প্রচ্ছদ আর্ন্তজাতিক পাকিস্তান সীমান্তে ১৪ হাজার বাঙ্কার নির্মাণ শুরু করেছে ভারত!

পাকিস্তান সীমান্তে ১৪ হাজার বাঙ্কার নির্মাণ শুরু করেছে ভারত!

যে কোন সময়ে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধ বাঁধতে পারে। দুই দেশই হয়ত তারই প্রস্তুতিতে আছে। যদিও শান্তির বার্তা দিচ্ছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। কিন্তু তবুও যেন থামছে না যুদ্ধের দামামা। হুঙ্কার, পাল্টা হুঙ্কার থেকে বোমাবাজি। দু’দেশের আকাশপথে উত্তেজনা বাড়ছেই। যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার দাবি করছে দু’দেশই। হিংসার দাবানলে পুড়ছে কাশ্মীর।

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির মধ্যে পাকিস্তান সীমান্তবর্তী জম্মু-কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণ রেখা সংলগ্ন এলাকার মাটি খুঁড়ে ১৪ হাজার নিরাপদ বাঙ্কার নির্মাণ শুরু করেছে ভারত। পাকিস্তান থেকে বোমা হামলা হলে বাসিন্দারা যাতে প্রাণ বাঁচাতে বাঙ্কারে আশ্রয় নিতে এ ব্যবস্থা হাতে নেওয়া হয়েছে।

সূত্রের খবর, ইট, পাথর আর লোহা দিয়ে তৈরি বাঙ্কারগুলো বানাতে ৫০ কোটি টাকার মতো খরচ হতে পারে। স্থানীয় ঘরবাড়ির চেয়ে তিন গুণ পুরু দেওয়াল ও ছাদ দিয়ে মাটির নীচের এই বাঙ্কারগুলো নির্মাণ করা হচ্ছে।
ভারতীয় গণমাধ্যমে খবর, মঙ্গলবার ভোরে ভারতীয় বিমান বাহিনীর প্রত্যাঘাতে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের বালাকোটে জইশ শিবির ধ্বংস হয়। এদিন সন্ধ্যা থেকেই নিয়ন্ত্রণ রেখা সংলগ্ন বিভিন্ন এলাকায় যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে ভারি বোমা বর্ষণ করে পাকিস্তান। ভারতও পাল্টা বোমা জবাব দেয় বলে জানা গেছে।

এই অবস্থায় ওই সব এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক বাড়ছে প্রতিদিনই। জম্মু ও কাশ্মীরের পুঞ্চ জেলার ডিএম রাহুল যাদব বলেন, গত সপ্তাহে নতুন করে এই সব শেল্টার নির্মাণের কাজে হাত দেওয়া হয়েছে। সীমান্তে বাঙ্কার নির্মাণের এই প্রকল্পটি যদিও গত বছরের জুনে শুরু হয়। দু’পক্ষ যখন বোমা বর্ষণ শুরু করে, তাতে স্থানীয়দের ঘরবাড়ি ছেড়ে ছোটাছুটি করতে হয়। তাই তাঁদের সুবিধায় এমন পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার।

সীমান্ত-সংলগ্ন গ্রামগুলোর বাসিন্দারা জানান, তারা ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাতে পালাতে ক্লান্ত। স্থানীয় গরীব কৃষক পরিবারগুলো তাদের গবাদিপশু ও ফসল ফেলে রেখে বারবার এলাকা ছেড়ে পালাতে গিয়ে যে কতটা ক্ষতির মুখে পড়েন তা অবর্ণনীয়।

চাচওয়াল গ্রামের ৭৫ বছর বয়সি বাসিন্দা তানাত্তার সিং বলেন, ২০০২ সালে বাড়ির সামনে গুলি খেয়ে মারা গেছে আমার মেয়ে। তার পরেও কম বার দেখিনি গোলাগুলি, রোজ লেগে আছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে থাকি আমরা।
গমক্ষেতে ঘেরা বাড়ির দেওয়ালে হাত রেখে জানালেন, বাড়ি বাঁচাতে পারব না। প্রাণ তো বাঁচাতে হবে।
তানাত্তার সিং জানান, তাঁদের গ্রামের চারশ’ পরিবারের জন্য একটি বাঙ্কার নির্মাণ করা হবে। মাটি খোঁড়া হচ্ছে। এগুলোর কিছু কিছু পানির নীচে, কিছু চাষের জমির মধ্যে আবার কিছু আছে বাড়িঘরের আশপাশে।
সূত্র: দ্য ওয়াল