প্রচ্ছদ রাজনীতি পীযূষ বন্দোপাধ্যায় আইন ও সংবিধান লংঘন করেছেন : জামায়াত

পীযূষ বন্দোপাধ্যায় আইন ও সংবিধান লংঘন করেছেন : জামায়াত

‘সম্প্রীতি বাংলাদেশ’ নামক একটি সংগঠনের প্রধান পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় “দাঁড়ি, টুপি এবং টাখনুর ওপর কাপড় পরা জঙ্গিবাদের লক্ষণ” মর্মে ইসলামী বিধি-বিধান সম্পর্কে যে কটাক্ষপূর্ণ মন্তব্য করেছেন তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।

এ ব্যাপারে দলটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মা’ছুম বুধবার এক বিবৃতিতে বলেন, “সম্প্রীতি বাংলাদেশ নামক একটি সংগঠনের প্রধান পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় ‘দাঁড়ি, টুপি এবং টাখনুর ওপর কাপড় পরা জঙ্গিবাদের লক্ষণ’ মর্মে ইসলামী বিধি-বিধান সম্পর্কে কটাক্ষপূর্ণ মন্তব্য করে দেশের আইন ও সংবিধান লংঘন করেছেন। আমি তার এ ধরনের গর্হিত আচরণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

তিনি বলেন, ইসলামী বিধি-বিধান সম্পর্কে কটাক্ষপূর্ণ মন্তব্য করে মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়ার কোনো এখতিয়ার তার নেই। দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের ধর্মীয় অধিকারের উপর আঘাত দিয়ে ধৃষ্টতাপূর্ণ মন্তব্য করে তিনি দেশে বিরাজমান সাম্প্রদায়িক-সম্প্রীতি নষ্ট করার ষড়যন্ত্র করেছেন। তার মন্তব্য থেকেই প্রমাণিত হচ্ছে যে, তিনি একজন চরম সাম্প্রদায়িক ব্যক্তি। তার এ ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য আমি জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

বিবৃতিতে তিনি আরো বলেন, ইসলাম বিদ্বেষী বক্তব্য প্রত্যাহার করে জাতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করার জন্য আমি পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। অন্যথায় তাকে গ্রেফতার করে তার বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।

৪৫ নারীকে গ্রেফতারের নিন্দা
এদিকে মঙ্গলবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার হাট বোয়ালিয়া গ্রামের একটি বাড়িতে আয়োজিত ইফতার মাহফিল থেকে বাড়ির মালিকসহ ৪৫ নারীকে গ্রেফতার করার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর এবং সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বুধবার এক বিবৃতিতে বলেন, তাদের অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করার মাধ্যমে সরকার তাদের ধর্মীয় অধিকারে হস্তক্ষেপ করেছে।

তিনি বলেন, রমযানে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করার অধিকার প্রত্যেক নাগরিকেরই আছে। এ অধিকারে বাধা দিয়ে নারীদের গ্রেফতার করে সরকার দেশের সংবিধান ও আইন লংঘন করেছে। দেশের মানুষের ধর্মীয় অধিকার সংরক্ষণ করা সরকারের দায়িত্ব। সে দায়িত্ব পালন না করে সরকার সংবিধান লংঘন করেছে।

সরকারের এহেন অন্যায় আচরণের প্রতিবাদে সোচ্চার হওয়ার জন্য আমি দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। দেশের আইন ও সংবিধানের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে অবিলম্বে চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার হাট বোয়ালিয়া গ্রাম থেকে গ্রেফতারকৃত সবাইকে মুক্তি দেয়ার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। বিজ্ঞপ্তি।