প্রচ্ছদ সারাদেশ রংপুর বিভাগ পীরগঞ্জের শ্যামপুর উচ্চ বিদ্যালয় বহুমুখী সমস্যায় জর্জরিত

পীরগঞ্জের শ্যামপুর উচ্চ বিদ্যালয় বহুমুখী সমস্যায় জর্জরিত

বখতিয়ার রহমান, পীরগঞ্জ( রংপুর) ঃ রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার শ্যামপুর উচ্চ বিদ্যালয়টি বহুমুখী সমস্যায় জর্জরিত । ফলে এক প্রতিকুল পরিবেশেই শিক্ষার্থীদের পাঠ গ্রহন করতে হছে ।
২৮ অক্টোবর রোববার দুপুরের পর পেশাগত কাজে বিদ্যালয় ক্যা¤পাসে পা রাখি । সেখানে বিদ্যালয়টির সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে কথা হয় ক’জন শিক্ষক, অবিভাবক ও শিক্ষার্থীর সঙ্গে । তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, উপজেলার মদনখালী ইউনিয়নের অনেকটাই পল্লী এলাকায় বিগত ১৯৮৬ সনে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয় । বিদ্যালয়টি প্রতিষ্টার পর থেকে সরকারের মোটা অংকের আর্থিক সাহায্য ব্যাতিরেকেই এক অনুন্নত অবকাঠামোর মাঝেই পরিচালনা কমিটির সহযোগীতায় শিক্ষকগন পাঠদ্বান করে আসছেন । বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ২২৫ জন । এক নিরিবিলি পরিবেশে এলাকাবাসী বিদ্যালয়টির শিক্ষার গুনগত মান নিয়েও অনেকটা সন্তষ্ট । গত বছর এস,এস সি তে পাশের হার ছিল ৭৫ শতাংশ । তবে অন্য অনেক প্রতিষ্ঠানের তুলনায় বিদ্যালয়টি অবকাঠামো বেশ অনুন্নত । শ্রেণী কক্ষের সল্পতা তো আছেই । এ ছাড়া নেই কোন ডিজিটাল ল্যাব । যে কারনে শিক্ষার্থীরা আধুনিক ক¤িপউটার শিক্ষা থেকে বঞ্চিত থাকছে । বিজ্ঞানাগারের সরঞ্জামাদীর অভাবের কারনে বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা যথাযথ শিক্ষা থেকে বঞ্চিত থাকছে । এ ছাড়াও প্রয়োজনের তুলনায় ফার্ণিচার ও
আসবাবপত্রের যথেষ্ট সংকটও রয়েছে, খেলাধুলার সরঞ্জামাদীও নেই বললেই চলে । বিদ্যালয়টিতে এ সকল অভ্যন্তরিন সমস্যার পাশাপাশি বিদ্যালয়টিতে নেই কোন সীমানা প্রাচীর কিংবা মসজিদ ঘরও ।
ক’জন শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা হলে তারা অনেকটাই ক্ষোভ প্রকাশ করে অভিন্ন প্রতিক্রিয়ায় জানায়, অনেক বিদ্যালয় কত উন্নত, অথচ আমাদের বিদ্যালয়ে অনেক সমস্যা । তার পরেও ২/৩ কিলো মিটারের মধ্যে কোন বিদ্যালয় না থাকায় এখানেই পড়াশুনা করতে হচ্ছে । তারা মনে করে, সমস্যা গুলো না থাকলে বিদ্যালয়টিতে শিক্ষার একটা সুন্দর পরিবেশ ফিরে আসবে ।
বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম এ সব সমস্যার কথা স্বীকার করে তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, বিদ্যালয়টিতে অভ্যন্তরিন কোন আয়ের উৎস্য নেই । যে কারনে এসব সমস্যা দুর করা সম্ভব হচ্ছে না । তবে আমরা রাজনৈতিক নের্তৃবৃন্দ ও উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে এ সব সমস্যা দুর করার চেষ্টা করছি ।
এক প্রশ্নের জবাবে বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক জানান, চলতি সনের গত ১০ মাসে এ বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত প্রায় ২০ ছাত্রীর বিবাহ হয়েছে । যদিও আমারা বাল্য বিবাহ বন্ধে অভিভাবকদের সঙ্গে প্রতিনিয়ত আলোচনা করছি তার পরেও কাজ হচ্ছে না ।