প্রচ্ছদ সারাদেশ রংপুর বিভাগ পীরগঞ্জের ফুল চাষী হাকিম এর সংসারে সচ্ছলতা ফিরে এসেছে

পীরগঞ্জের ফুল চাষী হাকিম এর সংসারে সচ্ছলতা ফিরে এসেছে

বখতিয়ার রহমান, পীরগঞ্জ( রংপুর) ঃ মেধা, শ্রম আর সদিচ্ছায় জীবনের সফলতা অর্জন সম্ভব । এমনি এক বাস্তব দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার টুকুরিয়া ইউনিয়নের ছাতুয়া গ্রামের আব্দুল জব্বার মিয়ার হাকিম মিয়া । প্রাথমিক পর্যায়ে শখ করে হলেও এখন বাণিজ্যিক ভাবে ফুল চাষ করে তিনি এখন বেশ স্বাবলম্বি। হয়ে উঠেছেন একজন সফল ফুল চাষী ।
তার সাথে কথা বলে জানা গেছে,, বিগত ৭ বছর পুর্বে তিনি বেড়াতে গিয়েছিলেন বগুড়ার ঐতিহাসিক স্থান মহাস্থান গড়ে। সেখানকার শোভিত ফুলের বাগানে আকৃষ্ট হন তিনি । কথা বলেন বাগানের মালিক ও মালির সাথে । তিনি বাসায় ফিরে ফুল চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেন । পর্যাপ্ত জমি না থাকলেও তার সম্বল মাত্র ৩৩ শতাংশ জমির একাংশে ফুল চাষের সুচনা করেন । উৎপাদীত ফুলে ভাল মুনাফা হওয়ায় পরের বছর ওই জমিটির অর্ধেকাংশে এবং তার পরবর্তি বছর পুরো জমিতে ফুলচাষ করেন । আর এ ফুল বিক্রি করে তার সাফল্যের দ্বার উম্মুক্ত হয় ।
ফুল চাষ ও বিক্রি করে তার সংসাওে আসতে থাকে আর্থিক সচ্ছলতা । বিগত ৭ বছরে ফুল চাষের লভাংশ দিয়ে তিনি ইতিমধ্যে ১ একর জমি বন্ধক এবং ১ একর জমি লীজ নিয়েছেন। বর্তমানে লীজ নেয়া পুরো জমিতেই তিনি ফুলের চাষ করছেন । তার মতে এক একর জমিতে ফুল চাষ করতে বছরে পর্যায়ক্রমে খরচ হয় ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা । ফুল বিক্রি করা যায় সারা বছর ধরে। এতে নীট আয় হয় ২ থেকে আড়াই লাখ টাকা। তিনি পীরগঞ্জ উপজেলা ছাড়াও দিনাজপুর জেলা শহর, নবাবগঞ্জ, দাউদপুর সহ বিভিন্ন হাট বাজার ও বন্দরে প্রতিদিনই ফুল ও চারা বিক্রি করেন। এতে তার গড়ে প্রতিদিন এক হাজার টাকা বিক্রি হয়। হাকিমের ফুলের নার্সারীতে বিভিন্ন প্রকারের গোলাপ ,গাদা, ষ্টার, দোপাটি, ক্যালেন্ডুলা, ডালিয়া, রঙ্গন, হাসনা হেনা, ভারত থেকে আনা এ্যানকাসহ নানান প্রজাতীর ফুল ও ফুলের চারা এবং সাথী চারা হিসেবে উন্নত জাতের বিভিন্ প্রকার আম, পেপে, কাঠাল লিচু, থাই পেয়ারা, ডালিম নটকো, জাম্বুরার চারা তৈরী ও বিক্রি করেন। ফলের চারা থেকেও বাড়তি টাকা আয় হয় তার। এ আয় দিয়ে তিনি ইতো মধ্যে পুরোনো মাটির ঘর ভেঙ্গে ইটের আধাপাকা বাড়ীও করেছেন । স্ত্রী, পুত্র, পুত্রবধূ ও নাতী নাতনী সহ তার পরিবারের সদস্য ৯ জন। এক পুত্র এইচ এসসি ও আর এক পুত্র এসএসসি পাশ করেছে । লেখাপড়ার পাশা পাশী তারাও পিতাকে সহযোগীতা করেন । হাকিমের সংসারে এখন আর নেই তেমন কোন অভাব । তার সংসারের সচ্ছলতা ফিওে এসেছে এবং তাদের জীবন যাত্রার মানের ক্রমেই উন্নয়ন ঘটছে ।