সমাজতন্ত্র নেই তো কোথাও, আছে পুরুষাঙ্গে
বাম বলো আর ডান বলো ভাই, সব উঠেছে চাঙ্গে।
নারীর যারা সমতা চায়, তারাও দেখি নষ্ট
সাম্যবাদের পথ ছেড়েছে বাম নামেরও ভ্রষ্ট।
রাশিয়াতে, চীনেতে নেই, নেই তো ভারতবর্ষে
নর্থ কোরিয়ায় হয়তো আছে কিছুটা উৎকর্ষে।
ভেনিজুয়েলাতেও দেখি, এখন একই রঙ্গ
বাংলাদেশের সাম্যবাদী দিলেন রণে ভঙ্গ।
কিন্তু সবাই একটি স্থানে দেখি রাখেন সাম্য
আর কিছু নয়, নারীর শরীর কেবল তাদের কাম্য।
তাই তো তারা খুব গোপনে চায় যে নারীর অঙ্গ
তারা তো চায় শীত-গ্রীষ্মে কেবল তাদের সঙ্গ।
বুড়ো এবং গুঁড়োও নেই—একটা তাদের লক্ষ্য
যুবতী হোক, নাবলিকাও কেবল তাদের ভক্ষ।
সমাজতন্ত্র থাক বা না থাক, চুলায় যাক বিশ্ব
জনগণের মুক্তি না হোক, হোক না তারা নিঃস্ব।
জোর গলাতে বলবে তবু, ‘চাই তাহাদের মুক্তি’
কিন্তু মনে চাইবে তারা, রাতের গোপন চুক্তি।
বিশ্বে যদি সাম্য কোথাও নাই বা থাকুক, থাকগে
মার্কস ও লেনিন গোল্লায় যাক, হয়তো ছিলো ভাগ্যে!
প্রতিজ্ঞা আর শপথ এখন নাই তো মনের মধ্যে
কাব্যে তারা বাস না ক’রে থাকেন রূঢ় গদ্যে।
বিশ্ব থেকে যেই হয়েছে উধাও সমাজতন্ত্র
সমাজতন্ত্রী হজ করে আর পূজায় পড়ে মন্ত্র।
টগবগানো তরুণ যখন প্রশ্ন তোলে রক্তে
তখন তাদের ঝাপটা লাগে জাপটে থাকা তখতে।
ডানের সাথে বামের তখন বিভেদ বোঝা শক্ত
ডান নাকি বাম—মার্কিনিদের কে কতোটা ভক্ত?
বুঝতে হলে দেখতে হবে কে কতোটা মাঙ্গে?
সমাজতন্ত্র আটকা এখন কেবল পুরুষাঙ্গে!