ব্যস্ত। বিশ্বকাপে ভালো খেলার চেষ্টা করা যায়। কিন্তু কে ফেবারিট আগাম বলা যায় না। বড় দলগুলো নিজেদের দাপট বোঝানোর জন্য মুখিয়ে থাকবেই।

১৯৩৪, ১৯৯০ দু’’বার বিশ্বকাপ খেলেছে মিশর। দু’বারই আসর বসেছিল ইতালিতে। সেই ইতালি এবার বিশ্বকাপে নেই!‌ কী বলবেন?‌

সালাহ:‌ খারাপ খবর। বিশ্ব ফুটবলে ওরা বড় শক্তি। নেদারল্যান্ড, চিলির ক্ষেত্রেও একই কথা খাটে। ওদের অনুরাগীরা থাকবে না। তবে আমাদের থাকবে। মিশরীয়রা এবার রঙিন করে তুলবে আবহ।‌ সূত্র: আজকাল