প্রচ্ছদ খেলাধুলা ফাহিমার হ্যাটট্রিকে সেমিফাইনালে বাংলাদেশ

ফাহিমার হ্যাটট্রিকে সেমিফাইনালে বাংলাদেশ

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ বাছাইয়ে টানা তিন জয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশের মেয়েরা। ১২ জুলাই স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে সেমিফাইনালে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। মঙ্গলবার লেগ স্পিনার ফাহিমা খাতুনের হ্যাটট্রিকে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে ৮ উইকেটে হারিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে সালমারা। আমিরাতের দেয়া ৪০ রানের লক্ষ্য ৬.৫ ওভারে ২ উইকেটে হারিয়ে টপকে যায় লাল-সবুজ জার্সীধারীরা।

এই ম্যাচ দিয়েই টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের প্রথম মহিলা ক্রিকেটার হিসেবে হ্যাটট্রিক করেছেন ফাহিমা খাতুন। আরব আমিরাতের বিপক্ষে ইনিংসের ১৩তম ওভারের শেষ ৩ বলে ৩ উইকেট তুলে নেন ফাহিমা। এর আগে ২০১৬ সালে ওয়ানডেতে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করেছিলেন রুমানা আহমেদ।

ফাহিমা খাতুন, নাহিদা আক্তার ও রুমানা আহমেদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে আরব আমিরাত ১৬.২ ওভারে ৩৯ রানে অলআউট। বাংলাদেশের বিপক্ষে ২০ ওভারের ক্রিকেটে এটাই সর্বনিম্ন রান কোনও দলের, ক্রিকেট ইতিহাসে যা চতুর্থ সর্বনিম্ন। সবচেয়ে কম রানে আউট হওয়ার রেকর্ড মালয়েশিয়ার। ভারতের বিপক্ষে গত এশিয়া কাপে ২৭ রানে গুটিয়ে যায় মালয়েশিয়া।

টস জিতে আরব আমিরাতকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় বাংলাদেশ। আমিরাতের দুই ওপেনার ৬.৫ ওভার পর্যন্ত বাংলাদেশের বোলারদের অপেক্ষায় রেখেছিলেন, যদিও সপ্তম ওভারের শেষ বলে রুমানার থ্রোতে চামানি সেনেভিরত্না রান আউট হলে ভাঙে আমিরাতের ওপেনিং জুটি।

এরপরই শুরু হয় আরব আমিরাত খেলোয়াড়দের আসা-যাওয়ার মিছিল। বাংলাদেশের তিন স্পিনারের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে দিশেহারা মধ্যপ্রাচ্যের দেশটির ব্যাটাররা। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ রান আসে ওপেনার ইশা রোহিতের ব্যাট থেকে, ৩৫ বলে ১ চারে করেন ১৮ রান।

ফাহিমা খাতুন ৪ ওভারে ৮ রান খরচে ক্যারিয়ারসেরা বোলিংয়ে পেয়েছেন ৪ উইকেট। এছাড়া রুমানা ২ ওভারে ৪ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট। আর ২.২ ওভার বল করে ২ রান দিয়ে ২ উইকেট শিকার নাহিদা আক্তারের।

৪০ রানের সহজ লক্ষ্যে খেলতে নেমে কিছুটা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয় ব্যাটিং অর্ডারে। এদিন শামিমার বদলে ওপেনিংয়ে নামেন নিগার সুলতানা। অবশ্য এই ওপেনিং জুটি খুব একটা সফল হয়নি। দলীয় ১৩ রানে ফিরে যান ওপেনার আয়েশা (২)। নিগারের সঙ্গে জুটি বাঁধা সানজিদা জয় থেকে ৩ রান দূরে থাকতে আউট হলে দ্বিতীয় উইকেটে ২৪ রানের জুটি ভাঙে। ৩ রানের জন্য রুমানাকে নামতে হলেও বাকি কাজটুকু করেন নিগার সুলতানা। ২১ রান করে বাংলাদেশকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি।