শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, ‘প্রত্যেক বছরই দেশের যোগ্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে এমপিওভুক্ত করা হবে। এক্ষেত্রে প্রতি বছরই এমপিওর জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগেুলোকে আবেদন জমা দিতে হবে।’
সদ্য ঘোষিত ২৭৩০ প্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্তির বিষয়ে নানা অসঙ্গতি এবং জনমনে বিভিন্ন ধরণের প্রশ্ন দানা বাঁধায় গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন শিক্ষামন্ত্রী। রোববার বিকেল ৪টায় রাজধানীর ব্যানবেইস সম্মেলন কক্ষে এমপিও নিয়ে সাংবাদিকদের উত্থাপিত বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন সরকারের এই শিক্ষামন্ত্রী।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ডা. দীপু মনি বলেন, ‘আমরা প্রতি বছর দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো নজরে রাখবো। যারা যোগ্য হবে তাদের এমপিও দেয়া হবে। একইসঙ্গে আগে এবং বর্তমানে যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এমপিও দেয়া হয়েছে তারা যদি তাদের মান ধরে রাখতে না পারে তাহলে তাদের এমপিও স্থগিত করা হবে।’
‘অনেক স্কুলের শিক্ষার্থী নেই পাসের হার নেই, এগুলো কিভাবে এমপিওভুক্ত হলো’ এমন প্রশ্নে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘ভুল তথ্য দিয়ে এমপিও হওয়া স্কুলগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। যেসব কর্মকর্তারা এসব তথ্য দিয়েছেন সেসব কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
‘এমপিওপ্রাপ্ত ২০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। সেগুলো আবার যাচাই বাছাই করা হবে। সেখানে কোন অনিয়ম পেলেই ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ বিষয়ে সবার স্কুলের ম্যানেজিং কমিটিসহ সবার সহযোগীতাও চান’ শিক্ষামন্ত্রী।
‘যুদ্ধাপরাধীদের নামের স্কুল এমপিওভুক্তি’ এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘যেসব নাম এসেছে তারা তেমন পরিচিত কেউ নন। তবে স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে খবর নেয়া হবে। পরবর্তীতে প্রয়োজনে নাম পরিবর্তন করা হবে। তবে এমপিও বাতিল করা হবে না।’
ভাড়া বাড়িতে থাকা প্রতিষ্ঠান এমপিও শর্ত ভঙ্গ করেনি বলেও মনে করেন শিক্ষামন্ত্রী। এমপিও পেয়ে ভবন নির্মাণের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এগুলো আগেই টেন্ডার করা ছিল। এমপিও পাওয়ার কথা শুনে তারা তড়িঘড়ি করে কাজ শুরু করেছেন।’
‘একটি আগে এমপিও পাওয়া স্কুল এমপিওভুক্ত হওয়ার’ প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘ওই স্কুলটির আসলে উচ্চ মাধ্যমিকের জন্য আবেদন করা ছিল। ভুলে তারা নিম্নমাধ্যমে এমপিওভুক্ত হয়ে ছিল। তালিকা চূড়ান্ত করার সময় আগের তালিকার সঙ্গে মিলিয়ে না দেখায় এই ভুল হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘এমপিও ঢালাও ভাবে দেয়া হয়নি। সর্বোচ্চ যোগ্যদের বিবেচনা করা হয়েছে। ভৌগলিক বিবেচনায় যে প্রতিষ্ঠান যোগ্য তাদেরই দেয়া হয়েছে।’