প্রচ্ছদ সারাদেশ খুলনা বিভাগ নড়াইলে ৫০ শয্যার হাসপাতাল চলছে ১ জন চিকিৎসক দিয়ে

নড়াইলে ৫০ শয্যার হাসপাতাল চলছে ১ জন চিকিৎসক দিয়ে

উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি■:আজ বৃহস্পতিবার-(২৫,অক্টোবর){২৭৪}: নড়াইলের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ৫০ শয্যার হাসপাতালে চিকিৎসক মাত্র একজন। চিকিৎসক-সংকটের কারণে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সেবা প্রত্যাশী রোগিদের।

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালে ৩১ শয্যার হাপালকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়। ৫০ শয্যার জনবলকাঠামো অনুযায়ী এখানে নয়জন বিশেষজ্ঞসহ ২১ জন চিকিৎসক নিয়োগ করার কথা। কিন্তু বাস্তবে হাসপাতালটির চিত্র ভিন্ন। বিপুল সংখ্যক সেবা প্রত্যাশীদের জন্য রয়েছে মাত্র একজন এমবিবিএস চিকিৎসক।

৩১ শয্যায় নয়জন চিকিৎসকের পদ আছে। এর মধ্যে ফাতেমা মাহজামিন নামে একজন চিকিৎসক কর্মরত আছেন। এ অবস্থা সামাল দিতে ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রের চারজন এমবিবিএস চিকিৎসককে হাসপাতালে এনে কাজ করানো হচ্ছে। ফলে সেবা বঞ্চিত হচ্ছেন ওই ইউনিয়নের রোগিরা। হাসপাতালের আরএমও পদ শূন্য। সে দায়িত্ব পালন করছেন লক্ষ্মীপাশা ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রের চিকিৎসক আবুল হাসনাত। এছাড়া নোয়াগ্রাম, লোহাগড়া ও জয়পুর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রের চিকিৎসক লাইলা সুলতানা, মোহাইমিন জিসান ও দেবাশীষ বিশ্বাস কাজ করছেন হাসপাতালে।

হাসপাতালকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করতে সাত কোটি ১৭ লাখ ৩৪১ টাকা ব্যয়ে নতুন তিনতলা ভবন ও কোয়ার্টার নির্মাণ করা হয়। ২০১৪ সালের নভেম্বর মাসে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে এ ভবন হস্তান্তর করা হয়। ওই নতুন ভবনে রয়েছে রোগিদের জন্য ১৪ শয্যার একটি ওয়ার্ড, পাঁচটি কেবিন, একটি মিলনায়তন, তিনটি অপারেশন থিয়েটার, একটি পোস্ট অপারেটিভ কক্ষ ও দুটি নরমাল ডেলিভারি কক্ষ। জনবল কাঠামো অনুমোদন না হওয়ায় অকেজো হয়ে পড়ে আছে ওই ভবন এবং প্রয়োজনীয় উপকরণ।

হাসপাতালের বহির্বিভাগে প্রতিদিন ২৫০-৩০০ রোগি আসে। ভর্তি থাকেন ৭০-৭৫ জন রোগি। ফলে ভর্তি রোগিদের থাকতে হয় মেঝে ও বারান্দায়।

সিঙ্গা গ্রামের চামেলি খাতুন আমাদের নড়াইল প্রতিনিধি উজ্জ্বল রায়কে জানান, বিছানা না পেয়ে ছোট বাচ্চা নিয়ে মেঝেতে আছি। এতে খুব সমস্যা হচ্ছে।’

উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও আরএমওর দায়িত্বে আছেন চিকিৎসক আবুল হাসনাত, আমাদের নড়াইল প্রতিনিধি উজ্জ্বল রায়কে জানান,‘৫০ শয্যার জনবলের জন্য সংশ্লিষ্ট দফতরে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। কিন্তু কাজ হচ্ছে না। নড়াইল জেলার মধ্যে সবচেয়ে কম জনবল এ হাসপাতালে।